ETV Bharat / bharat

কোরোনা ভাইরাস এবং ভারতে গরিবের দুর্দশা

যে গরিব মানুষগুলি দিনমজুরির ওপর জীবনধারণ করেন, তাঁরা কীভাবে তিন সপ্তাহের লকডাউনের মধ্যে বেঁচে থাকবেন, সে-ব্যাপারে কিছুই ভাবা হয়নি । তার বদলে লকডাউন শুরুর কয়েকদিন পর তাঁদের দুর্দশা কমাতে একটা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে । লকডাউন ঘোষণার আগেই একটা সুচিন্তিত পরিকল্পনা করা গেলে, তা গরিবদের নিরাপত্তা দিতে পারত ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 3, 2020, 12:04 PM IST

দিল্লি : কোরোনা সংক্রমণে রাশ টানতে মোদি সরকারের তিন সপ্তাহের লকডাউনের পিছনে প্যানডেমিক-বিজ্ঞান ভিত্তিক গভীর যুক্তি থাকলেও, নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে খামতি রয়ে গেছে । একটা বড় সমস্যা হল সরকারের তরফে আগাম সতর্কতার অভাব, যার জেরে হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে তাঁদের ছোট শহর বা গ্রামে ফিরছেন এবং সীমান্তে আটকে পড়ছেন । একইরকমভাবে, যে গরিব মানুষগুলো দিনমজুরির ওপর জীবনধারণ করেন, তাঁরা কীভাবে তিন সপ্তাহের লকডাউনের মধ্যে বেঁচে থাকবেন, সে-ব্যাপারে কিছুই ভাবা হয়নি । তার বদলে লকডাউন শুরুর কয়েকদিন পর তাঁদের দুর্দশা কমাতে একটা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে । লকডাউন ঘোষণার আগেই একটা সুচিন্তিত পরিকল্পনা করা গেলে, তা গরিবদের নিরাপত্তা দিতে পারত । মেডিকেল যন্ত্রপাতি তৈরি করে এমন কারখানাসহ সমস্ত কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার মধ্যেও দূরদর্শিতার অভাব স্পষ্ট । এমন একটা সময় এটা করা হল, যখন এই শিল্পে উৎপাদন বাড়িয়ে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অস্ত্র জোগান দেওয়ার প্রয়োজন ।

অন্যান্য দেশেও যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যেখানে সফলভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে (এর সর্বোচ্চ পর্যায় হল লকডাউন) কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার গতিরোধ করা গেছে । আর প্রয়োগে সমস্যা সত্ত্বেও, ভারতে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতি কমাবে লকডাউন । যদিও, তিন সপ্তাহের লকডাউন ভাইরাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে, এটা ভেবে নেওয়া বোকামি হবে । লকডাউনের মধ্যে যে অতিরিক্ত সময়টুকু পাওয়া যাচ্ছে, তা পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ, আইসোলেশন ও চিকিৎসার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা উচিত (ভেন্টিলেটর কেনা, ICU-শয্যার সংখ্যাবৃদ্ধি, সঙ্কটজনক নয় এমন রোগীদের জন্য নন-ICU শয্যা বাড়ানো) । স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন, এমন সবার জন্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের ব্যবস্থা করতে বিশেষভাবে উদ্যোগ নেওয়া উচিত, কারণ কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁরাই সামনের সারির সৈনিক । পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে মিশ্র বার্তার বদলে (স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মাস্কের সরবরাহ সীমিত রাখাই এর উদ্দেশ্য) মাস্কের পর্যাপ্ত সরবরাহ রাখা উচিত, কারণ প্রত্যেকে প্রত্যেককে নিরাপদ রাখতে পারবে । যেহেতু প্রত্যেককে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, এবং উপসর্গবিহীন ব্যক্তিও সংক্রমণ ছড়াতে পারেন, প্রকাশ্যে মাস্ক পরলে সবাই সুরক্ষিত থাকবেন, যেভাবে পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ।

ভারতে বর্তমান এবং ভবিষ্যত লকডাউনের আর্থিক খেসারত- স্পষ্টতই বিপুল হয়ে দাঁড়াবে, এবং গরিবরাই এর বিসদৃশভাবে বিরাট একটা অংশ বহন করবে। যদিও, দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে, গরিবদের সেই বোঝার কাছে এই আর্থিক বোঝাও ছোট হয়ে যাবে। অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির মধ্যেই, ভারতের গরিবরা একে অপরের কাছাকাছি থাকেন, এবং তাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং মৃত্যুহার বেশি । তাঁরা কোরোনাভাইরাস পরীক্ষার খরচ দিতে পারবেন না । শোনা যাচ্ছে, বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলো একটা পরীক্ষার জন্য বেশ কয়েক হাজার টাকা নেয় । সরকারকে সরকারি ও বেসরকারি দু-ক্ষেত্রের হাসপাতালেই গরিবদের পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচের পুরো দায়ভার বহন করতে হবে, যাতে কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁরা পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হন। গরিবরা যেভাবে ঠাসাঠাসি করে থাকেন, সেদিকটা মাথায় রাখলে, আইসোলেশন তাঁদের ক্ষেত্রে বাস্তবোচিত কোনও বিকল্প নয়, তাই সরকারকে বিকল্প ব্যবস্থা করতেই হবে।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, যখনই COVID 19 আক্রান্ত সঙ্কটজনক রোগীর সংখ্যা বাড়বে, এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিরাট চাপের মুখে পড়বে, যেটা হয়েছে ইট্যালি, স্পেন, ফ্রান্স ও আমেরিকার (বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক স্টেট) ক্ষেত্রে, তখন স্বাস্থ্যপরিষেবা সীমিত হয়ে পড়বে । এখন এটা সবাই জানেন, যে কাদের বাঁচাবেন তা নিয়ে হৃদয়-বিদারক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ইট্যালির ডাক্তারদের, যখন একসঙ্গে অনেক রোগী সীমিত হাসপাতাল পরিষেবা পেতে প্রতিযোগিতা করছিলেন । এথিক্যাল গাইডলাইন মেনে তাঁরা অগ্রাধিকার দিয়েছেন সেইসব রোগীদের, যাঁদের জীবনের বেশি বছর এখনও বাকি । নিশ্চিতভাবেই এর অর্থ তরুণতর বা তুলনায় সুস্থ রোগীদের বাঁচানো । ভারতের বাস্তবটা যিনি জানেন, তিনি সহজেই অনুমান করতে পারছেন, যে চিকিৎসকরা এই ধরণের পরিস্থিতি এলে কাদের রক্ষা করবেন । জোরালো সম্ভাবনা আছে, যে একজন 75 বছর বয়সী ধনী ব্যক্তি এবং একজন 30 বছর বয়সী গরিব মহিলার মধ্যে, ধনী ব্যক্তিটিই মেডিক্যাল অগ্রাধিকার পাবেন। এধরণের পরিস্থিতি আটকানোর একমাত্র পথ হল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের মতো সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করে একটা নৈতিক নির্দেশিকা তৈরি করা, যাতে কোনও ডাক্তারের এই ধরণের পরিস্থিতিতে অনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার না থাকে । এতে ডাক্তারদের পাশাপাশি সেই হাসপাতাল প্রশাসকদেরও উপকার হবে, যাঁরা নিজেরাও প্রবল চাপের মুখে পড়তে চলেছেন, যার সঙ্গে রয়েছে রোগীর পরিবারের অতিরিক্ত চাপও । যখন স্বাস্থ্য পরিষেবা সীমিত, তখন গরিবরা লাইনের শেষে দাঁড়াতে বাধ্য। আমরা কখনওই চাই না, যে খরচ দেওয়ার ক্ষমতার ভিত্তিতে কোনও রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখার সিদ্ধান্ত নিন চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলো। তাই সরকারের উচিত এই তিন সপ্তাহের লকডাউনকে ব্যবহার করে একটা কঠোর নীতিগত নির্দেশিকা তৈরি করা, যে স্বাস্থ্য পরিষেবা সীমিত হয়ে দাঁড়ালে, কীভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।

প্রতিবেদনটি লিখেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক প্রিয়রঞ্জন ঝা ।

দিল্লি : কোরোনা সংক্রমণে রাশ টানতে মোদি সরকারের তিন সপ্তাহের লকডাউনের পিছনে প্যানডেমিক-বিজ্ঞান ভিত্তিক গভীর যুক্তি থাকলেও, নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে খামতি রয়ে গেছে । একটা বড় সমস্যা হল সরকারের তরফে আগাম সতর্কতার অভাব, যার জেরে হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে তাঁদের ছোট শহর বা গ্রামে ফিরছেন এবং সীমান্তে আটকে পড়ছেন । একইরকমভাবে, যে গরিব মানুষগুলো দিনমজুরির ওপর জীবনধারণ করেন, তাঁরা কীভাবে তিন সপ্তাহের লকডাউনের মধ্যে বেঁচে থাকবেন, সে-ব্যাপারে কিছুই ভাবা হয়নি । তার বদলে লকডাউন শুরুর কয়েকদিন পর তাঁদের দুর্দশা কমাতে একটা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে । লকডাউন ঘোষণার আগেই একটা সুচিন্তিত পরিকল্পনা করা গেলে, তা গরিবদের নিরাপত্তা দিতে পারত । মেডিকেল যন্ত্রপাতি তৈরি করে এমন কারখানাসহ সমস্ত কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার মধ্যেও দূরদর্শিতার অভাব স্পষ্ট । এমন একটা সময় এটা করা হল, যখন এই শিল্পে উৎপাদন বাড়িয়ে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অস্ত্র জোগান দেওয়ার প্রয়োজন ।

অন্যান্য দেশেও যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যেখানে সফলভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে (এর সর্বোচ্চ পর্যায় হল লকডাউন) কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার গতিরোধ করা গেছে । আর প্রয়োগে সমস্যা সত্ত্বেও, ভারতে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতি কমাবে লকডাউন । যদিও, তিন সপ্তাহের লকডাউন ভাইরাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে, এটা ভেবে নেওয়া বোকামি হবে । লকডাউনের মধ্যে যে অতিরিক্ত সময়টুকু পাওয়া যাচ্ছে, তা পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ, আইসোলেশন ও চিকিৎসার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা উচিত (ভেন্টিলেটর কেনা, ICU-শয্যার সংখ্যাবৃদ্ধি, সঙ্কটজনক নয় এমন রোগীদের জন্য নন-ICU শয্যা বাড়ানো) । স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন, এমন সবার জন্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের ব্যবস্থা করতে বিশেষভাবে উদ্যোগ নেওয়া উচিত, কারণ কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁরাই সামনের সারির সৈনিক । পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে মিশ্র বার্তার বদলে (স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মাস্কের সরবরাহ সীমিত রাখাই এর উদ্দেশ্য) মাস্কের পর্যাপ্ত সরবরাহ রাখা উচিত, কারণ প্রত্যেকে প্রত্যেককে নিরাপদ রাখতে পারবে । যেহেতু প্রত্যেককে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, এবং উপসর্গবিহীন ব্যক্তিও সংক্রমণ ছড়াতে পারেন, প্রকাশ্যে মাস্ক পরলে সবাই সুরক্ষিত থাকবেন, যেভাবে পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ।

ভারতে বর্তমান এবং ভবিষ্যত লকডাউনের আর্থিক খেসারত- স্পষ্টতই বিপুল হয়ে দাঁড়াবে, এবং গরিবরাই এর বিসদৃশভাবে বিরাট একটা অংশ বহন করবে। যদিও, দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে, গরিবদের সেই বোঝার কাছে এই আর্থিক বোঝাও ছোট হয়ে যাবে। অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির মধ্যেই, ভারতের গরিবরা একে অপরের কাছাকাছি থাকেন, এবং তাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং মৃত্যুহার বেশি । তাঁরা কোরোনাভাইরাস পরীক্ষার খরচ দিতে পারবেন না । শোনা যাচ্ছে, বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলো একটা পরীক্ষার জন্য বেশ কয়েক হাজার টাকা নেয় । সরকারকে সরকারি ও বেসরকারি দু-ক্ষেত্রের হাসপাতালেই গরিবদের পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচের পুরো দায়ভার বহন করতে হবে, যাতে কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁরা পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হন। গরিবরা যেভাবে ঠাসাঠাসি করে থাকেন, সেদিকটা মাথায় রাখলে, আইসোলেশন তাঁদের ক্ষেত্রে বাস্তবোচিত কোনও বিকল্প নয়, তাই সরকারকে বিকল্প ব্যবস্থা করতেই হবে।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, যখনই COVID 19 আক্রান্ত সঙ্কটজনক রোগীর সংখ্যা বাড়বে, এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিরাট চাপের মুখে পড়বে, যেটা হয়েছে ইট্যালি, স্পেন, ফ্রান্স ও আমেরিকার (বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক স্টেট) ক্ষেত্রে, তখন স্বাস্থ্যপরিষেবা সীমিত হয়ে পড়বে । এখন এটা সবাই জানেন, যে কাদের বাঁচাবেন তা নিয়ে হৃদয়-বিদারক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ইট্যালির ডাক্তারদের, যখন একসঙ্গে অনেক রোগী সীমিত হাসপাতাল পরিষেবা পেতে প্রতিযোগিতা করছিলেন । এথিক্যাল গাইডলাইন মেনে তাঁরা অগ্রাধিকার দিয়েছেন সেইসব রোগীদের, যাঁদের জীবনের বেশি বছর এখনও বাকি । নিশ্চিতভাবেই এর অর্থ তরুণতর বা তুলনায় সুস্থ রোগীদের বাঁচানো । ভারতের বাস্তবটা যিনি জানেন, তিনি সহজেই অনুমান করতে পারছেন, যে চিকিৎসকরা এই ধরণের পরিস্থিতি এলে কাদের রক্ষা করবেন । জোরালো সম্ভাবনা আছে, যে একজন 75 বছর বয়সী ধনী ব্যক্তি এবং একজন 30 বছর বয়সী গরিব মহিলার মধ্যে, ধনী ব্যক্তিটিই মেডিক্যাল অগ্রাধিকার পাবেন। এধরণের পরিস্থিতি আটকানোর একমাত্র পথ হল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের মতো সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করে একটা নৈতিক নির্দেশিকা তৈরি করা, যাতে কোনও ডাক্তারের এই ধরণের পরিস্থিতিতে অনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার না থাকে । এতে ডাক্তারদের পাশাপাশি সেই হাসপাতাল প্রশাসকদেরও উপকার হবে, যাঁরা নিজেরাও প্রবল চাপের মুখে পড়তে চলেছেন, যার সঙ্গে রয়েছে রোগীর পরিবারের অতিরিক্ত চাপও । যখন স্বাস্থ্য পরিষেবা সীমিত, তখন গরিবরা লাইনের শেষে দাঁড়াতে বাধ্য। আমরা কখনওই চাই না, যে খরচ দেওয়ার ক্ষমতার ভিত্তিতে কোনও রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখার সিদ্ধান্ত নিন চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলো। তাই সরকারের উচিত এই তিন সপ্তাহের লকডাউনকে ব্যবহার করে একটা কঠোর নীতিগত নির্দেশিকা তৈরি করা, যে স্বাস্থ্য পরিষেবা সীমিত হয়ে দাঁড়ালে, কীভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।

প্রতিবেদনটি লিখেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক প্রিয়রঞ্জন ঝা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.