ভোপাল, 9 ফেব্রুয়ারি : মেয়েটির বয়স তখন আঠারো । গত সেপ্টেম্বরে আত্মহত্যা করার আগে মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন লোকের কাছে সাত মাসে সাতবার বিক্রি হয়েছিল সে । বড়সড় নারী পাচারচক্রের খোঁজ পাওয়ার পর এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । তদন্ত করছে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ - এই তিন রাজ্যের পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক প্রতিবন্ধী বাবলু কুশওয়াহা, যার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল যুবতির, তার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি ।
ছত্তিশগড়ের জশপুর জেলার ওই যুবতির অপহরণকারীরা তার বাবা-মাকে ডেকে টাকার জন্য চাপ দেওয়ার পর এই পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে । জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের যশপুরের বাসিন্দা এই যুবতিকে এক আত্মীয় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরে নিয়ে যায়, সেখান থেকেই তাকে অপহরণ করা হয়েছিল ।
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে নাবালিকাকে ধর্ষণ, অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে
অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চাইলে নির্যাতিতার পরিবার পুলিশকে বিষয়টি জানায় । এমনকী ওই টাকা দিতে না পারলে নির্যাতিতার বাবা-মাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । পরে যুবতিকে কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় । শেষ উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের বাসিন্দা সন্তোষ কুশওয়াহা 70,000 টাকায় যুবতিকে কেনে বলে জানা গিয়েছে ।
সন্তোষ কুশওয়াহার ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী বাবলু কুশওয়ার সঙ্গে পরে জোর করে নির্যাতিতার বিয়ে দেওয়া হয় । গত বছরের সেপ্টেম্বরে ললিতপুরে আত্মহত্যা করেন নির্যাতিতা যুবতি ।
আরও পড়ুন : ''কর্মীদের সুরক্ষাতেই সর্বাধিক গুরুত্ব'', কেন্দ্রের নোটিসে জবাব টুইটারের