দিল্লি, 15 মে : প্রিয়াঙ্কা শর্মা ইশুতে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা মুখে রাজ্য সরকার। মুক্তির নির্দেশের পরও BJP নেত্রী প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে ছাড়তে কেন দেরি করল রাজ্য সরকার ? এই প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। গতকালই প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু, প্রিয়াঙ্কাকে আজ সকাল 9টা 40 মিনিটে ছাড়া হয় জেল থেকে। নির্দেশের পরও রাজ্য সরকার-পুলিশ কেন দেরি করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার । BJP-র যুব মোর্চা নেত্রী হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। হাওড়ার এক তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রিয়াঙ্কা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি শেয়ার করেছেন । সেই ছবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটি MEME করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাম্প্রতিক মেটা-গালা অনুষ্ঠানের পোশাকে দেখানো হয়েছে । প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেপ্তার করে হাওড়া জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : জেলে অত্যাচার হয়েছে, তবু আমি ক্ষমা চাইব না : প্রিয়াঙ্কা শর্মা
কিন্তু, তারপরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে । গতকালই প্রিয়াঙ্কার জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট । বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে তাঁর জামিন দেয় । একই সঙ্গে বেঞ্চ স্পষ্ট করে, লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে BJP নেত্রীকে। কিন্তু, এর পরই তাঁর আইনজীবীকে ডেকে নির্দেশ পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। বলা হয়, প্রিয়াঙ্কাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : দ্রুত মুক্তি দিতে হবে, BJP যুব মোর্চা নেত্রীর জামিন মঞ্জুর সুপ্রিম কোর্টে
গতকাল নির্দেশের পরও প্রিয়াঙ্কার মুক্তি মেলেনি। আজ সকালে ছাড়া হয় এই BJP নেত্রীকে । এই নিয়েই আজ রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট । প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী বলেন, ''প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু, সেই নির্দেশের একদিন পর মুক্তি দেওয়া হল তাঁকে ।'' এই ঘটনা আদালত অবমাননার সামিল । পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেন আইনজীবী ।