দিল্লি, 28 ফেব্রুয়ারি : JNU-র দেশদ্রোহিতা মামলায় কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিল কেজরিওয়াল সরকার ৷ কানহাইয়ার সঙ্গে আরও দু’জনের বিরুদ্ধেও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করবে দিল্লি পুলিশ ৷ প্রসঙ্গত, 14 জানুয়ারি দিল্লি পুলিশ কানহাইয়া কুমার, উমর খলিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ৷
JNU-র দেশদ্রোহিতার মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আর্জি জানিয়ে 26 ফেব্রুয়ারি দিল্লি সরকার স্বরাষ্ট্রদপ্তরে চিঠি দেয় ৷ সংসদ হামলায় মূল অভিযুক্ত আফজ়ল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে 2016-র 9 ফেব্রুয়ারি JNU ক্যাম্পাসে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ৷ সেখান থেকেই কানহাইয়া দেশ বিরোধী স্লোগান তোলে বলে অভিযোগ ৷ একই অভিযোগ ওঠে উমর খলিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনায় FIR দায়ের হয় ৷ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ পরে অবশ্য জামিনে মুক্ত হন তিনজনই ৷
দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা 1200 পাতার চার্জশিট ফাইল করে গত 14 জানুয়ারি ৷ চার্জশিটে কানহাইয়া, খলিদ, অনির্বাণ ও সাতজন কাশ্মীরি পড়ুয়ার নাম উল্লেখ করা হয় ৷ জানা গেছে, রিজ়িওনাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি (RFSL) কানহাইয়া ও খলিদের মধ্যে SMS আদান-প্রদানের প্রমাণ উদ্ধার করেছে ৷ সেই SMS-এ পাওয়া গেছে, খলিদ নাকি কানহাইয়াকে সবরমতী ধাবায় হাজির হতে বলেছিল ৷ কারণ JNU ক্যাম্পাসে তাঁদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ চার্জশিটের শেষ পাতায় বলা হয়, উমর খলিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাশ্মীরি পড়ুয়ারা প্রতিবাদস্থানে উপস্থিত হয়েছিল ৷