শ্রীনগর, ৬ মার্চ : রাজৌরি জেলার সুন্দরবানি সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গতকাল রাত থেকে গুলি চালাতে থাকে পাকিস্তান। পালটা জবাব দেয় ভারতীয় জওয়ানরাও। শেষ পর্যন্ত আজ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ গুলির লড়াই শেষ হয়। ঘটনায় ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার আন্তর্জাতিক সীমান্ত (LoC) বরাবর একাধিক জায়গাতে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। বিগত কয়েকদিনে অনেকবার ভারতের রাজৌরি ও পুঞ্চে মর্টার শেল ছোড়ে পাকিস্তান। যার জেরে স্থানীয় প্রশাসন রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় LoC থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি স্থানীয়দের বাড়ির ভিতরে থাকতে বলা হয়।
গতবছর তিনহাজারেরও বেশিবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় পাকিস্তানিজঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ আত্মঘাতী হামলা চালায়। সেই হামলায় ৪০ জন CRPF জওয়ান শহিদ হন। তার জবাব দিতেই ২৬ ফেব্রুয়ারির ভোররাতে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিঘাঁটিতে অভিযান চালায় বায়ুসেনা। ১০০০ কেজি বোমা নিক্ষেপ করে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়।
প্রসঙ্গত, বায়ুসেনার অভিযানের পর তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছিল পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছিলেন সেই বৈঠকের নেতৃত্বে। বৈঠকের পর যে কোনও অবস্থার জন্য সেনা ও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে তৈরি থাকতে বলেছিলেন ইমরান। এরপর থেকেই LoC-তে ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছাউনি টার্গেট করে হামলা চালানো হয়। তারপর থেকেই প্রতিদিন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।