ETV Bharat / bharat

বয়েজ় লকার রুম : অভিযুক্ত নাবালকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি অভিভাবকের

অভিভাবকের দাবি, তাঁদের ছেলে এমন কোনও কাজে যুক্ত থাকতেই পারে না । সংশ্লিষ্ট গ্রুপের অ্যাডমিন এবং একজন মেয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা । এই মেয়েটির ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে তাঁদের ছেলেও একজন সদস্য ছিল ।

gurugram
gurugram
author img

By

Published : May 8, 2020, 12:15 PM IST

গুরুগ্রাম, 8মে : ‘বয়েজ় লকার রুম’ কাণ্ডে অভিযুক্ত এক নাবালক কয়েকদিন আগে আত্মহত্যা করে । ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয় । অভিযুক্ত নাবালকের বাবা-মা গুরুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানিয়েছে । তাঁদের ছেলের মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা । তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত ওই নাবালককে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে ।

কার্লটন এস্টেটের বাসিন্দা ছিল ওই অভিযুক্ত নাবালক । 4মে ওই আবাসনের 11তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয় সে। একটি বিতর্কিত ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ বয়েজ় লকার রুমের সদস্য ছিল সে বলে সন্দেহ করেছে পুলিশ । অপরাধমূলক কাজে সেও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে । যদিও এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে মানতে নারাজ তার অভিভাবকরা ।

উপরন্তু অভিভাবকের দাবি, তাঁদের ছেলে এমন কোনও কাজে যুক্ত থাকতেই পারে না । সংশ্লিষ্ট গ্রুপের অ্যাডমিন এবং একজন মেয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা । এই মেয়েটির ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে তাঁদের ছেলেও একজন সদস্য ছিল । অভিযুক্ত ওই নাবালকের বাবা আরও অভিযোগ করেন, ইনস্টাগ্রামে এমন কোনও প্রতিরোধক টুল নেই । যা বিতর্কিত এবং অমার্জিত বার্তা এবং ভিডিয়োকে প্রতিরোধ করতে পারে ।

কয়েকদিন আগে ‘বয়েজ় লকার রুম’-র চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসে । ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায় । অভিযোগ ওঠে, ওই গ্রুপের সদস্যরা সহপাঠীদের ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করত । এক নাবালিকা সহপাঠীকে গণধর্ষণ করে তারা । বিভিন্ন মেয়ের ছবি বিকৃত করে সেই গ্রুপে আদান-প্রদানের অভিযোগ ওঠে । ক্ষমতার অপব্যবহার করে শাস্তি থেকে বাঁচার পরিকল্পনাও করে ওই গ্রুপের সদস্য । তারা প্রত্যেকেই খ্যাত স্কুলের পড়ুয়া বলে অভিযোগে জানানো হয় । এরপরই তোলপাড় হয় সোশাল মিডিয়া । এই নাবালকও ওই গ্রুপের সদস্য ছিল বলে অভিযোগ হয় ।

কিন্তু এই সম্পূর্ণ বিষয়টি মানতে নারাজ ওই অভিযুক্ত নাবালকের বাবা । তিনি বলেন, “আমার ছেলে সাইকেল চড়তে লজ্জা পেত । সে কীভাবে বিতর্কিত ছবি পোস্ট করে ? তাকে পরিকল্পনা করে ওই গ্রুপের সদস্য হিসেবে দেখানো হচ্ছে । একজন মেয়ে ওর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছে । সবাই ওর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে । প্রচুর মেসেজ আসতে থাকে । ও এইসব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি । অবসাদে ভুগছিল । ”

13 বছরের বেশি বয়সের যে কেউ ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল খুলতে পারে । যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ তারা এই বিষয়ে বোঝার মতো প্রাপ্তমনস্ক নয় বলে দাবি করেন এই ব্যক্তি । তিনি বলেন, “আমি আমার সন্তানকে হারিয়েছি । কিন্তু অন্যান্য অভিভাবকরাও এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক চাই না ।”

গুরুগ্রাম পুলিশের PRO সুভাষ বোকান এই বিষয়ে বলেন, “আমরা ওর অভিভাবকের তরফে অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত চলছে । সাইবার অপরাধ খুঁজে বের করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে । ” ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার এই ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের অ্যাডমিন ।

গুরুগ্রাম, 8মে : ‘বয়েজ় লকার রুম’ কাণ্ডে অভিযুক্ত এক নাবালক কয়েকদিন আগে আত্মহত্যা করে । ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয় । অভিযুক্ত নাবালকের বাবা-মা গুরুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানিয়েছে । তাঁদের ছেলের মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা । তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত ওই নাবালককে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে ।

কার্লটন এস্টেটের বাসিন্দা ছিল ওই অভিযুক্ত নাবালক । 4মে ওই আবাসনের 11তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয় সে। একটি বিতর্কিত ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ বয়েজ় লকার রুমের সদস্য ছিল সে বলে সন্দেহ করেছে পুলিশ । অপরাধমূলক কাজে সেও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে । যদিও এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে মানতে নারাজ তার অভিভাবকরা ।

উপরন্তু অভিভাবকের দাবি, তাঁদের ছেলে এমন কোনও কাজে যুক্ত থাকতেই পারে না । সংশ্লিষ্ট গ্রুপের অ্যাডমিন এবং একজন মেয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা । এই মেয়েটির ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে তাঁদের ছেলেও একজন সদস্য ছিল । অভিযুক্ত ওই নাবালকের বাবা আরও অভিযোগ করেন, ইনস্টাগ্রামে এমন কোনও প্রতিরোধক টুল নেই । যা বিতর্কিত এবং অমার্জিত বার্তা এবং ভিডিয়োকে প্রতিরোধ করতে পারে ।

কয়েকদিন আগে ‘বয়েজ় লকার রুম’-র চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসে । ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায় । অভিযোগ ওঠে, ওই গ্রুপের সদস্যরা সহপাঠীদের ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করত । এক নাবালিকা সহপাঠীকে গণধর্ষণ করে তারা । বিভিন্ন মেয়ের ছবি বিকৃত করে সেই গ্রুপে আদান-প্রদানের অভিযোগ ওঠে । ক্ষমতার অপব্যবহার করে শাস্তি থেকে বাঁচার পরিকল্পনাও করে ওই গ্রুপের সদস্য । তারা প্রত্যেকেই খ্যাত স্কুলের পড়ুয়া বলে অভিযোগে জানানো হয় । এরপরই তোলপাড় হয় সোশাল মিডিয়া । এই নাবালকও ওই গ্রুপের সদস্য ছিল বলে অভিযোগ হয় ।

কিন্তু এই সম্পূর্ণ বিষয়টি মানতে নারাজ ওই অভিযুক্ত নাবালকের বাবা । তিনি বলেন, “আমার ছেলে সাইকেল চড়তে লজ্জা পেত । সে কীভাবে বিতর্কিত ছবি পোস্ট করে ? তাকে পরিকল্পনা করে ওই গ্রুপের সদস্য হিসেবে দেখানো হচ্ছে । একজন মেয়ে ওর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছে । সবাই ওর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে । প্রচুর মেসেজ আসতে থাকে । ও এইসব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি । অবসাদে ভুগছিল । ”

13 বছরের বেশি বয়সের যে কেউ ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল খুলতে পারে । যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ তারা এই বিষয়ে বোঝার মতো প্রাপ্তমনস্ক নয় বলে দাবি করেন এই ব্যক্তি । তিনি বলেন, “আমি আমার সন্তানকে হারিয়েছি । কিন্তু অন্যান্য অভিভাবকরাও এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক চাই না ।”

গুরুগ্রাম পুলিশের PRO সুভাষ বোকান এই বিষয়ে বলেন, “আমরা ওর অভিভাবকের তরফে অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত চলছে । সাইবার অপরাধ খুঁজে বের করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে । ” ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার এই ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের অ্যাডমিন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.