মহারাষ্ট্র, 9 জুলাই : একটি মুরগির পালকই সম্বল । তার মাধ্যমেই একটা খুনের রহস্য উদঘাটন করল মহারাষ্ট্র পুলিশ । 23 জুন কল্যাণের কাছে একটি কালভার্টের নিচে এক যুবতির অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । সেইসময় পাশে পড়ে থাকা চট ব্যাগের গায়ে একটি মুরগির পালক লেগে ছিল, দেখেছিলেন তারা। এছাড়াও মৃতদেহের পাশে একটি তাবিজ ও বাংলায় লেখা একটি কাগজের টুকরোও মিলেছিল ।
এরপর খুনের রহস্য সমাধানে তৎপর হয় পুলিশ । তবে ক্লু বলতে একটি মাত্র মুরগির পালক । সেই পালক সম্বল করেই রহস্যে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশ । এরপর এলাকায় কোথায় কোথায় মাংসের দোকান আছে এবং বাংলাভাষীদের খুঁজতে শুরু করে পুলিশ ।
তদন্তে নেমে জানতে পারে, আলম শেখ নামে এক স্থানীয় মাংসবিক্রেতার কাছে আসতেন খাড়াবলির ওই যুবতি । শুরু হয় আলমকে খোঁজা । কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরে পরেই হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গে চলে যায় আলম । থানে পুলিশ টিম এবার পশ্চিমবঙ্গের দিকে রওনা দেয় । শেষপর্যন্ত বীরভূমের সৈয়দপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
জেরার মুখে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে আলম । জেরার মুখে সে জানায়, গত কয়েকমাস ধরে মণি নামে ওই যুবতির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল । কয়েকমাস আগে মণি তাঁর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ধার নেন । কিন্তু তা ফেরত দেননি । 22 জুন রাতে আলম তার এক বন্ধুর সঙ্গে মণির বাড়ি গিয়েছিল । তারপর গলায় মাফলার জড়িয়ে মণিকে খুন করেছিল । পরে বাইকে করে মৃতদেহটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে গিয়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেয় তারা ।
গতরাতে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয় । আর এক বন্ধু মনরুদ্দিন শেখের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।