দিল্লি, 8 মে : HRD মন্ত্রক বিদেশে CBSE স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আটকে থাকা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে । COVID-19 পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিদেশে আটকে থাকা পড়ুয়াদের জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত সমাধানে পৌঁছানোর জন্য রাষ্ট্রদূত বা বিদেশের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। বিদেশের যেসব জায়গাগুলি বাস্তব পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পরিচালনায় সম্ভব নয়, HRD মন্ত্রক এমন জায়গাগুলিতে মূল্যায়ন পদ্ধতি করার বিষয়ে নয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (CBSE) গত মাসে ঘোষণা করেছিল যে বিদেশে পরীক্ষা পরিচালনা করবে না। তবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি সহ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই বিষয়ে বারবার আবেদন আসার পর মন্ত্রক তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে ।
মন্ত্রকের আধিকারিকদের মতে, HRD মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক বিভিন্ন দেশের পড়ুয়াদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি এবং মুলতুবি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে মতামত চেয়েছেন।HRD মন্ত্রকের এক প্রবীণ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, "বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে, একটি সাধারণ সমাধানে পৌঁছানো বাস্তবিক সম্ভব নয়। তবে, কিছু দেশে যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয় তবে কমপক্ষে সেখানে পরীক্ষা করা যেতে পারে । উদাহরণস্বরূপ, জাপানে আমাদের একটি স্কুল রয়েছে, সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে পরিস্থিতি আরও ভাল হলে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে " ।
এই প্রবীণ কর্মকর্তা বলেন, "উভয় অবস্থার জন্যই রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। যেসব জায়গায় পরীক্ষা নেওয়া যায়, তবে কীভাবে সেই পরীক্ষা পরিচালিত হবে এবং যদি বেশ কিছু জায়গায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয় তবে সেক্ষেত্রে মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে। আমরা শীঘ্রই এই সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।"
মঙ্গলবার HRD মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনলাইনে আলাপচারিতায় এই বিষয়ে তথ্য শেয়ারও করেছেন। নিশঙ্ক বলেন, "আমরা CBSE-র সঙ্গে আলোচনা করছি এবং এর সমাধানে দ্রুত আসতে চাইছি। বিভিন্ন দেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশ শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলব। লকডাউন বিধিনিষেধের পাশাপাশি COVID-19 পরিস্থিতি বিভিন্ন দেশে আলাদা । এই সবগুলিই চিন্তাভাবনা করা দরকার। আমরা শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম স্বার্থে একটি সমাধান পৌঁছাব"।
বিশ্বের 25 টি দেশে 210 টিরও বেশি CBSE অনুমদিত স্কুল রয়েছে । এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থী থেকে মোট 23,844 জন শিক্ষার্থী দশম শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এবং16,103 জন শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নেবার জন্য নাম নথিভুক্ত করে।গত মাসে বোর্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল ,25 টি দেশে বেশ কয়েকটি CBSE স্কুল রয়েছে। এই দেশগুলির প্রত্যেকটি লকডাউনের অধীনে রয়েছে ।এবং বিভিন্ন দেশে স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সময়সীমাও আলাদা । এইরকম পরিস্থিতিতে, বোর্ডটি প্রত্যেকটি আলাদা দেশের জন্য পৃথক পৃথক পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে না । এছাড়াও, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের উত্তরপত্র ভারতে আনা কঠিন হবে ।সে সময় এই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বোর্ড ভারতের বাইরে অবস্থিত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য আর কোনও পরীক্ষা না নেওরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলাফল ঘোষণার উদ্দেশে মূল্যায়নের পদ্ধতি বোর্ড খুব শীঘ্রই কার্যকর করবে এবং তাদের জানানো হবে " ।