দিল্লি, 28 জুলাই: কোরোনা সংক্রমণের জেরে বিশ্বজুড়ে প্রায় 70 লাখ শিশু চরম অপুষ্টির শিকার হতে পারে । রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে ।
ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রাষ্ট্রসংঘের চারটি বিভাগের (WHO, World Food Programme, UNICEF, FAO) প্রধান বলেন, "কোরোনা সংক্রমণ সমগ্র বিশ্বজুড়ে, বিশেষত নিম্ন ও মাঝারি আয়যুক্ত দেশগুলির নাগরিকদের পুষ্টির উপর প্রভাব ফেলেছে । এতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অল্প বয়সি শিশুরা । খাদ্যাভাসের মান নিম্ন হওয়ায়, পুষ্টিকর খাদ্য জোগানে বাধা পাওয়ায় এবং সংক্রমণের ফলে মানসিক ধাক্কায় শিশু ও মহিলারা আরও অপুষ্টির শিকার হচ্ছে । "
খাদ্যের সরবরাহে বাধার ফলে শিশুদের খাদ্যাভ্যাসের মান কমেছে, এই বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, "প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যের জোগানও বাধা পেয়েছে । খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিশুদের খাদ্যাভ্যাসের মান কমেছে এবং এর ফলে অপুষ্টির হার বৃদ্ধি পাবে। "
রিপোর্টে বলা হয়, কম বয়সি শিশুদের মধ্যে যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম তারাই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে । সেখানে আরও বলা হয়, এটি জীবন হানিকারক অপুষ্টিও হতে পারে, যা শিশুদের অত্যন্ত দুর্বল করে তুলবে এবং মৃত্যুর মুখেও ঠেলে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোরোনা সংক্রমণের আগেও বিশ্বের প্রায় 47 মিলিয়ন শিশু, যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম, তারা স্বল্প বা চরম অপুষ্টির শিকার। এদের মধ্যে অধিকাংশই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উপ- সাহারান আফ্রিকার বাসিন্দা। বর্তমানে লকডাউন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাষ্ট্রসংঘের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয় যে কোরোনা সংক্রমণের জেরে লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়তে পারে।
রাষ্ট্রসংঘের তরফে আরও বলা হয়, "কোরোনা সংক্রমণের ফলে স্বল্প ও মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে পাঁচ বছরের কম শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার 14.3 শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। "
গবেষকরা বিশ্লেষণে বলেন, অপুষ্টির হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে অন্তত 2.4 বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন ।