ETV Bharat / bharat

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা, প্রোটোকল লঙ্ঘন করছে চিন, প্রত্যুত্তর ভারতের

29 ও 30 অগাস্ট রাতে লাদাখে প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করে পিপলস লিবারেশন আর্মি ৷ জানায় ভারতীয় সেনা ৷ বেজিংয়ের এই কার্যকলাপ সেইসব দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ও প্রোটোকলের পরিপন্থী, যা সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি বজায় রাখতে দুই দেশই গ্রহণ করেছিল । আলোচনায় অরুণিম ভুঁইয়া ৷

লাদাখ
লাদাখ
author img

By

Published : Sep 2, 2020, 2:22 PM IST

দিল্লি : পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো লেকে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-র অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনা সোমবার যে বিবৃতি দিয়েছে, তার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে চিন । মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে ফের বলা হয়, বেজিংয়ের কার্যকলাপ সেইসব দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ও প্রোটোকলের পরিপন্থী, যা সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি বজায় রাখতে দুই দেশই গ্রহণ করেছিল ।

একটি বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "29 ও 30 অগাস্ট গভীর রাতে চিন ‘প্ররোচনামূলক সামরিক কার্যকলাপ’ করেছে, যার উদ্দেশ্য ছিল প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তীরের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা ।" তিনি আর বলেন, " ভারতের পক্ষ থেকে এইসব প্ররোচনামূলক পদক্ষেপের জবাব দেওয়া হয়েছে এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আমাদের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । এছাড়াও 31 অগাস্ট, যখন দু'পক্ষের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসেছিলেন, তখনও চিনা সেনারা প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ নেয় । সঠিক সময়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় ভারত এই প্রয়াস আটকাতে পেরেছে যা স্থিতাবস্থা বদলের জন্য করা হয়েছিল ।"

বিদেশমন্ত্রকের মন্তব্য সামনে এল দিল্লির চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রংয়ের মন্তব্যের পর । জি রং অভিযোগ করেন, "ভারতীয় সেনা পূর্বে দু'দেশের বহুস্তরীয় আলাপ-আলোচনা ও দর কষাকষির মাধ্যমে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তকে লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীর দিয়ে, রেকিন পাসের কাছে, ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিম সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশ করে এবং প্ররোচনা দেয় । এর ফলে সীমান্তে আবার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে । ভারতের পদক্ষেপে চিনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয়েছে, গুরুতরভাবে সমঝোতা, প্রোটোকল ও সর্বসম্মতভাবে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন হয়েছে, এবং চিন-ভারত সীমান্তে শান্তি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ভারত যা করেছে তা শান্তি বজায় রাখতে দু'দেশের প্রয়াসের বিপরীত, এবং চিন জোরালোভাবে এর বিরোধিতা করছে ।"

সোমবার ভারতীয় সেনা একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, PLA আগের সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় গৃহীত সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন করেছে পূর্ব লাদাখে সংঘাতের মধ্যে দিয়ে, এবং স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে প্ররোচনামূলক সামরিক কার্যকলাপ চালিয়েছে । সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভারতীয় সেনা প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে PLA-র এই তৎপরতাকে রুখে দিয়েছে । আমাদের অবস্থানকে মজবুত করতে এবং পরিস্থিতি পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে চিনের এই অভীপ্সাকে রুখে দিয়েছে । ভারতীয় সেনা আলোচনার মধ্যে দিয়ে শান্তি বজায় রাখতে দায়বদ্ধ, কিন্তু সমানভাবে নিজেদের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতেও দৃঢ়সংকল্প ।"

চলতি বছরের জুন মাসে গালওয়ানে দু'দেশের রক্তাক্ত সংঘাতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গত পঁয়তাল্লিশ বছরে প্রথম দু'তরফে মৃত্যুর পর দু'দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে । চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং মঙ্গলবার বেজিংয়ে সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন, প্যাংগং লেকের দক্ষিণে রেকিন পাহাড়ে ভারতীয় সেনা অবৈধভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ঢুকেছে । তিনি বলেন, "চিন দাবি করছে যে ভারত প্ররোচনা দেওয়া বন্ধ করুক এবং অবিলম্বে যে সেনা LAC পেরিয়ে ঢুকেছে তাদের ফিরিয়ে নিক । আর অবিলম্বে এমন কাজ বন্ধ করুক, যার মাধ্যমে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে ।"

চিনের সরকার ঘনিষ্ঠ ইংরেজি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে মঙ্গলবার একটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম "চিনকে ভারতের সুযোগসন্ধানী পদক্ষেপের জবাবি হামলা অবশ্যই করতে হবে ।" সেখানে দাবি করা হয়েছে যে ভারত "এমন প্ররোচনামূলক কাজ করেছে যাতে চিনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বে গভীর আঘাত লেগেছে, এবং চিন-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি ব্যাহত হয়েছে ।"এখানে যেমন বলা হচ্ছে যে চিন-ভারত সীমান্তে সামরিক সংঘাতের প্রস্তুতি নিতে হবে চিনকে, পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে দু-তরফের সমস্যা মেটানোর কথাও বলা হয়েছে ।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, "যখন ভারত বেপরোয়াভাবে চিনকে চ্যালেঞ্জ করছে, তখন চিনকে নরম থাকলে চলবে না । প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং নিজের জয় নিশ্চিত করতে হবে ।” ‘ভারতের থেকে চিন বহুগুণে শক্তিশালী এবং ভারত চিনের সমকক্ষ নয়’ বলার পাশাপাশি এতে যোগ করা হয়েছে, ‘আমাদের ভারতের এই ভ্রম চুরমার করে দিতে হবে যে আমেরিকার মতো অন্য শক্তির সঙ্গে যোগ দিয়ে সে চিনের মোকাবিলা করতে পারে । এশিয়া ও পৃথিবীর ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, যে শক্তি সুযোগসন্ধানী হয়ে দুর্বলের ওপর অত্যাচার করে, তারা সবলকে ভয় পায় । চিন-ভারত সীমান্ত ইস্যুর ক্ষেত্রে ভারত সুযোগসন্ধানী ।"

ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব তাঁর বিবৃতিতে জানান, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, এবং দু'পক্ষের বিশেষ প্রতিনিধিরা মেনে নিয়েছেন যে দায়িত্বশীলভাবে এই পরিস্থিতি সামলাতে হবে এবং দু'পক্ষেরই কোনও প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় । দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া ও প্রোটোকল অনুযায়ী শান্তি ও স্বস্তি বজায় রাখা উচিত । তিনি বলেন, "এবছরের শুরু থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের আচরণ ও কার্যকলাপ স্পষ্টভাবেই সেই দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া এবং প্রোটোকল লঙ্ঘন করছে, যা সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি সুনিশ্চিত করতে দু'দেশের মধ্যে গৃহীত হয়েছিল । এধরণের কার্যকলাপ দু'দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে বোঝাপড়ার চরম অসম্মানও বটে ।"

তিনি আরও বলেন, "ভারত সামরিক ও কূটনৈতিক দু'রকমভাবেই চিনের সাম্প্রতিক উস্কানিমূলক এবং আগ্রাসী কার্যকলাপকে দেখছে এবং বেজিংকে অনুরোধ করা হয়েছে যে তাদের ফ্রন্টলাইন বাহিনীকে এধরণের কার্যকলাপ থেকে বিরত করতে । ভারত ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমস্ত ইশু শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে দায়বদ্ধ । এই প্রেক্ষিতে আমরা আশা করি যে চিনের দিক থেকে পূর্বের বোঝাপড়াকে সৎভাবে মেনে চলা হবে, এবং তারা ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ।"

দিল্লি : পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো লেকে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-র অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনা সোমবার যে বিবৃতি দিয়েছে, তার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে চিন । মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে ফের বলা হয়, বেজিংয়ের কার্যকলাপ সেইসব দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ও প্রোটোকলের পরিপন্থী, যা সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি বজায় রাখতে দুই দেশই গ্রহণ করেছিল ।

একটি বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "29 ও 30 অগাস্ট গভীর রাতে চিন ‘প্ররোচনামূলক সামরিক কার্যকলাপ’ করেছে, যার উদ্দেশ্য ছিল প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তীরের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা ।" তিনি আর বলেন, " ভারতের পক্ষ থেকে এইসব প্ররোচনামূলক পদক্ষেপের জবাব দেওয়া হয়েছে এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আমাদের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । এছাড়াও 31 অগাস্ট, যখন দু'পক্ষের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসেছিলেন, তখনও চিনা সেনারা প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ নেয় । সঠিক সময়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় ভারত এই প্রয়াস আটকাতে পেরেছে যা স্থিতাবস্থা বদলের জন্য করা হয়েছিল ।"

বিদেশমন্ত্রকের মন্তব্য সামনে এল দিল্লির চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রংয়ের মন্তব্যের পর । জি রং অভিযোগ করেন, "ভারতীয় সেনা পূর্বে দু'দেশের বহুস্তরীয় আলাপ-আলোচনা ও দর কষাকষির মাধ্যমে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তকে লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীর দিয়ে, রেকিন পাসের কাছে, ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিম সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশ করে এবং প্ররোচনা দেয় । এর ফলে সীমান্তে আবার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে । ভারতের পদক্ষেপে চিনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয়েছে, গুরুতরভাবে সমঝোতা, প্রোটোকল ও সর্বসম্মতভাবে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন হয়েছে, এবং চিন-ভারত সীমান্তে শান্তি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ভারত যা করেছে তা শান্তি বজায় রাখতে দু'দেশের প্রয়াসের বিপরীত, এবং চিন জোরালোভাবে এর বিরোধিতা করছে ।"

সোমবার ভারতীয় সেনা একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, PLA আগের সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় গৃহীত সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন করেছে পূর্ব লাদাখে সংঘাতের মধ্যে দিয়ে, এবং স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে প্ররোচনামূলক সামরিক কার্যকলাপ চালিয়েছে । সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভারতীয় সেনা প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে PLA-র এই তৎপরতাকে রুখে দিয়েছে । আমাদের অবস্থানকে মজবুত করতে এবং পরিস্থিতি পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে চিনের এই অভীপ্সাকে রুখে দিয়েছে । ভারতীয় সেনা আলোচনার মধ্যে দিয়ে শান্তি বজায় রাখতে দায়বদ্ধ, কিন্তু সমানভাবে নিজেদের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতেও দৃঢ়সংকল্প ।"

চলতি বছরের জুন মাসে গালওয়ানে দু'দেশের রক্তাক্ত সংঘাতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গত পঁয়তাল্লিশ বছরে প্রথম দু'তরফে মৃত্যুর পর দু'দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে । চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং মঙ্গলবার বেজিংয়ে সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন, প্যাংগং লেকের দক্ষিণে রেকিন পাহাড়ে ভারতীয় সেনা অবৈধভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ঢুকেছে । তিনি বলেন, "চিন দাবি করছে যে ভারত প্ররোচনা দেওয়া বন্ধ করুক এবং অবিলম্বে যে সেনা LAC পেরিয়ে ঢুকেছে তাদের ফিরিয়ে নিক । আর অবিলম্বে এমন কাজ বন্ধ করুক, যার মাধ্যমে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে ।"

চিনের সরকার ঘনিষ্ঠ ইংরেজি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে মঙ্গলবার একটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম "চিনকে ভারতের সুযোগসন্ধানী পদক্ষেপের জবাবি হামলা অবশ্যই করতে হবে ।" সেখানে দাবি করা হয়েছে যে ভারত "এমন প্ররোচনামূলক কাজ করেছে যাতে চিনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বে গভীর আঘাত লেগেছে, এবং চিন-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি ব্যাহত হয়েছে ।"এখানে যেমন বলা হচ্ছে যে চিন-ভারত সীমান্তে সামরিক সংঘাতের প্রস্তুতি নিতে হবে চিনকে, পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে দু-তরফের সমস্যা মেটানোর কথাও বলা হয়েছে ।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, "যখন ভারত বেপরোয়াভাবে চিনকে চ্যালেঞ্জ করছে, তখন চিনকে নরম থাকলে চলবে না । প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং নিজের জয় নিশ্চিত করতে হবে ।” ‘ভারতের থেকে চিন বহুগুণে শক্তিশালী এবং ভারত চিনের সমকক্ষ নয়’ বলার পাশাপাশি এতে যোগ করা হয়েছে, ‘আমাদের ভারতের এই ভ্রম চুরমার করে দিতে হবে যে আমেরিকার মতো অন্য শক্তির সঙ্গে যোগ দিয়ে সে চিনের মোকাবিলা করতে পারে । এশিয়া ও পৃথিবীর ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, যে শক্তি সুযোগসন্ধানী হয়ে দুর্বলের ওপর অত্যাচার করে, তারা সবলকে ভয় পায় । চিন-ভারত সীমান্ত ইস্যুর ক্ষেত্রে ভারত সুযোগসন্ধানী ।"

ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব তাঁর বিবৃতিতে জানান, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, এবং দু'পক্ষের বিশেষ প্রতিনিধিরা মেনে নিয়েছেন যে দায়িত্বশীলভাবে এই পরিস্থিতি সামলাতে হবে এবং দু'পক্ষেরই কোনও প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় । দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া ও প্রোটোকল অনুযায়ী শান্তি ও স্বস্তি বজায় রাখা উচিত । তিনি বলেন, "এবছরের শুরু থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের আচরণ ও কার্যকলাপ স্পষ্টভাবেই সেই দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া এবং প্রোটোকল লঙ্ঘন করছে, যা সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি সুনিশ্চিত করতে দু'দেশের মধ্যে গৃহীত হয়েছিল । এধরণের কার্যকলাপ দু'দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে বোঝাপড়ার চরম অসম্মানও বটে ।"

তিনি আরও বলেন, "ভারত সামরিক ও কূটনৈতিক দু'রকমভাবেই চিনের সাম্প্রতিক উস্কানিমূলক এবং আগ্রাসী কার্যকলাপকে দেখছে এবং বেজিংকে অনুরোধ করা হয়েছে যে তাদের ফ্রন্টলাইন বাহিনীকে এধরণের কার্যকলাপ থেকে বিরত করতে । ভারত ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমস্ত ইশু শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে দায়বদ্ধ । এই প্রেক্ষিতে আমরা আশা করি যে চিনের দিক থেকে পূর্বের বোঝাপড়াকে সৎভাবে মেনে চলা হবে, এবং তারা ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.