ETV Bharat / bharat

দিল্লি হিংসার দ্রুত-ন্যায়বিচারের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

দিল্লি হিংসায় শিকার ব্যক্তিদের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল । পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানির সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি বোবদে ৷ আবেদনগুলি শোনার পর আজ তিনি বলেন, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শুক্রবার এই আবেদনগুলি শুনবেন । দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত যে আবেদনগুলির শুনানি দিল্লি হাইকোর্টে হচ্ছিল তা স্থগিত হয়ে রয়েছে । আমরা হাইকোর্টকে অনুরোধ করব এই মামলাগুলি দ্রুত শুনানির জন্য ।

supreme court
supreme court
author img

By

Published : Mar 4, 2020, 6:23 PM IST

দিল্লি, 4 মার্চ : দিল্লি হিংসা নিয়ে জমা পড়া আবেদনগুলির শুনানির জন্য আরও সময় চেয়েছিল কেন্দ্র । আজ সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয় । স্পষ্ট জানায়, শুক্রবার এই আবেদনগুলির শুনানি হবে দিল্লি হাইকোর্টে । দিল্লি হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে এবং হিংসাত্মক মন্তব্যর বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে জমা পড়েছিল । ইতিমধ্যেই সেই আবেদনগুলির শুনানি শুরু হয়েছে । কিন্তু সেই শুনানিতে দেরি কেন? তা নিয়েও আজ প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত । জানায়, ন্যায়বিচার হচ্ছে না ।

দিল্লি হিংসায় শিকার ব্যক্তিদের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল । পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানির সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি বোবদে ৷ আবেদনগুলি শোনার পর আজ তিনি বলেন, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শুক্রবার এই আবেদনগুলি শুনবেন । দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত যে আবেদনগুলির শুনানি দিল্লি হাইকোর্টে হচ্ছিল তা স্থগিত হয়ে রয়েছে । এই মামলাগুলি দ্রুত শুনানির জন্য আমরা হাইকোর্টকে অনুরোধ করব ।

দিল্লি হাইকোর্টে যে শুনানি চলছে তার তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এস এ বোবদে । বলেন, কেন আবেদনগুলির শুনানিতে এত দেরি হচ্ছে । এই ধরনের মামলায় দেরি করা ন্যায় নয় । সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয় কেন্দ্র । কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ভারতের প্রধান বিচারপতি পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না । জামিয়ার পড়ুয়াদের উপর পুলিশের হামলার অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলার সময় আইনজীবীরা আদালত কক্ষে "শেম শেম" স্লোগান তুলেছিলেন । এই প্রসঙ্গে টেনেই আজ কেন্দ্র আদালতে জানায় দিল্লি হাইকোর্টে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল সেই বিষয়েও ওয়াকিবাহল নন প্রধান বিচারপতি । কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা হিংসাত্মক মন্তব্যের বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের বিরোধিতা করে বলেন, "এই কথাটি খুবই সহজ হয়ে যায় যে দুটি বা তিনটি হিংসাত্মক মন্তব্যের জন্য সংঘর্ষ বেঁধেছিল ।" এইসব প্রশ্নের সম্মুখে পড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে । কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব শান্তি চাই । দিল্লি হাইকোর্টে শুক্রবার পরবর্তী শুনানি হবে ।

বিগত কয়েক সপ্তাহে রাজধানীতে CAA বিরোধী হিংসাত্মক সংঘর্ষে কমপক্ষে 48 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ জখম 200-র বেশি মানুষ ৷ যারা এই হিংসায় মদত দিয়েছে বা যারা হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে FIR করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল । সেই আবেদনের শুনানির সময় BJP নেতাদের বক্তব্যের ভিডিয়ো আদালতে দেখানো হয় । ভিডিয়োগুলি দেখার পর তৎকালীন বিচারপতি এস মুরলীধর দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে ভর্ৎসনা করে বলেন, অপরাধের উপস্থিতি স্বীকার করতে চাইছেন না? এই মুহূর্তে FIR দায়ের করুন । এরপরই রাতারাতি বদলি হন বিচারপতি মুরলীধর । 27 ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপতি সি হরিশংকরের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় দিল্লি পুলিশ জানায়, হিংসাত্মক বক্তব্যের জন্য এখনই কোনও FIR দায়ের না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । 13 এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছিল । কিন্তু আজ ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নির্দেশ দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলায় প্রভাব ফেলতে পারে । শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত কোন পক্ষের দিকে যায়, FIR দায়েরের ক্ষেত্রে যে সময় দিল্লি পুলিশ চেয়ে নিয়েছিল তার কী উত্তর দেয় সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশে ।

দিল্লি, 4 মার্চ : দিল্লি হিংসা নিয়ে জমা পড়া আবেদনগুলির শুনানির জন্য আরও সময় চেয়েছিল কেন্দ্র । আজ সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয় । স্পষ্ট জানায়, শুক্রবার এই আবেদনগুলির শুনানি হবে দিল্লি হাইকোর্টে । দিল্লি হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে এবং হিংসাত্মক মন্তব্যর বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে জমা পড়েছিল । ইতিমধ্যেই সেই আবেদনগুলির শুনানি শুরু হয়েছে । কিন্তু সেই শুনানিতে দেরি কেন? তা নিয়েও আজ প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত । জানায়, ন্যায়বিচার হচ্ছে না ।

দিল্লি হিংসায় শিকার ব্যক্তিদের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল । পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানির সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি বোবদে ৷ আবেদনগুলি শোনার পর আজ তিনি বলেন, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শুক্রবার এই আবেদনগুলি শুনবেন । দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত যে আবেদনগুলির শুনানি দিল্লি হাইকোর্টে হচ্ছিল তা স্থগিত হয়ে রয়েছে । এই মামলাগুলি দ্রুত শুনানির জন্য আমরা হাইকোর্টকে অনুরোধ করব ।

দিল্লি হাইকোর্টে যে শুনানি চলছে তার তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এস এ বোবদে । বলেন, কেন আবেদনগুলির শুনানিতে এত দেরি হচ্ছে । এই ধরনের মামলায় দেরি করা ন্যায় নয় । সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয় কেন্দ্র । কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ভারতের প্রধান বিচারপতি পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না । জামিয়ার পড়ুয়াদের উপর পুলিশের হামলার অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলার সময় আইনজীবীরা আদালত কক্ষে "শেম শেম" স্লোগান তুলেছিলেন । এই প্রসঙ্গে টেনেই আজ কেন্দ্র আদালতে জানায় দিল্লি হাইকোর্টে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল সেই বিষয়েও ওয়াকিবাহল নন প্রধান বিচারপতি । কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা হিংসাত্মক মন্তব্যের বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের বিরোধিতা করে বলেন, "এই কথাটি খুবই সহজ হয়ে যায় যে দুটি বা তিনটি হিংসাত্মক মন্তব্যের জন্য সংঘর্ষ বেঁধেছিল ।" এইসব প্রশ্নের সম্মুখে পড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে । কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব শান্তি চাই । দিল্লি হাইকোর্টে শুক্রবার পরবর্তী শুনানি হবে ।

বিগত কয়েক সপ্তাহে রাজধানীতে CAA বিরোধী হিংসাত্মক সংঘর্ষে কমপক্ষে 48 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ জখম 200-র বেশি মানুষ ৷ যারা এই হিংসায় মদত দিয়েছে বা যারা হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে FIR করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল । সেই আবেদনের শুনানির সময় BJP নেতাদের বক্তব্যের ভিডিয়ো আদালতে দেখানো হয় । ভিডিয়োগুলি দেখার পর তৎকালীন বিচারপতি এস মুরলীধর দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে ভর্ৎসনা করে বলেন, অপরাধের উপস্থিতি স্বীকার করতে চাইছেন না? এই মুহূর্তে FIR দায়ের করুন । এরপরই রাতারাতি বদলি হন বিচারপতি মুরলীধর । 27 ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপতি সি হরিশংকরের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় দিল্লি পুলিশ জানায়, হিংসাত্মক বক্তব্যের জন্য এখনই কোনও FIR দায়ের না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । 13 এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছিল । কিন্তু আজ ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নির্দেশ দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলায় প্রভাব ফেলতে পারে । শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত কোন পক্ষের দিকে যায়, FIR দায়েরের ক্ষেত্রে যে সময় দিল্লি পুলিশ চেয়ে নিয়েছিল তার কী উত্তর দেয় সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.