দিল্লি, 23 নভেম্বর : দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করল BJP ও NCP ৷ উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন NCP নেতা অজিত পাওয়ার । শনিবার ভোররাতেই বদলে গেছে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ । শেষ মুহূর্তে কার্যত বাজিমাত করেছে BJP । আজ সাংবাদিক বৈঠকে BJP নেতা রবিশংকর প্রসাদ পরোক্ষে সেই কথাই বললেন । তিনি বলেন, "শিবসেনা, কংগ্রেস এবং শরদ পাওয়ার পিছনের দরজা দিয়ে মহারাষ্ট্র দখলের চেষ্টা করছিল । আর সেটা বন্ধ করেছে BJP ।"
এবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে 105 টি আসনেই থমকে গেছিল BJP । 56টি আসন পায় শিবসেনা । তবে, ঠাকরে পরিবার থেকে প্রথম ভোটে দাঁড়ানো উদ্ধব পুত্র আদিত্যকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তোলে শিবসেনা । কিন্তু BJP দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর সিদ্ধান্তে অনড় ছিল । BJP-র এই অবস্থানের জেরে পরবর্তীতে কংগ্রেস ও NCP-র সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের চেষ্টা করে শিবসেনা । কোনও দলই সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক জোগাড় করতে না পারায় রাজ্যে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন । গতরাত পর্যন্ত রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল মনে করেছিল NCP-র সঙ্গে জোট করে শিবসেনাই সরকার গঠন করবে এবং উদ্ধব ঠাকরে হবেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু ভোররাতেই রাজ্য রাজনীতির পটভূমিতে বড়মাপের ওলটপালট হল । পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে NCP-র সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করল BJP ।
রবিশংকর প্রসাদ বলেন, "মহারাষ্ট্রের মানুষ প্রশ্ন করতে শুরু করেছিল যদি BJP-র পক্ষে জনরায় থাকে তাহলে কেন এই অসাধু জোটকে (NCP , কংগ্রেস ও শিবসেনা) আটকাতে পারছে না তারা ? কেনই বা জনরায়কে মেনে নিয়ে সরকার গঠন করছে না? শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের জন্য মূল্যবোধের জলাঞ্জলি দিয়েছে শিবসেনা । সত্যিকারের চক্রান্তকারী তারাই, যারা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য অসাধু জোট গঠনের চেষ্টা করেছিল । একসময় কংগ্রেস ও NCP নিজেরাই বলেছিল যে, জনরায় মেনে তারা বিরোধী আসনে বসবে । কিন্তু পরে চেয়ারের লোভে ম্যাচ ফিক্সিং হয়ে গেল ।"
ইতিমধ্যেই NCP-র পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে অজিত পাওয়ারকে । শরদ পাওয়ার দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রে BJP-র সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়নি তাঁর দল NCP ৷ এই সিদ্ধান্ত অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত ৷ এই সিদ্ধান্তকে NCP সমর্থন করছেন না৷ তবে সবকিছুর মাঝেও শেষ হাসিটা হাসল BJP ।