ETV Bharat / bharat

এই প্রথম নয়, নেহরুর সময় থেকেই একাধিকবার নেতৃত্ব সংকটে কংগ্রেস - শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব

কংগ্রেসে নেতৃত্বের সংকট নতুন কিছু নয় । অতীতে এমন বেশ কিছু ঘটনায় দল অভ্যন্তরীণ বিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল এমনকী নতুন দল গড়ে তুলতে কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্নও হয়ে যান অনেক নেতাই ।

congress
congress
author img

By

Published : Aug 24, 2020, 11:00 PM IST

দিল্লি, 24 অগাস্ট : নেতৃত্ব সংকট ইশুতে আজ অনলাইনে বৈঠক করেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (CWC) । ইতিমধ্যেই ফের দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে । কংগ্রেস নেতৃত্বের একটি অংশ “সম্মিলিত নেতৃত্ব”-এর দাবি জানিয়েছে । এদিকে, গান্ধি পরিবারের প্রতিই বিশ্বাস রেখে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেশ কিছু শীর্ষ কংগ্রেস নেতা ।

তবে, কংগ্রেস পার্টির মধ্যে এই অশান্তি নতুন কিছু নয় । এর আগেও এই দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মতবিরোধের বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে । বিগত 6 বছর ধরে ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস । এর আগে 1996 থেকে 2004 - টানা আট বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল কংগ্রেস ।

এ'পর্যন্ত যেসব কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলের সহকর্মীরাই সরব হয়েছেন, তাঁরা হলেন -

সোনিয়া গান্ধি

1999 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শরদ পাওয়ার, পি এ সাংমা এবং তারিক আনওয়ার সোনিয়া গান্ধির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয় । পরবর্তীকালে 2001 সালে জিতেন্দ্র প্রসাদ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য সোনিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন । তবে হেরে যান তিনি ।

সীতারাম কেশরী

1998 সালে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠে দলের অভ্যন্তরেই । সোনিয়া গান্ধির অনুগামীরা মূলত তাঁকেই পার্টির সভাপতির পদে চেয়ে সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে সরব হন ।

পি ভি নরসিংহ রাও

1990-এর গোড়ার দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাওয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের সেই সময়কার শীর্ষ নেতারা । যার ফলস্বরূপ, এন ডি তিওয়ারি এবং অর্জুন সিং কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন দল গঠন করেন।

রাজীব গান্ধি

দেশের সরকারে থাকাকালীন 1987 সালে সংকটের সম্মুখীন হয়েছিল কংগ্রেস । রাজীব গান্ধি ক্ষমতায় থাকাকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি পি সিং, দুর্নীতি নিয়ে সরব হন । তাঁকে প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল । এরপর বহু বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে জন মোর্চা গঠন করেন ভি পি সিং ।

ইন্দিরা গান্ধি

1969 সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী ভি ভি গিরিকে সমর্থন জানান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি । এই নিয়ে ইন্দিরা গান্ধির তীব্র বিরোধিতা করেন 'সিন্ডিকেট' নামে পরিচিত কংগ্রেসের প্রবীণ নেতৃত্ব । কংগ্রেসের অফিশিয়াল প্রার্থী নীলম সঞ্জীব রেড্ডি হেরে যান এবং দলের তৎকালীন সভাপতি এস নিজালিঙ্গাপ্পা ইন্দিরা গান্ধিকে বহিষ্কার করার পর দলটি বিভক্ত হয়ে পড়ে ।

1977 সালে, জরুরি অবস্থার পরবর্তী সময়ে দলের তৎকালীন সভাপতি কে ব্রহ্মানন্দ রেড্ডি এবং সংসদীয় নেতা ওয়াই বি চন্দন, ইন্দিরার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন । এবার ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে আবারও পার্টি বিভক্ত হয় । নির্বাচনের আগেই জগজীবন রাম এবং এইচ এন বহুগুণার মতো নেতারা কংগ্রেস ফর ডেমোক্রেসি নামে একটি নতুন দল গঠন করেছিলেন ।

জওহরলাল নেহরু

এমনকী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু-র বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন, কে এম মুন্সী এবং নরহর বিষ্ণু গডগিলের মতো নেতারা । 1950 সালের সেপ্টেম্বরে AICC-র অধিবেশনে ট্যান্ডন কংগ্রেস সভাপতির পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন । এটি স্বাধীন ভারতে এই পদের জন্য প্রথম নির্বাচন ছিল । 1951-এর জুলাইয়ে, নেহরু CWC থেকে পদত্যাগ করার পর আবারও সংকটের সম্মুখীন হয় কংগ্রেস । প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তখন আর এক বছর বাকি । অবশেষে পদত্যাগ করেন ট্যান্ডন । অক্টোবরে দিল্লিতে AICC-র অধিবেশনে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন নেহরু ।

দিল্লি, 24 অগাস্ট : নেতৃত্ব সংকট ইশুতে আজ অনলাইনে বৈঠক করেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (CWC) । ইতিমধ্যেই ফের দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে । কংগ্রেস নেতৃত্বের একটি অংশ “সম্মিলিত নেতৃত্ব”-এর দাবি জানিয়েছে । এদিকে, গান্ধি পরিবারের প্রতিই বিশ্বাস রেখে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেশ কিছু শীর্ষ কংগ্রেস নেতা ।

তবে, কংগ্রেস পার্টির মধ্যে এই অশান্তি নতুন কিছু নয় । এর আগেও এই দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মতবিরোধের বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে । বিগত 6 বছর ধরে ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস । এর আগে 1996 থেকে 2004 - টানা আট বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল কংগ্রেস ।

এ'পর্যন্ত যেসব কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলের সহকর্মীরাই সরব হয়েছেন, তাঁরা হলেন -

সোনিয়া গান্ধি

1999 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শরদ পাওয়ার, পি এ সাংমা এবং তারিক আনওয়ার সোনিয়া গান্ধির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয় । পরবর্তীকালে 2001 সালে জিতেন্দ্র প্রসাদ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য সোনিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন । তবে হেরে যান তিনি ।

সীতারাম কেশরী

1998 সালে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠে দলের অভ্যন্তরেই । সোনিয়া গান্ধির অনুগামীরা মূলত তাঁকেই পার্টির সভাপতির পদে চেয়ে সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে সরব হন ।

পি ভি নরসিংহ রাও

1990-এর গোড়ার দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাওয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের সেই সময়কার শীর্ষ নেতারা । যার ফলস্বরূপ, এন ডি তিওয়ারি এবং অর্জুন সিং কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন দল গঠন করেন।

রাজীব গান্ধি

দেশের সরকারে থাকাকালীন 1987 সালে সংকটের সম্মুখীন হয়েছিল কংগ্রেস । রাজীব গান্ধি ক্ষমতায় থাকাকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি পি সিং, দুর্নীতি নিয়ে সরব হন । তাঁকে প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল । এরপর বহু বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে জন মোর্চা গঠন করেন ভি পি সিং ।

ইন্দিরা গান্ধি

1969 সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী ভি ভি গিরিকে সমর্থন জানান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি । এই নিয়ে ইন্দিরা গান্ধির তীব্র বিরোধিতা করেন 'সিন্ডিকেট' নামে পরিচিত কংগ্রেসের প্রবীণ নেতৃত্ব । কংগ্রেসের অফিশিয়াল প্রার্থী নীলম সঞ্জীব রেড্ডি হেরে যান এবং দলের তৎকালীন সভাপতি এস নিজালিঙ্গাপ্পা ইন্দিরা গান্ধিকে বহিষ্কার করার পর দলটি বিভক্ত হয়ে পড়ে ।

1977 সালে, জরুরি অবস্থার পরবর্তী সময়ে দলের তৎকালীন সভাপতি কে ব্রহ্মানন্দ রেড্ডি এবং সংসদীয় নেতা ওয়াই বি চন্দন, ইন্দিরার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন । এবার ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে আবারও পার্টি বিভক্ত হয় । নির্বাচনের আগেই জগজীবন রাম এবং এইচ এন বহুগুণার মতো নেতারা কংগ্রেস ফর ডেমোক্রেসি নামে একটি নতুন দল গঠন করেছিলেন ।

জওহরলাল নেহরু

এমনকী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু-র বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন, কে এম মুন্সী এবং নরহর বিষ্ণু গডগিলের মতো নেতারা । 1950 সালের সেপ্টেম্বরে AICC-র অধিবেশনে ট্যান্ডন কংগ্রেস সভাপতির পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন । এটি স্বাধীন ভারতে এই পদের জন্য প্রথম নির্বাচন ছিল । 1951-এর জুলাইয়ে, নেহরু CWC থেকে পদত্যাগ করার পর আবারও সংকটের সম্মুখীন হয় কংগ্রেস । প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তখন আর এক বছর বাকি । অবশেষে পদত্যাগ করেন ট্যান্ডন । অক্টোবরে দিল্লিতে AICC-র অধিবেশনে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন নেহরু ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.