দিল্লি , 28 সেপ্টেম্বর : 20 সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাশের সময় ডেপুটি চেয়ারম্যানকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে । বিক্ষোভের নামে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন সাংসদের বিরুদ্ধে । কিন্তু গতকাল রাজ্যসভার অধিবেশনের একটি ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে আসে । যার সঙ্গে সরকারের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে । আর এরপরই সেদিন বেলা 12টা 56 মিনিট থেকে দুপুর 1টা 57 মিনিট পর্যন্ত ঠিক কী হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিং নারায়ণ ৷
সম্প্রতি যে ফুটেজটি সামনে এসেছে তাতে দেখা গেছে, বিরোধী সাংসদরা নিজেদের আসনে থেকেই কৃষি বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছে । এরপরই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান জানান, কে কে রাগেশ 1টা 7 মিনিটে গ্যালারিতে নিজের আসনে ছিলেন না ৷ তিনি তখন ওয়েলে ছিলেন ৷ অন্যদিকে ফুটেজটিতে দেখা গেছে, 1টা 10 মিনিটে সাংসদ ত্রিচি শিবা তাঁর আসনেই রয়েছেন । সেখান থেকেই ডিভিশন ভোটের দাবি জানাচ্ছিলেন । এরও ব্যাখ্যা দেন ডেপুটি চেয়ারম্যান ৷ তিনি বলেন, "আপনারা ওই একই ভিডিয়োতে দেখতে পাবেন 1টা 9 মিনিট নাগাদ একজন সদস্য রুল বুকটি ছিঁড়ে আমার দিকে ছুড়ে মারে ৷ আমার চারপাশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদরা ঘিরে রেখেছিলেন এবং আমার থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ৷"
প্রতি মিনিটের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন , "1 টা 9 মিনিট নাগাদ চেয়ারম্যানের টেবিলে রাখা কাগজপত্রগুলি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন ৷ ঠিক ওই সময় অন্য এক সদস্য রিপুন বোরা বই ছুঁড়ে দেন ৷"
কৃষি বিল পাশের সময় সংসদের নিয়ম আদৌ মানা হয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে । যদিও বিরোধীদের বক্তব্য ভিন্ন । সম্প্রতি রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম । সেক্ষেত্রে যে তথ্য সামনে আসছে তার সঙ্গে সরকারের বয়ানে যথেষ্টই পার্থক্য রয়েছে ।
DMK সাংসদ ত্রিচি শিবা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত সব পক্ষের মতামত নিয়ে অধিবেশনের সময় বাড়ানো হয় । কিন্তু সেদিন বিরোধীদের দিকে একবারও তাকাননি ডেপুটি চেয়ারম্যান । শুধু ট্রেজ়ারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়েই সময় বাড়িয়ে দেন । এর ফলে রাজ্যসভার 37 নম্বর নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে ।
অন্যদিকে রাজ্যসভা টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ডিভিশন ভোটের দাবি জানানোর সময় সাংসদরা তাঁদের আসনেই ছিলেন । 1টা 10 মিনিটের ফুটেজে দেখা যায়, সাংসদ ত্রিচি শিবা তাঁর আসনেই রয়েছেন । ডিভিশন ভোটের দাবি জানাচ্ছেন । সাংসদ কেকে রাগেশ দুপুর 1টা 11-তে তাঁর আসনে ছিলেন । তিনিও ডিভিশন ভোটের দাবি জানান । কিন্তু ধ্বনিভোটে তাঁর দাবি উপেক্ষিত হয় । আর এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরই ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিং 20 সেপ্টেম্বরের প্রতিটি মিনিটের পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিলেন ৷