ভোপাল, 9 মার্চ : মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন কমল নাথ সরকারের 20 জন মন্ত্রী । জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ 17 কংগ্রেস বিধায়ক বেঙ্গালুরু উড়ে যাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । 20 জন মন্ত্রীরই ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ জানিয়েছেন, শিগগিরই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হবে । পাশাপাশি তিনি বলেন, "মাফিয়াদের সাহায্য নিয়ে যেসব শক্তি অস্থিরতা তৈরি করছে, তাদের আমি সফল হতে দেব না।"
মধ্যপ্রদেশে তৈরি হওয়া সংকট নিয়ে সন্ধেবেলা মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন কমল নাথ ৷ বৈঠকে যোগ দিতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছান রাজ্যের মুখ্যসচিব এস আর মোহান্তি ৷ তারপরই শুরু হয় বৈঠক । যেখানে 16 জন মন্ত্রী নিজেদের ইস্তফাপত্র দেন । যা সেই মুহূর্তেই গৃহীত হয় । অন্যদিকে, এর আগে এবিষয়ে আলোচনা করতে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ দেখা করতে যান কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ৷ অভিযোগ ওঠে বিধায়ক কেনাবেচার ।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ 17 জন বিধায়ক আজই চার্টার্ড ফ্লাইটে উড়ে গেছেন বেঙ্গালুরুতে ৷ এর মধ্যে 6 জন মন্ত্রীও রয়েছেন ৷ বেঙ্গালুরু শহরের বাইরে একটি রিসর্টে তাঁদের রাখা হয়েছে বলেও জানা যায় । তারপরই বৈঠক নিয়ে তৎপর হন দিগ্বিজয় সিং, বিবেক তাংখারা ।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের এই সংকটের মধ্যেই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ৷ অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে তিনি BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন ৷
2018 সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর দৌড় থেকে ছিটকে গেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ৷ সেসময় মাত্র 23 জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি ৷ যদিও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকার গঠনের পিছনে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলীয় বিধায়কের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গেছিল কমল নাথের কাঁধে ৷ পাশাপাশি রাজ্য কংগ্রেসের দখলও গেছিল তাঁর হাতে ৷
রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে এর আগে কমল নাথ জানিয়েছিলেন, তিনি দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ৷ কিন্তু এনিয়ে দলের জেনেরাল সেক্রেটারি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে কোনও আলোচনায় যেতে রাজি নন ৷
দিনকয়েক আগে দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেছিলেন, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে BJP শিবির ৷ তাঁর এই অভিযোগের ঠিক একদিন পরেই গুরুগ্রামের একটি হোটেল একসঙ্গে দেখা গেছিল কংগ্রেসের ছ'জন বিধায়ককে ৷ আর সেই নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, জোর করে বিধায়কদের হোটেলে আটকে রেখেছে BJP ৷ পরে অবশ্য দলের তরফে দাবি করা হয়েছিল, 6 জন বিধায়ককেই উদ্ধার করে আনা হয়েছে ৷ কিন্তু, খোঁজ মিলছিল না তিন বিধায়কের ৷ পরে তাঁদেরই একজন হরদীপ দাঙ ইস্তফাপত্র জমা করেন বিধানসভার স্পিকার এন পি প্রজাপতির কাছে ৷