বেজিং, 6 জুলাই : গালওয়ান উপত্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে চিন ৷ লাদাখে সেনার সক্রিয়তা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান ৷ সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই কিলোমিটার পিছনে সরে গেছে চিন সেনা ৷ তাঁবু, গাড়ি এবং স্তম্ভ সরিয়ে নিয়েছে চিন । এই খবর চাউর হওয়ার পরই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই বিবৃতি দেওয়া হয়৷
গত 30 জুন ভারত ও চিনের মধ্যে কমান্ডারস্তরের বৈঠক হয় ৷ তারপর পেট্রোলিং পয়েন্ট 14 থেকে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে তাঁবু, গাড়ি ও স্তম্ভ সরাতে দেখা গেছে ৷ যদিও গালওয়ান ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় চিন সেনার গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে ৷ এই বিষয়ে ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, 30 জুন ভারত ও চিনের মধ্যে কমান্ডারস্তরের আলোচনা হয়েছে ৷ সেই বৈঠকের ফলাফল হল এই "ডিসএনগেজমেন্ট" ৷
15 জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন 20 জন ভারতীয় জওয়ান ৷ অন্যদিকে ভারতের তরফে চিন সেনারও 43 জন জওয়ানের হতাহতের কথা বলা হলেও, চিন তা স্বীকার করেনি। 15 জুনের ঘটনার পর LAC জুড়ে অস্থায়ী শিবির তৈরি করে চিন সেনা ৷ জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফেও উপত্যকায় অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হয় ৷ দুই তরফে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ৷ সীমান্তে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে 3 জুলাই প্রধানমন্ত্রী লে-তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেখা করতে যান ৷
পরিস্থিতির সুরাহা করতে সম্প্রতি দুই দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার স্তরে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকার সীমান্তরেখা থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সীমান্ত থেকে তাদের গাড়ি, তাঁবু সহ সেনাবাহিনী দুই কিমি পিছিয়ে নিয়ে গেছে ৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে সরাসরি ঘটনাস্থান পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে ৷ তাঁবু ও কিছু সংখ্যক সেনাবাহিনী সরানো হলেও LAC-তে এখনও অস্ত্রসজ্জিত চিনা সেনাবাহিনীর গাড়ি উপস্থিত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ সম্পূর্ণ বিষয়টির উপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনা ৷