ETV Bharat / bharat

এই সাপের বিষ গলিয়ে দেয় মানুষের মাংস

ব্রাজিলের স্নেক আইল্যান্ড কুয়েইমাদা গ্র্যান্ড গোল্ডেন ল্যান্সহেড ভাইপারের ডেরা ৷ এই সাপের বিষে মানুষের মাংস গলে যায় ৷ ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত ৷ দু-একটি ব্যতিক্রম দেখা গেছে ৷

গোল্ডেন ল্যান্সহেড
গোল্ডেন ল্যান্সহেড
author img

By

Published : Jun 29, 2020, 2:36 AM IST

Updated : Jun 29, 2020, 9:10 AM IST

বিশ্বের স্থলভাগে সাধারণত যে সাপগুলিথাকে, তাদেরথেকে পাঁচগুণ বেশি বিষাক্ত এই সাপ ৷ যার এক ছোবলেই মৃত্যু অবধারিত ৷ বিষক্রিয়ায়মানুষের মাংস পর্যন্ত গলে যায় ৷ পৃথিবীর অন্যতম এই ভয়ঙ্কর সরীসৃপের নাম গোল্ডেনল্যান্সহেড ভাইপার ৷

ব্রাজিলেরস্নেক আইল্যান্ড কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে ৷ সাও পাওলো শহর থেকে প্রায় 90 মাইল দূরের এই দ্বীপকে মৃত্যু দ্বীপবললেও অত্যুক্তি করা হয় না ৷ কারণ এই দ্বীপ বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপেদের ডেরা ৷এই দ্বীপই গোল্ডেন ল্যান্সহেডের একমাত্র বাসস্থান ৷

ল্যান্সহেডকাউকে ছোবল মারলে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত ৷ বিষের প্রভাবেকিছুক্ষণ পরই গলতে শুরু করে মানুষের মাংস ৷ সমীক্ষা অনুযায়ী, এক সময় উত্তর ও দক্ষিণ অ্যামেরিকারবেশিরভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ি ছিল এই সরীসৃপ ৷ এটি মাটি থেকে 1-1.5 ফুট উপরে উঠে ফণা তুলে ছোবল মারতেপারে ৷ ব্রাজিলে 90 শতাংশসাপের ছোবলে মৃত্যুর জন্য দায়ি ছিল এই সাপ ৷

তবেএখন মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম ৷ কারণ এই দ্বীপ জনবসতি থেকে বহুকাল আগেই বিচ্ছিন্নহয়ে গেছে৷ 11,000 বছরআগে সমুদ্রের জল স্তর বাড়তে থাকার জেরে স্নেক আইল্যান্ড কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডেউপকূলবর্তী এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৷ এরপর থেকে সাধারণত কোনও শিকারি বাসাপুড়ের আনাগোনাও নেই এখানে ৷ তার জেরে এদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি হতে শুরু করে ৷জীববিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, 110 একরএই দ্বীপে প্রতি পাঁচ স্কয়্যার মিটারের মধ্যে একটি সাপ দেখা যায় ৷ এখানে শুধুল্যান্সহেডের সংখ্যাই প্রায় 4 হাজার ৷

এইদ্বীপের এক ইতিহাস রয়েছে ৷ 1920 সালের আশপাশে এখানে অল্প সময়ের জন্য বসবাস করতেন মানুষজন ৷স্থানীয়দের কথায় সেই সময় এক লাইটহাউজ়ের রক্ষী ও তাঁর পরিবারকে শেষ করে দেয় এইগোল্ডেন ভাইপার ৷ তারপর থেকে ধীরে ধীরে জনবসতি কমতে থাকে এবং এক সময়ে প্রায়নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৷ এই দ্বীপে সম্পূর্ণ রূপে সাপেদের দখলে চলে যায় ৷ এখন এইদ্বীপে যাওয়া বারণ ৷ ব্রাজিল সরকারের তরফেও দ্বীপে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ এখননৌ-সেনার লোকজন নজরে রাখে দ্বীপটিকে ৷ যাতে কেউ কোনওভাবে এই দ্বীপের আশপাশেঘোরাঘুরি না করে বা অ্যাডভেঞ্চার করার জন্য যেতে না পারে ৷

তবে, এই দ্বীপ জীব বিজ্ঞানীদের কাছে একটিআস্ত ল্যাবরেটরি ৷ সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতি নিয়ে এখানকার নানা প্রজাতির সাপেরউপর গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা ৷ অনেকে গোল্ডেন ল্যান্সহেড নিয়েও গবেষণা করেন ৷সাপের বিষ থেকে নানা ওষুধ তৈরি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলে ৷ সাধারণত হৃদরোগ, রক্তপ্রবাহ সচল রাখা, রক্ত জমাট বাঁধার চিকিৎসায় ওঅ্যান্টিভেনম ক্যানসার ড্রাগ তৈরি করতে কাজে লাগে এখানকার সাপের বিষ ৷

তবে পৃথিবাীর অন্যতম বিষাক্তপ্রাণীটির জীবনও নিরাপদ নয় ৷ এই গোল্ডেন ল্যান্সহেডের পাচারও চলে ভয়ঙ্করভাবে ৷ একএকটি গোল্ডেন ল্যান্সহেডের মূল্য 10,000-30,000 ডলার ৷ তবে অন্য সাপও পাচার করা হয় ৷ সম্প্রতিপ্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পাচারকারীদের উপদ্রবে এই দ্বীপে সাপের সংখ্যা গত 15 বছরে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে ৷ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফরকনজারভেশন অফ ন্যাচার (IUCN) এখানকার বহু প্রজাতির সাপকে রেড লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করেছে ৷

বিশ্বের স্থলভাগে সাধারণত যে সাপগুলিথাকে, তাদেরথেকে পাঁচগুণ বেশি বিষাক্ত এই সাপ ৷ যার এক ছোবলেই মৃত্যু অবধারিত ৷ বিষক্রিয়ায়মানুষের মাংস পর্যন্ত গলে যায় ৷ পৃথিবীর অন্যতম এই ভয়ঙ্কর সরীসৃপের নাম গোল্ডেনল্যান্সহেড ভাইপার ৷

ব্রাজিলেরস্নেক আইল্যান্ড কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে ৷ সাও পাওলো শহর থেকে প্রায় 90 মাইল দূরের এই দ্বীপকে মৃত্যু দ্বীপবললেও অত্যুক্তি করা হয় না ৷ কারণ এই দ্বীপ বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপেদের ডেরা ৷এই দ্বীপই গোল্ডেন ল্যান্সহেডের একমাত্র বাসস্থান ৷

ল্যান্সহেডকাউকে ছোবল মারলে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত ৷ বিষের প্রভাবেকিছুক্ষণ পরই গলতে শুরু করে মানুষের মাংস ৷ সমীক্ষা অনুযায়ী, এক সময় উত্তর ও দক্ষিণ অ্যামেরিকারবেশিরভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ি ছিল এই সরীসৃপ ৷ এটি মাটি থেকে 1-1.5 ফুট উপরে উঠে ফণা তুলে ছোবল মারতেপারে ৷ ব্রাজিলে 90 শতাংশসাপের ছোবলে মৃত্যুর জন্য দায়ি ছিল এই সাপ ৷

তবেএখন মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম ৷ কারণ এই দ্বীপ জনবসতি থেকে বহুকাল আগেই বিচ্ছিন্নহয়ে গেছে৷ 11,000 বছরআগে সমুদ্রের জল স্তর বাড়তে থাকার জেরে স্নেক আইল্যান্ড কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডেউপকূলবর্তী এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৷ এরপর থেকে সাধারণত কোনও শিকারি বাসাপুড়ের আনাগোনাও নেই এখানে ৷ তার জেরে এদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি হতে শুরু করে ৷জীববিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, 110 একরএই দ্বীপে প্রতি পাঁচ স্কয়্যার মিটারের মধ্যে একটি সাপ দেখা যায় ৷ এখানে শুধুল্যান্সহেডের সংখ্যাই প্রায় 4 হাজার ৷

এইদ্বীপের এক ইতিহাস রয়েছে ৷ 1920 সালের আশপাশে এখানে অল্প সময়ের জন্য বসবাস করতেন মানুষজন ৷স্থানীয়দের কথায় সেই সময় এক লাইটহাউজ়ের রক্ষী ও তাঁর পরিবারকে শেষ করে দেয় এইগোল্ডেন ভাইপার ৷ তারপর থেকে ধীরে ধীরে জনবসতি কমতে থাকে এবং এক সময়ে প্রায়নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৷ এই দ্বীপে সম্পূর্ণ রূপে সাপেদের দখলে চলে যায় ৷ এখন এইদ্বীপে যাওয়া বারণ ৷ ব্রাজিল সরকারের তরফেও দ্বীপে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ এখননৌ-সেনার লোকজন নজরে রাখে দ্বীপটিকে ৷ যাতে কেউ কোনওভাবে এই দ্বীপের আশপাশেঘোরাঘুরি না করে বা অ্যাডভেঞ্চার করার জন্য যেতে না পারে ৷

তবে, এই দ্বীপ জীব বিজ্ঞানীদের কাছে একটিআস্ত ল্যাবরেটরি ৷ সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতি নিয়ে এখানকার নানা প্রজাতির সাপেরউপর গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা ৷ অনেকে গোল্ডেন ল্যান্সহেড নিয়েও গবেষণা করেন ৷সাপের বিষ থেকে নানা ওষুধ তৈরি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলে ৷ সাধারণত হৃদরোগ, রক্তপ্রবাহ সচল রাখা, রক্ত জমাট বাঁধার চিকিৎসায় ওঅ্যান্টিভেনম ক্যানসার ড্রাগ তৈরি করতে কাজে লাগে এখানকার সাপের বিষ ৷

তবে পৃথিবাীর অন্যতম বিষাক্তপ্রাণীটির জীবনও নিরাপদ নয় ৷ এই গোল্ডেন ল্যান্সহেডের পাচারও চলে ভয়ঙ্করভাবে ৷ একএকটি গোল্ডেন ল্যান্সহেডের মূল্য 10,000-30,000 ডলার ৷ তবে অন্য সাপও পাচার করা হয় ৷ সম্প্রতিপ্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পাচারকারীদের উপদ্রবে এই দ্বীপে সাপের সংখ্যা গত 15 বছরে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে ৷ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফরকনজারভেশন অফ ন্যাচার (IUCN) এখানকার বহু প্রজাতির সাপকে রেড লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করেছে ৷
Last Updated : Jun 29, 2020, 9:10 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.