ETV Bharat / bharat

মোদি-চিনপিং বৈঠকে উঠল না কাশ্মীর প্রসঙ্গ, কথা হল বাণিজ্য-সন্ত্রাস নিয়ে

author img

By

Published : Oct 12, 2019, 9:11 PM IST

চিনা রাষ্ট্রপ্রধান শি চিনপিংয়ের ভারত সফর ঘিরে বুক বেঁধে ছিল ইমরান খান প্রশাসন ৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চিনপিংয়ের দ্বিতীয় বৈঠকের নির্যাস ইসলামাবাদের পক্ষে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা ৷ মোদি-চিনপিংয়ের দ্বিতীয় বৈঠকে কশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে একটি কথাও আলোচনা হল না ৷ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, কাশ্মীর প্রসঙ্গটি বাদ দিয়ে মূলত দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়৷

মোদি-চিনপিং

দিল্লি, 12 অক্টোবর : পরিস্থিতি পালটে গেল মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৷ কাশ্মীর থেকে 370 এবং 35 এ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিল ইসলামাবাদ ৷ পিছন থেকে তাদের মদত দিচ্ছিল বেজিং ৷ স্বাভাবিকভাবেই চিনা রাষ্ট্রপ্রধান শি চিনপিংয়ের ভারত সফর ঘিরে বুক বেঁধে ছিল ইমরান খান প্রশাসন ৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চিনপিংয়ের দ্বিতীয় বৈঠকের নির্যাস ইসলামাবাদের পক্ষে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা ৷ মোদি-চিনপিংয়ের দ্বিতীয় বৈঠকে কশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে একটি কথাও আলোচনা হল না ৷ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, কাশ্মীর প্রসঙ্গটি বাদ দিয়ে মূলত দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়৷ দুই প্রতিবেশী দেশ সিদ্ধান্ত নিল, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে । বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার দিকেও অঙ্গীকার করল দুই দেশ ৷

গতকালই দু'দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন চিনপিং ৷ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দু'দফায় বৈঠক করেন তিনি ৷ আজ বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে বৈঠকের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন ৷ গোখলে জানান, মূলত বাণিজ্য নিয়েই আলোচনা হয়েছে ৷ বিদেশ সচিবের কথায়, "কাশ্মীর বিষয়টি পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ ৷ অন্য কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আমরা যে মেনে নেব না, তার এর আগেও বার বার স্পষ্ট করেছি ৷ কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট ৷ চিনপিংয়ের সফরের শুরুতেই কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান আরও একবার জানিয়ে দিয়েছিলাম ৷ আমরা খুশি, বেজিং আমাদের অবস্থানকে সম্মান দিয়েছে ৷"

সন্দেহ নেই, চিনপিংয়ের এই নীরবতা ইসলামাবাদের অস্বস্তি বাড়াল ৷ কাশ্মীরকে পাকিস্তান বারবারই আন্তর্জাতিক সমস্যা বলে দেখাতে চায় । কিন্তু, ভারতের অবস্থান ঠিক বিপরীত৷ ভারত এই বিবাদকে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা বলে মনে করে । 1972 সালের শিমলা চুক্তিতে কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই মেনে নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান । সেই চুক্তি এবং লাহোর ঘোষণাপত্রই আলোচনার ভিত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারত ।

ভারত ও চিন, দুই দেশের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ । তা দমন করতে যৌথভাবে কাজ করতে হবে দুই দেশকে ৷ দুটি দেশই খুব বৈচিত্রপূর্ণ ৷ নানা ধর্ম, সংস্কৃতির মানুষ একইসঙ্গে বাস করে ৷ সেক্ষেত্রে যৌথভাবেই সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের মোকাবিলা করতে হবে দুই দেশকে ৷ যাতে এই বিষয়গুলি মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে এবং সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে ৷ সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশপাশি দুই দেশের বাণিজ্যিক পরিস্থিতি নিয়েও আলাপ-আলোচনা হয় ৷ আলোচনা হয় নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুঁজে বার করা নিয়ে ৷ চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ঘাটতি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করা সহ একাধিক ইশুতে কথা বলেন মোদি ও শি চিনপিং ৷

প্রথম দিকে কাশ্মীর নিয়ে সামান্য কিছু মন্তব্য করলেও ক্রমেই নিজেদের অবস্থান বদল করে বেজিং ৷ ইমরান খান কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক বিষয় করে তুলতে চাইলেও বেজিং মনে করে এটি একান্তই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় । আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি তাদেরই মেটাতে হবে । কূটনৈতিক মহলের মত, কাশ্মীর নিয়ে দূরে থাকার নীতি নিয়ে বেজিং দিল্লির সামনে একটা বার্তা দিতে চাইছে ৷ কাশ্মীর ইশুতে হস্তক্ষেপ না করে চিন বার্তা দিতে চাইল, দিল্লি যেন তিব্বত ও তাইওয়ানকে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে স্বীকার করে নেয় ৷

দিল্লি, 12 অক্টোবর : পরিস্থিতি পালটে গেল মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৷ কাশ্মীর থেকে 370 এবং 35 এ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিল ইসলামাবাদ ৷ পিছন থেকে তাদের মদত দিচ্ছিল বেজিং ৷ স্বাভাবিকভাবেই চিনা রাষ্ট্রপ্রধান শি চিনপিংয়ের ভারত সফর ঘিরে বুক বেঁধে ছিল ইমরান খান প্রশাসন ৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চিনপিংয়ের দ্বিতীয় বৈঠকের নির্যাস ইসলামাবাদের পক্ষে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা ৷ মোদি-চিনপিংয়ের দ্বিতীয় বৈঠকে কশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে একটি কথাও আলোচনা হল না ৷ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, কাশ্মীর প্রসঙ্গটি বাদ দিয়ে মূলত দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়৷ দুই প্রতিবেশী দেশ সিদ্ধান্ত নিল, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে । বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার দিকেও অঙ্গীকার করল দুই দেশ ৷

গতকালই দু'দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন চিনপিং ৷ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দু'দফায় বৈঠক করেন তিনি ৷ আজ বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে বৈঠকের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন ৷ গোখলে জানান, মূলত বাণিজ্য নিয়েই আলোচনা হয়েছে ৷ বিদেশ সচিবের কথায়, "কাশ্মীর বিষয়টি পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ ৷ অন্য কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আমরা যে মেনে নেব না, তার এর আগেও বার বার স্পষ্ট করেছি ৷ কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট ৷ চিনপিংয়ের সফরের শুরুতেই কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান আরও একবার জানিয়ে দিয়েছিলাম ৷ আমরা খুশি, বেজিং আমাদের অবস্থানকে সম্মান দিয়েছে ৷"

সন্দেহ নেই, চিনপিংয়ের এই নীরবতা ইসলামাবাদের অস্বস্তি বাড়াল ৷ কাশ্মীরকে পাকিস্তান বারবারই আন্তর্জাতিক সমস্যা বলে দেখাতে চায় । কিন্তু, ভারতের অবস্থান ঠিক বিপরীত৷ ভারত এই বিবাদকে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা বলে মনে করে । 1972 সালের শিমলা চুক্তিতে কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই মেনে নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান । সেই চুক্তি এবং লাহোর ঘোষণাপত্রই আলোচনার ভিত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারত ।

ভারত ও চিন, দুই দেশের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ । তা দমন করতে যৌথভাবে কাজ করতে হবে দুই দেশকে ৷ দুটি দেশই খুব বৈচিত্রপূর্ণ ৷ নানা ধর্ম, সংস্কৃতির মানুষ একইসঙ্গে বাস করে ৷ সেক্ষেত্রে যৌথভাবেই সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের মোকাবিলা করতে হবে দুই দেশকে ৷ যাতে এই বিষয়গুলি মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে এবং সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে ৷ সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশপাশি দুই দেশের বাণিজ্যিক পরিস্থিতি নিয়েও আলাপ-আলোচনা হয় ৷ আলোচনা হয় নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুঁজে বার করা নিয়ে ৷ চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ঘাটতি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করা সহ একাধিক ইশুতে কথা বলেন মোদি ও শি চিনপিং ৷

প্রথম দিকে কাশ্মীর নিয়ে সামান্য কিছু মন্তব্য করলেও ক্রমেই নিজেদের অবস্থান বদল করে বেজিং ৷ ইমরান খান কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক বিষয় করে তুলতে চাইলেও বেজিং মনে করে এটি একান্তই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় । আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি তাদেরই মেটাতে হবে । কূটনৈতিক মহলের মত, কাশ্মীর নিয়ে দূরে থাকার নীতি নিয়ে বেজিং দিল্লির সামনে একটা বার্তা দিতে চাইছে ৷ কাশ্মীর ইশুতে হস্তক্ষেপ না করে চিন বার্তা দিতে চাইল, দিল্লি যেন তিব্বত ও তাইওয়ানকে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে স্বীকার করে নেয় ৷

New Delhi, Oct 12 (ANI): Former Chandni Chowk MLA Alka Lamba on Saturday (October 12) joined the Congress in the presence of state in-charge, PC Chacko. A former Delhi University Students Union president, Lamba had served in the Congress for 20 years before she quit the grand old party and joined the AAP and won the 2015 Assembly elections from Chandni Chowk.


ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.