দিল্লি, 10জুলাই : বাড়ছে সাইবার অপরাধ । গতমাসে সাইবার হামলার মুখে পড়েছে অনেকেই । বিনামূল্যে COVID-19 পরীক্ষার কোনও লিঙ্ক বা অন্য কোনও রহস্যজনক লিংক এলে তা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে । গালওয়ান সংঘর্ষের এক সপ্তাহের মধ্যেই 21 জুন কেন্দ্রের তরফে সচতেন করে জারি করা হয় নির্দেশিকা ।
নির্দেশিকায় সতর্ক করা হয়, সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারতীয়দের টার্গেট বানাতে পারে চিনা হ্যাকাররা । দেশের এক সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সাইবার হামলার ঘটনা বেড়েছে । এরকম অনেক ঘটনাই প্রকাশ্যে আসছে । তবে ভারত এবং চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষ এর কারণ নয় বলে জানিয়েছেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রাক্তন জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কো-অর্ডিনেটর গুলশন রাই বলেন, "শেষ দু'মাসে সাইবার হামলা বেড়েছে একথা ঠিক । কিন্তু ভারত ও চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের কারণে এই ঘটনা বেড়েছে না কি অন্য কোনও কারণ সেটিই দেখার বিষয় ।" CERT এই ধরনের হামলার উপর নজর রাখে । তাদের সঙ্গে একসঙ্গেই বিষয়টির উপর নজর রেখেছেন বলে ETV ভারতকে জানান তিনি ।
মে-র প্রথম সপ্তাহে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগে থেকেই সাইবার অপরাধ অনেকাংশে বেড়েছে । তিনি বলেন, জানুয়ারি বিশেষত ফেব্রুয়ারি থেকে এই ধরনের অপরাধ বেড়েছে । কারণ অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করছেন । এখনও সেরকম কোনও প্রমাণ নেই যে চিন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতির জন্যই সাইবার অপরাধ বেড়েছে ।
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে সাইবার প্রতারণার মুখে পড়ছে সাধারণ মানুষ । কোরোনা সংক্রমণের জেরে অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করছে । ওয়ার্ল্ড মিটার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে 19 হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে । বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের । লকডাউনের আগেই তাই অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করা শুরু করেছেন । একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি কম্পানি সারা বছরের জন্য "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" ঘোষণা করেছে ।
"ওয়ার্ক ফ্রম হোম"-এর জেরে বেড়েছে সাইবার হামলা । গুলশন রাই বলেন, "অনেকেই সুরক্ষিত রাউটার ব্যবহার করেন না । আমরা মোবাইল বা রাউটার যেখান থেকেই কাজ করি আমাদের পাসওয়ার্ড ওপেন । যেভাবে একজন কর্মী সুরক্ষিতভাবে অফিসে কাজ করতেন সেই সুরক্ষা থাকে না বাড়িতে । প্রত্যেককে ইন্টারনেটেও একইভাবে সুরক্ষা মেনে চলতে হবে ।" তিনি আরও বলেন, "কয়েকটি সংস্থা এই ধরনের হামলার উপর সবসময় নজর রাখছে । উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে । "