দিল্লি, 3 জুলাই : দ্বিপাক্ষিক সমঝোতায় "আর্টিফিশিয়াল ব্লক" এলে আদতে দিল্লিই ক্ষতি হবে । আজ এমনই জানিয়ে দিল বেজিং । পাশাপাশি সীমান্তে উত্তেজনার পরিস্থিতি প্রশমিত করতে ও শান্তি ফেরাতে দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে চিন । আজ সাংবাদিক বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজ়িয়ন জানিয়েছেন, "ভারতীয় বাজারে চিনা সংস্থাগুলির স্বার্থরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
প্রথমে টিকট-সহ 59 টি চিনা অ্যাপকে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতানো ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতে থেকে নিষিদ্ধ করা হয় । এরপর, আজ কোনওকরম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাদাখ সফর । ঠিক তার পরপরই বেজিংয়ের থেকে এমন বার্তা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দেশের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ ।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজ়িয়ান এর আগে আজ সকালে বলেছিলেন, "ভারত এবং চিনের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে । সামরিক এবং কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা করা হচ্ছে । সীমান্তে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আলোচনা চলছে । এই পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষেরই কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয় যা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করবে ।"
নরেন্দ্র মোদি লাদাখ পৌঁছানোর পরেই এই বার্তা দিয়েছিল চিন । এদিকে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, "দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাদাখে বিশেষ আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । এই বিশেষ বাহিনী 2017-এ পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটির বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইকে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল । প্রয়োজনে চিনের সীমন্তেও একইভাবে কার্যকরী হবে তারা । "
প্রায় সাত সপ্তাহ ধরে লাদাখে চিন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত । দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । 15 জুন সংঘর্ষে ভারতের 20 জওয়ান শহিদ হন । মধ্যস্থতার জন্য দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হয় ।