ETV Bharat / bharat

কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অভাব, CWC-র জন্য নির্বাচন প্রয়োজন ছিল : সঞ্জয় ঝা

author img

By

Published : Jun 9, 2020, 10:07 PM IST

Etv ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সঞ্জয় ঝার । দলের গণতন্ত্র, সভাপতি নির্বাচন, বিধায়কদের দলত্যাগ থেকে একাধিক বিষয়ে কথা বললেন তিনি ।

সঞ্জয় ঝা
সঞ্জয় ঝা

দিল্লি, 9 জুন : দলের ‘হাইকম্যান্ড সংস্কৃতি’ নিয়ে দলকেই কটাক্ষ করলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা । সুপ্রাচীন রাজনৈতিক দলে আশু পরিবর্তন আনার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করারও প্রস্তাব দিলেন। তাঁর কথায়, এই দল বর্তমানে পুরাতন হয়ে গিয়েছে। ETV ভারতকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে উঠে এল নানা কথা ।

Etv ভারত : কৌশল প্রণয়নে কংগ্রেস কোথায় পিছিয়ে পড়ছে?

সঞ্জয় ঝা : নিজেরাই একজোট হয়ে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না কংগ্রেস। আর এভাবেই BJP-কে সাহায্য করে চলেছে। আমাদের আদর্শ পৃথক। কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ, উদার,গণতান্ত্রিক, আধুনিকমনস্ক এবং সহিষ্ণু। কিন্তু আমরা, আমাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে ধীরে ধীরে দুর্বল আর ভঙ্গুর করে তুলছি। রাহুল গান্ধির পদত্যাগের পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় হতে চলল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের দল কোনও সভাপতি নির্বাচন করে উঠতে পারেনি। এবার আমাদের এগোতেই হবে। পরবর্তী লোকসভা ভোটের জন্য দলের কোনও বিশিষ্ট মুখ না থাকলে চলবে না। এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। আমরা যদি এটা না করতে পারি, তাহলে BJP-র কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে।

Etv ভারত : আপনি কি মনে করেন সভাপতি নির্বাচন ঘিরে দলের ভিতরে মতবিরোধ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে?

সঞ্জয় ঝা : যে কোনও আলোচনার দু’টো দিক থাকবেই। এমনকি তিনটি দিকও থাকতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করলে দেখা যাবে, কংগ্রেস বর্তমানে অস্তিত্ত্বরক্ষার সংকটে ভুগছে। পর পর দু’টো লোকসভা ভোটে পরাজয়, গড়ে ১০০টা আসনও পেতে পারিনি আমরা। বেশ কিছু রাজ্যে হেরে গিয়েছি। আমাদের যে কোথাও সমস্যা হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট।

দ্বিতীয় বিষয় হল, আমরা বলে আসছি BJP অগণতান্ত্রিক। কিন্তু আমাদের দিকে প্রশ্ন ওঠা উচিত যে, কংগ্রেসের ভিতরে আমরা শেষ কবে নির্বাচন করেছি? এখন সময় এসেছে, কংগ্রেসের ভিতরে নতুন কোনও নেতার খোঁজ পাওয়ার, যিনি আমাদের দলের শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোরই খোলনলচে পালটে দেবেন না । বরং কীভাবে বিরোধী দলগুলিকে যোগ্য জবাব দেওয়া যায়, সেই সূত্রেরও সন্ধান দেবেন এবং কীভাবে জনগণের নাড়ি বুঝতে হবে, তাও জানাবেন।

Etv ভারত : রাজ্যসভার ভোট সামনেই কিন্তু দলে ইস্তফার পালা চলছে। গুজরাতের বিধায়করা দল ছাড়ছেন। আসন্ন নির্বাচনের জন্য কৌশল প্রণয়নে কংগ্রেসের কোথায় ত্রুটি হচ্ছে ?

সঞ্জয় ঝা : 2017 সালে ফিরে আসুন । যখন রাহুল গান্ধি গুজরাতে প্রচার করেছিলেন এবং সেই সময় সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয় যে, আমরা BJP-কে জোরালো টক্কর দিতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের অবস্থা দেখুন। সেই একই কংগ্রেস বিধায়করা, যাঁরা সেই সময় গুজরাতে জিতেছিলেন, তাঁরা এখন আমাদের ছেড়ে BJP-তে যোগ দিচ্ছেন। এটাই কংগ্রেসের সমস্যা। আমরা কেন আমাদের নেতা-মন্ত্রীদের ধরে রাখতে পারছি না? এর অর্থ এটাই যে, কংগ্রেসের টিকিটে যাঁরা সেই সময় জিতেছিলেন, তাঁরা কেউই আদতে কংগ্রেসের মতাদর্শে বিশ্বাস রাখতে পারেননি। এই সবকিছুর জন্য BJP-র দিকে আঙুল তোলা সহজ । বলা যায় BJP টাকা ঢালছে। কিংবা CBI বা ইনকাম ট্যাক্সকেও দোষ দেওয়া যেতে পারে । কিন্তু তারা কেন এতে সফল হবে? কেন এত রকম চাপ আর প্রলোভন স্বত্ত্বেও কংগ্রেসের ভিতরে কোনও সত্যিকারের কংগ্রেসম্যান থাকবেন না? রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেসের অক্ষমতার জন্যই দল থেকে সকলে চলে যাচ্ছেন ।

Etv ভারত : কংগ্রেসের অভ্যন্তরে পরিবর্তন আনার জন্য কোনও পরামর্শ দেবেন ?

সঞ্জয় ঝা : প্রথমত, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে নির্বাচন হতে হবে। যে মনোনয়ন প্রথা এখন চলছে, তার অবসান দরকার। নাহলে পরবর্তীতে তা একটা বড় গুটিপোকায় পরিণত হবে, যা গোটা দলটাকে চালানোর চেষ্টা করবে, আর এটা সুস্থতার লক্ষণ নয়। আমাদের দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আনতেই হবে। আমাদের পাঁচজন আঞ্চলিক সহ-সভাপতি থাকা উচিত। এত বড় একটা দেশ চালাতে গেলে এবং প্রতিটি অঞ্চলকে নিয়ে চলতে গেলে ক্ষমতায় আরও বেশি সংখ্যক নেতা থাকাটা দরকার। একটা প্রছন্ন ক্যাবিনেট থাকা দরকার । অন্তত মুখ্য পোর্টফোলিওগুলিতে যেমন প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, স্বাস্থ্য এবং বিদেশনীতিতে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে আপনাকে আপনার সেরা বাজিটা ধরতেই হবে। দলের উচিত তহবিল পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ হওয়া। শুধুমাত্র কর্পোরেটদের উপর কিংবা ইলেক্টোরাল বন্ডের উপর নির্ভর করে থাকলে চলে না। তহবিলে যাতে সকলে অনুদান দিতে পারেন, সেজন্য সকলের কাছে একে খোলা রাখতে হবে। র‌াজ্য নেতাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। AICC-র পরিকাঠামো বদলে ফেলতে হবে আমাদের । কারণ এটা পুরাতন এবং প্রবীণ হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তনের পথে আমাদের আরও বেশি স্বচ্ছন্দ,নমনীয় এবং শিখতে ইচ্ছুক হতে হবে।

Etv ভারত : তার মানে দলে আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে ?

সঞ্জয় ঝা : আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের সংজ্ঞা হল, কংগ্রেসে যাতে যে কেউ বা যে কারও কাছে পৌঁছাতে পারে তাঁর নিজস্ব পরিকল্পনা এবং পরামর্শ নিয়ে । যাতে দল আরও শক্তিশালী হয়। এটা পূর্ব পরিকল্পিত বা সুবিধাবাদী হতে পারে না। এটা একটা নিয়মিত চলা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অংশ, এর মাধ্যমে নেতৃত্বরা যেন স্বচ্ছভাবে দলের কাজ পরিচালনা করতে পারেন। এখন প্রয়োজন হল, পরস্পরের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো তৈরি করা।

উদাহরণস্বরূপ, 2019 সালে পরাজয়ের পর, এটা ঠিক করা হয়েছিল যে, কোনও মুখপাত্র কোথাও TV চ্যানেলে বা বিতর্কসভায় অংশ নেবেন না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবারও কোনও মুখপাত্রের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়নি। এটা কী ধরনের গণতন্ত্র? আমি এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত উদ্ভট, নিষ্ঠুর এবং হাস্যকর বলে মনে করেছি। কিন্তু গত ৬ বছরে দলে এমন কাউকে পাওয়া যায়নি, যে উদে্যাগ নিয়ে এক জায়গায় বসে দলের ভুলগুলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন । বা আলোচনা করছেন, আমরা কেন হারছি? কোথায় আমাদের ভুল রয়েছে । যোগাযোগের গোটা মাধ্যমটাই আজ এখানে-ওখানে হাতেগোনা কিছু পদাধিকারী কর্মকর্তার হাতে সীমাবদ্ধ ।

দিল্লি, 9 জুন : দলের ‘হাইকম্যান্ড সংস্কৃতি’ নিয়ে দলকেই কটাক্ষ করলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা । সুপ্রাচীন রাজনৈতিক দলে আশু পরিবর্তন আনার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করারও প্রস্তাব দিলেন। তাঁর কথায়, এই দল বর্তমানে পুরাতন হয়ে গিয়েছে। ETV ভারতকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে উঠে এল নানা কথা ।

Etv ভারত : কৌশল প্রণয়নে কংগ্রেস কোথায় পিছিয়ে পড়ছে?

সঞ্জয় ঝা : নিজেরাই একজোট হয়ে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না কংগ্রেস। আর এভাবেই BJP-কে সাহায্য করে চলেছে। আমাদের আদর্শ পৃথক। কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ, উদার,গণতান্ত্রিক, আধুনিকমনস্ক এবং সহিষ্ণু। কিন্তু আমরা, আমাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে ধীরে ধীরে দুর্বল আর ভঙ্গুর করে তুলছি। রাহুল গান্ধির পদত্যাগের পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় হতে চলল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের দল কোনও সভাপতি নির্বাচন করে উঠতে পারেনি। এবার আমাদের এগোতেই হবে। পরবর্তী লোকসভা ভোটের জন্য দলের কোনও বিশিষ্ট মুখ না থাকলে চলবে না। এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। আমরা যদি এটা না করতে পারি, তাহলে BJP-র কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে।

Etv ভারত : আপনি কি মনে করেন সভাপতি নির্বাচন ঘিরে দলের ভিতরে মতবিরোধ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে?

সঞ্জয় ঝা : যে কোনও আলোচনার দু’টো দিক থাকবেই। এমনকি তিনটি দিকও থাকতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করলে দেখা যাবে, কংগ্রেস বর্তমানে অস্তিত্ত্বরক্ষার সংকটে ভুগছে। পর পর দু’টো লোকসভা ভোটে পরাজয়, গড়ে ১০০টা আসনও পেতে পারিনি আমরা। বেশ কিছু রাজ্যে হেরে গিয়েছি। আমাদের যে কোথাও সমস্যা হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট।

দ্বিতীয় বিষয় হল, আমরা বলে আসছি BJP অগণতান্ত্রিক। কিন্তু আমাদের দিকে প্রশ্ন ওঠা উচিত যে, কংগ্রেসের ভিতরে আমরা শেষ কবে নির্বাচন করেছি? এখন সময় এসেছে, কংগ্রেসের ভিতরে নতুন কোনও নেতার খোঁজ পাওয়ার, যিনি আমাদের দলের শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোরই খোলনলচে পালটে দেবেন না । বরং কীভাবে বিরোধী দলগুলিকে যোগ্য জবাব দেওয়া যায়, সেই সূত্রেরও সন্ধান দেবেন এবং কীভাবে জনগণের নাড়ি বুঝতে হবে, তাও জানাবেন।

Etv ভারত : রাজ্যসভার ভোট সামনেই কিন্তু দলে ইস্তফার পালা চলছে। গুজরাতের বিধায়করা দল ছাড়ছেন। আসন্ন নির্বাচনের জন্য কৌশল প্রণয়নে কংগ্রেসের কোথায় ত্রুটি হচ্ছে ?

সঞ্জয় ঝা : 2017 সালে ফিরে আসুন । যখন রাহুল গান্ধি গুজরাতে প্রচার করেছিলেন এবং সেই সময় সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয় যে, আমরা BJP-কে জোরালো টক্কর দিতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের অবস্থা দেখুন। সেই একই কংগ্রেস বিধায়করা, যাঁরা সেই সময় গুজরাতে জিতেছিলেন, তাঁরা এখন আমাদের ছেড়ে BJP-তে যোগ দিচ্ছেন। এটাই কংগ্রেসের সমস্যা। আমরা কেন আমাদের নেতা-মন্ত্রীদের ধরে রাখতে পারছি না? এর অর্থ এটাই যে, কংগ্রেসের টিকিটে যাঁরা সেই সময় জিতেছিলেন, তাঁরা কেউই আদতে কংগ্রেসের মতাদর্শে বিশ্বাস রাখতে পারেননি। এই সবকিছুর জন্য BJP-র দিকে আঙুল তোলা সহজ । বলা যায় BJP টাকা ঢালছে। কিংবা CBI বা ইনকাম ট্যাক্সকেও দোষ দেওয়া যেতে পারে । কিন্তু তারা কেন এতে সফল হবে? কেন এত রকম চাপ আর প্রলোভন স্বত্ত্বেও কংগ্রেসের ভিতরে কোনও সত্যিকারের কংগ্রেসম্যান থাকবেন না? রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেসের অক্ষমতার জন্যই দল থেকে সকলে চলে যাচ্ছেন ।

Etv ভারত : কংগ্রেসের অভ্যন্তরে পরিবর্তন আনার জন্য কোনও পরামর্শ দেবেন ?

সঞ্জয় ঝা : প্রথমত, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে নির্বাচন হতে হবে। যে মনোনয়ন প্রথা এখন চলছে, তার অবসান দরকার। নাহলে পরবর্তীতে তা একটা বড় গুটিপোকায় পরিণত হবে, যা গোটা দলটাকে চালানোর চেষ্টা করবে, আর এটা সুস্থতার লক্ষণ নয়। আমাদের দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আনতেই হবে। আমাদের পাঁচজন আঞ্চলিক সহ-সভাপতি থাকা উচিত। এত বড় একটা দেশ চালাতে গেলে এবং প্রতিটি অঞ্চলকে নিয়ে চলতে গেলে ক্ষমতায় আরও বেশি সংখ্যক নেতা থাকাটা দরকার। একটা প্রছন্ন ক্যাবিনেট থাকা দরকার । অন্তত মুখ্য পোর্টফোলিওগুলিতে যেমন প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, স্বাস্থ্য এবং বিদেশনীতিতে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে আপনাকে আপনার সেরা বাজিটা ধরতেই হবে। দলের উচিত তহবিল পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ হওয়া। শুধুমাত্র কর্পোরেটদের উপর কিংবা ইলেক্টোরাল বন্ডের উপর নির্ভর করে থাকলে চলে না। তহবিলে যাতে সকলে অনুদান দিতে পারেন, সেজন্য সকলের কাছে একে খোলা রাখতে হবে। র‌াজ্য নেতাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। AICC-র পরিকাঠামো বদলে ফেলতে হবে আমাদের । কারণ এটা পুরাতন এবং প্রবীণ হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তনের পথে আমাদের আরও বেশি স্বচ্ছন্দ,নমনীয় এবং শিখতে ইচ্ছুক হতে হবে।

Etv ভারত : তার মানে দলে আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে ?

সঞ্জয় ঝা : আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের সংজ্ঞা হল, কংগ্রেসে যাতে যে কেউ বা যে কারও কাছে পৌঁছাতে পারে তাঁর নিজস্ব পরিকল্পনা এবং পরামর্শ নিয়ে । যাতে দল আরও শক্তিশালী হয়। এটা পূর্ব পরিকল্পিত বা সুবিধাবাদী হতে পারে না। এটা একটা নিয়মিত চলা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অংশ, এর মাধ্যমে নেতৃত্বরা যেন স্বচ্ছভাবে দলের কাজ পরিচালনা করতে পারেন। এখন প্রয়োজন হল, পরস্পরের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো তৈরি করা।

উদাহরণস্বরূপ, 2019 সালে পরাজয়ের পর, এটা ঠিক করা হয়েছিল যে, কোনও মুখপাত্র কোথাও TV চ্যানেলে বা বিতর্কসভায় অংশ নেবেন না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবারও কোনও মুখপাত্রের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়নি। এটা কী ধরনের গণতন্ত্র? আমি এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত উদ্ভট, নিষ্ঠুর এবং হাস্যকর বলে মনে করেছি। কিন্তু গত ৬ বছরে দলে এমন কাউকে পাওয়া যায়নি, যে উদে্যাগ নিয়ে এক জায়গায় বসে দলের ভুলগুলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন । বা আলোচনা করছেন, আমরা কেন হারছি? কোথায় আমাদের ভুল রয়েছে । যোগাযোগের গোটা মাধ্যমটাই আজ এখানে-ওখানে হাতেগোনা কিছু পদাধিকারী কর্মকর্তার হাতে সীমাবদ্ধ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.