দিল্লি, 15 অক্টোবর : কেরালার সোনা পাচারের সঙ্গে যোগ সূত্র রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের ? আদালতে সেই আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) ।
বিশেষ আদালতে কেরালার সোনা পাচার মামলার শুনানি চলছে । তদন্ত করছে NIA । অনেক ব্যক্তির নাম তদন্তে উঠে এসেছে । পাচারে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করে NIA । গতকাল বিশেষ আদালতে তারা জানায়, এই সোনা পাচার কোনওভাবে দেশদ্রোহী এবং জঙ্গি কার্যকলাপে সাহায্যের জন্য হতে পারে ।
কূটনৈতিক চ্যানেলের সঙ্গে যোগসূত্র আরও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায় ।
সংস্থার দাবি, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন রমীস । সে জানিয়েছিল, তার তানজ়ানিয়ায় হিরের ব্যবসা আছে । UAE-র কাছে সেই সোনা বিক্রি করেছিল সে ।
রাষ্ট্রসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল স্যান্কসনস কমিটির দাউদ ইব্রাহিমের উপর সংক্ষিপ্ত বিবৃতির কথা উল্লেখ করে NIA । US ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রেজ়ারি দাউদের আফ্রিকায় বিভিন্ন কার্যকলাপের একটি ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করেছিল । তার কথাও উল্লেখ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ।
কেরালায় সোনা পাচারের এই মামলার তদন্ত করছে NIA । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও কাস্টমসের আধিকারিকরাও তদন্ত চালাচ্ছেন । 5 জুলাই তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের ঠিকানা লেখা একটি পার্সেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল 30 কেজি সোনা ৷ সেই সোনা পাচারের ঘটনায় নাম জড়ায় কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তরের কর্মীর ৷ 9 জুলাই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় (NIA) -র হাতে ৷ 10 জুলাই FIR দায়ের করে তারা ৷ FIR নথিভুক্ত হওয়ার ঠিক একদিনের মধ্যে (11 জুলাই) সোনা পাচারের ঘটনায় অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নায়ারকে গ্রেপ্তার করে NIA ৷