ETV Bharat / bharat

লখনউের নবাবদের ঐতিহ্য ধরে রাখতেই তৈরি হয় ভারতের সর্বোচ্চ ক্লক টাওয়ার

author img

By

Published : Dec 6, 2020, 11:04 PM IST

পুরাতন লখনউয়ের হুসেনাবাদ অঞ্চলে অবস্থিত দেশের সর্বোচ্চ ক্লক টাওয়ার ৷ এর উচ্চতা 221 ফুট ।

ভারতের সর্বোচ্চ ক্লক টাওয়ার
ভারতের সর্বোচ্চ ক্লক টাওয়ার

লখনউ, 6 ডিসেম্বর : লখনউ, নবাবদের শহর, এখানে একটি অসাধারণ অট্টালিকা আছে যা সবার আশ্চর্যের কারণ হতে পারে ৷ শাহয়ের ঘণ্টাঘরের সম্পর্কে খুব কমই জানা যায় ৷ বিশ্বজুড়ে এই ঘরের খ্যাতি গোলোকধাঁধা, ইমামবারা ও সুন্দর পুকুরের জন্য ৷ পুরাতন লখনউয়ের হুসেনাবাদ অঞ্চলে অবস্থিত দেশের সর্বোচ্চ ক্লক টাওয়ার ৷ এর উচ্চতা 221 ফুট । যাঁরা এটি দেখেন তারা অবাক হয়ে যান, দেড়’শ বছর আগে প্রযুক্তির সুবিধা না থাকা সত্বেও কীভাবে এত উঁচু একটি অট্টালিকা নির্মাণ করা হত ।

নবাবী ঐতিহ্য ধরে রেখে এই অট্টালিকাটি ব্রিটিশরা নির্নাণ করেছিল

ঐতিহাসিকরা বলেন, এই ক্লক টাওয়ারটি ব্রিটিশ স্থাপত্য শিল্পের সেরা নমুনা হিসাবে বিবেচিত হয় । এটি 1882 থেকে 1887 সালের, পাঁচ বছরের মধ্যে তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার জর্জ কুপারের সম্মানে নির্মাণ করা হয়েছিল । ইঁট এবং চুন দিয়ে তৈরি এই অনন্য ভবনটি ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেডেরিক উইলিয়ামস স্টিভেন্সের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় । 221 ফুট উঁচু ঘণ্টাঘরটি নির্মাণের সময় 90 হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছিল । এই পরিমাণ অর্থ হুসেনাবাদ ট্রাস্ট দিয়েছিল ।

দেশের সবথেকে বড় এই ক্লক টাওয়ার

এই ক্লক টাওয়ারের ঘড়িটি ব্রিটেনের জেডব্লিউ বেসন সংস্থা তৈরি করেছিল ৷ বিশ্বে এই জাতীয় মাত্র তিনটি ঘড়ি আছে । আজও এটি দেশের বৃহত্তম ঘড়ি হিসাবে বিবেচিত হয় ৷ পাঁচ ফুট লম্বা ও তিন ফুট চওড়া ঘড়িটির প্রতিটি গিয়ার 50 কিলো ওজনের ৷ এবং এটি পিতল ও গান মেটাল দিয়ে তৈরি ৷ তখন এই ঘড়িটির দাম ছিল 27 হাজার টাকা । ঘড়িটিতে পাঁচটি ঘণ্টা লাগানো আছে ৷

100 বছর পর বন্ধ হয়ে যায় ঘড়ি, 27 বছর পর ফের চালু

100 বছর ধরে নিরন্তর চলার পর 1984 সালে ঘড়িটি বন্ধ হয়ে যায় ৷ ঘড়িটি চালানোর অনেক প্রয়াস করা হয় ৷ বহুবার চেষ্টা করার পর 2013 সালে সাফল্য পাওয়া যায় ৷ প্রায় 18 লাখ টাকা খরচ করার পরে লখনউয়ের একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং কিছু লোক এই ঘড়িটি সংশোধন করার উদ্যোগ নেন । কিন্তু কাজটি খুব কঠিন ছিল ৷ ঘড়িটির অংশগুলি চুরি হয়ে গিয়েছিল ৷ ইঞ্জিনিয়াররা ঘড়ির সমস্ত অংশগুলি লখনউতে পুনঃনির্মাণ করেন এবং অনেক লড়াইয়ের পরে অবশেষে ঘড়িটি শুরু হয় ।

ব্রিটিশরা নবাবদের দুর্গে একটি অনন্য ভবন তৈরি করতে চেয়েছিল

ঐতিহাসিকরা বলছেন, এই ক্লক টাওয়ারটি যে জায়গাটি নির্মিত হয়েছে তা নবাবদের তৈরি ইমামবাড়ার মধ্যে অবস্থিত । ব্রিটিশরা চেয়েছিল যে তারা নবাবদের ঐতিহ্যে থেকেই একটি নতুন ভবন তৈরি করবে এবং এই ক্লক টাওয়ারটি তারই ফলস্বরূপ তৈরি করা হয় । তবে ব্রিটিশরা এতে এক টাকাও খরচ করেনি । তাঁরা হুসেনাবাদ ট্রাস্ট থেকে সমস্ত টাকা নিয়েছিলেন ।

ঘণ্টার শব্দে কাজ শুরু হয়

ঐতিহাসিকরা বলেন, একটা সময় ছিল যখন লখনউয়ের এই ঘণ্টাঘরের ঘণ্টার শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের প্রাত্যহিক কারকর্ম করত ৷ কারণ তখন সবার কাছে ঘড়ি ছিল না ৷ ঘণ্টার আওয়াজে মসজিদে আজান দেওয়া শুরু হত ৷ কিন্তু বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকের হাতেই ঘড়ি আছে ৷

লখনউ, 6 ডিসেম্বর : লখনউ, নবাবদের শহর, এখানে একটি অসাধারণ অট্টালিকা আছে যা সবার আশ্চর্যের কারণ হতে পারে ৷ শাহয়ের ঘণ্টাঘরের সম্পর্কে খুব কমই জানা যায় ৷ বিশ্বজুড়ে এই ঘরের খ্যাতি গোলোকধাঁধা, ইমামবারা ও সুন্দর পুকুরের জন্য ৷ পুরাতন লখনউয়ের হুসেনাবাদ অঞ্চলে অবস্থিত দেশের সর্বোচ্চ ক্লক টাওয়ার ৷ এর উচ্চতা 221 ফুট । যাঁরা এটি দেখেন তারা অবাক হয়ে যান, দেড়’শ বছর আগে প্রযুক্তির সুবিধা না থাকা সত্বেও কীভাবে এত উঁচু একটি অট্টালিকা নির্মাণ করা হত ।

নবাবী ঐতিহ্য ধরে রেখে এই অট্টালিকাটি ব্রিটিশরা নির্নাণ করেছিল

ঐতিহাসিকরা বলেন, এই ক্লক টাওয়ারটি ব্রিটিশ স্থাপত্য শিল্পের সেরা নমুনা হিসাবে বিবেচিত হয় । এটি 1882 থেকে 1887 সালের, পাঁচ বছরের মধ্যে তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার জর্জ কুপারের সম্মানে নির্মাণ করা হয়েছিল । ইঁট এবং চুন দিয়ে তৈরি এই অনন্য ভবনটি ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেডেরিক উইলিয়ামস স্টিভেন্সের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় । 221 ফুট উঁচু ঘণ্টাঘরটি নির্মাণের সময় 90 হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছিল । এই পরিমাণ অর্থ হুসেনাবাদ ট্রাস্ট দিয়েছিল ।

দেশের সবথেকে বড় এই ক্লক টাওয়ার

এই ক্লক টাওয়ারের ঘড়িটি ব্রিটেনের জেডব্লিউ বেসন সংস্থা তৈরি করেছিল ৷ বিশ্বে এই জাতীয় মাত্র তিনটি ঘড়ি আছে । আজও এটি দেশের বৃহত্তম ঘড়ি হিসাবে বিবেচিত হয় ৷ পাঁচ ফুট লম্বা ও তিন ফুট চওড়া ঘড়িটির প্রতিটি গিয়ার 50 কিলো ওজনের ৷ এবং এটি পিতল ও গান মেটাল দিয়ে তৈরি ৷ তখন এই ঘড়িটির দাম ছিল 27 হাজার টাকা । ঘড়িটিতে পাঁচটি ঘণ্টা লাগানো আছে ৷

100 বছর পর বন্ধ হয়ে যায় ঘড়ি, 27 বছর পর ফের চালু

100 বছর ধরে নিরন্তর চলার পর 1984 সালে ঘড়িটি বন্ধ হয়ে যায় ৷ ঘড়িটি চালানোর অনেক প্রয়াস করা হয় ৷ বহুবার চেষ্টা করার পর 2013 সালে সাফল্য পাওয়া যায় ৷ প্রায় 18 লাখ টাকা খরচ করার পরে লখনউয়ের একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং কিছু লোক এই ঘড়িটি সংশোধন করার উদ্যোগ নেন । কিন্তু কাজটি খুব কঠিন ছিল ৷ ঘড়িটির অংশগুলি চুরি হয়ে গিয়েছিল ৷ ইঞ্জিনিয়াররা ঘড়ির সমস্ত অংশগুলি লখনউতে পুনঃনির্মাণ করেন এবং অনেক লড়াইয়ের পরে অবশেষে ঘড়িটি শুরু হয় ।

ব্রিটিশরা নবাবদের দুর্গে একটি অনন্য ভবন তৈরি করতে চেয়েছিল

ঐতিহাসিকরা বলছেন, এই ক্লক টাওয়ারটি যে জায়গাটি নির্মিত হয়েছে তা নবাবদের তৈরি ইমামবাড়ার মধ্যে অবস্থিত । ব্রিটিশরা চেয়েছিল যে তারা নবাবদের ঐতিহ্যে থেকেই একটি নতুন ভবন তৈরি করবে এবং এই ক্লক টাওয়ারটি তারই ফলস্বরূপ তৈরি করা হয় । তবে ব্রিটিশরা এতে এক টাকাও খরচ করেনি । তাঁরা হুসেনাবাদ ট্রাস্ট থেকে সমস্ত টাকা নিয়েছিলেন ।

ঘণ্টার শব্দে কাজ শুরু হয়

ঐতিহাসিকরা বলেন, একটা সময় ছিল যখন লখনউয়ের এই ঘণ্টাঘরের ঘণ্টার শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের প্রাত্যহিক কারকর্ম করত ৷ কারণ তখন সবার কাছে ঘড়ি ছিল না ৷ ঘণ্টার আওয়াজে মসজিদে আজান দেওয়া শুরু হত ৷ কিন্তু বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকের হাতেই ঘড়ি আছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.