দিল্লি, 18 নভেম্বর: রাষ্ট্রপতির শাসন জারি রয়েছে মহারাষ্ট্রে ৷ কারা গঠন করবে সরকার, তা নিয়ে জট কাটেনি এখনও ৷ বল কখনও BJP-র কোর্টে, কখনও বা শিবসেনার কোর্টে ৷ আবার কখনও সেনা-কংগ্রেস-NCP জোট নিয়ে জল্পনা চলছে ৷ কিন্তু এতদূর জলঘোলা হতই না যদি শুরুতেই শিবসেনা ও BJP 50:50 ফর্মুলায় সমঝোতায় আসত ৷ কিন্তু তারা কেউই নিজেদের জায়গা ছাড়তে রাজি ছিল না ৷ আজ ফের শিবসেনা ও BJP জোটের জল্পনা উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে ৷ তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক জট কাটাতে পারে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পদের ভাগাভাগি ৷ দু'পক্ষই যদি নির্ধারিত সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীত্ব পায় তাহলে সমস্যা মিটবে ৷" এ বিষয়ে তিনি 3:2 ফর্মুলার কথা বলেন ।
রামদাস বলেন, "সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে সমঝোতার বিষয়ে ৷ আমি BJP-র 3 বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্ব এবং সেনার 2 বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের ফর্মুলার কথা তাঁকে বলেছি । সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, BJP যদি রাজি থাকে তবে শিবসেনাও বিষয়টি নিয়ে ভাববে ৷ এ বিষয়ে আমি BJP-র সঙ্গে কথা বলব ৷ BJP সভাপতি অমিত শাহকে বিষয়টিতে মধ্যস্থতা করার জন্যও অনুরোধ করব ।"
অমিত শাহ যদি হস্তক্ষেপ করেন, তাহলে কি ফের ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবে সেনা-BJP জোট? যদিও অমিত শাহ ৩:২ ফর্মুলা নিয়ে কোনও আশ্বাস এখনও পর্যন্ত দেননি ৷ গত সপ্তাহেই শাহ জানিয়েছিলেন, শিবসেনা নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকে এমন কিছু দাবি করছে যা মেনে নেওয়া যায় না ৷ শাহ আরও স্পষ্ট করে বলেছিলেন, " নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমি বলে আসছিলাম জোটের জয় হলে দেবেন্দ্র ফড়নবিশই হবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ৷ তখন কেউই আপত্তি করেনি ৷ এখন সেনা তাদের নতুন নতুন দাবি নিয়ে আসছে, যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না ৷"
এদিকে সেনাও বিকল্প জোট নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল কংগ্রেস এবং NCP-র সঙ্গে ৷ এ বিষয়ে রাজধানীতে বৈঠকও হয় শরদ পাওয়ার আর সোনিয়া গান্ধির ৷ কথা হয় কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম নিয়েও ৷ তারপরেও দিশা মেলেনি বিকল্প জোটের ভবিষ্যতের ৷
এখনও পর্যন্ত সবকটি বৈঠকই ছিল ইঙ্গিতবহ ৷ তবুও যেন বেসুরো ৷ প্রতি মুহুর্তে বদলাচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ ৷ এর মাঝে ৩:২ ফর্মুলায় অমিত শাহের হস্তক্ষেপ কি নতুন কোনও দিশা দেখাতে মিলবে ? আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল ৷