দিল্লি, 18 জুন : গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে পেরেক লাগানো রড । তাহলে কি 15 জুনের সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে এইধরনের রড দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের প্রহার করেছিল চিনের লিবারেশন আর্মি ? এই পেরেক লাগানো রডের প্রহারেই কি শহিদ হয়েছেন ভারতীয় সেনার 20 জওয়ান ? উঠছে প্রশ্ন ।
যদি তাই হয়ে থাকে তবে, এই ধরনের বর্বরতা নিন্দার অপেক্ষা রাখে না । ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অজয় শুক্লা টুইটারে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন চিনের এই ধরনের বর্বরোচিত কাজের । টুইটারে এই পেরেক লাগানো রডের ছবি তুলে তিনি লিখেছেন, "এই ধরনের কাজ ঠগের, জওয়ানের নয় ।"
-
The nail-studded rods — captured by Indian soldiers from the Galwan Valley encounter site — with which Chinese soldiers attacked an Indian Army patrol and killed 20 Indian soldiers.
— Ajai Shukla (@ajaishukla) June 18, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
Such barbarism must be condemned. This is thuggery, not soldiering pic.twitter.com/nFcNpyPHCQ
">The nail-studded rods — captured by Indian soldiers from the Galwan Valley encounter site — with which Chinese soldiers attacked an Indian Army patrol and killed 20 Indian soldiers.
— Ajai Shukla (@ajaishukla) June 18, 2020
Such barbarism must be condemned. This is thuggery, not soldiering pic.twitter.com/nFcNpyPHCQThe nail-studded rods — captured by Indian soldiers from the Galwan Valley encounter site — with which Chinese soldiers attacked an Indian Army patrol and killed 20 Indian soldiers.
— Ajai Shukla (@ajaishukla) June 18, 2020
Such barbarism must be condemned. This is thuggery, not soldiering pic.twitter.com/nFcNpyPHCQ
1993 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে সামরিক স্তরে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । 1996 সাল ও 2005 সালের সীমান্ত চুক্তি অনুসারে সীমান্তে সংঘর্ষের সময়ে অস্ত্রের ব্যবহার করা চুক্তিবিরুদ্ধ । চুক্তি অনুসারে প্রথাগত যুদ্ধে ব্যবহার হয় এমন কোনও অস্ত্র সীমান্ত সংঘর্ষে ব্যবহার করতে পারবে না কোনও পক্ষই । এটাই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটা সীমান্ত চুক্তি । আর এই কারণেই প্রথাগত সামরিক অস্ত্রের বদলে চিনের সেনা ব্যবহার করছে পেরেক লাগানো রড । এই খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
এদিকে, 15 জুনের ঘটনার পর ইতিমধ্যেই ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর লাদাখ, অরুণাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা । সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখন থেকে LAC-তে সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে ।
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের দিকে ভারতীয় সেনা এগোচ্ছে । জানা গেছে, চামোলিতে আরও বেশি করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেনা জওয়ানরা প্রতিনিয়ত অনুশীলন করে চলেছেন । পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে ভারত চিন সীমান্ত ইশু নিয়ে আগামীকাল সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।