দ্বারভাঙা (বিহার), 25 জানুয়ারি: 2016 সালে প্রথম মহিলা হিসেবে যুদ্ধবিমান চালিয়েছিলেন। এ বার নয়া উচ্চতার শিখরে দ্বারভাঙার মেয়ে ভাবনা কান্থ। চলতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ভারতীয় বায়ুসেনার ট্যাবলোতে যে যুদ্ধবিমানগুলির দাপট দেখাবে, তাতেই থাকবেন বিহারের এই কন্যা। এই প্রথম দেশের কোনও মহিলা এই কৃতিত্ব অর্জন করতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ধন্যি মেয়ের 'আকাশ ছোঁয়া'র নয়া নজিরে উত্সবের মেজাজে রয়েছেন তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
26 জানুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনার যে বাহিনী লাইট কমব্যাট বিমান, লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ও সুখোই 30-র শক্তি প্রদর্শন করবে, সেই দলেই রয়েছেন ভাবনা। দ্বারভাঙার মানুষ এখন অপেক্ষায় রয়েছেন সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।
বেগুসরাইয়ের রিফাইনারি টাউনশিপে ভাবনার জন্ম। সেখানেই বড় হয়ে ওঠা। তাঁর বাবা আইওসিএল-এর ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বারাউনি রিফাইনারি ডিএভি পাবলিক স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর বেঙ্গালুরুর বিএমএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মেডিক্যাল ইলেকট্রনিকসে ইঞ্জিনিয়ারিং করেন তিনি।
ভাবনার প্রতিভার আলো ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর ছোটবেলা থেকেই। তাঁর ঠাকুমা ভালেশ্বরী দেবী জানিয়েছেন, ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনা ও খেলাধুলোয় সবার আগে থেকেছেন তাঁর নাতনি। তবে যখন তাঁর যুদ্ধবিমান চালানোর খবর কানে আসে, তখন পরিবারের সবারই বুক কেঁপেছিল। ভাবনার ঠাকুমার কথায়, ''যখন শুনলাম ওকে ফাইটার প্লেন চালাতে হবে, তখন আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর ভয় লাগে না। বরং ওর জন্য অহংকার হয়।''
আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসের মহড়ায় মোদি
ভাবনার মতোই বিহার তথা গোটা দেশের মহিলারা বাহিনীতে যোগদান করুন, এটাই প্রার্থনা ভাবনার পরিবারের। মহিলা পাইলটের মামাতো ভাই ক্যাপ্টেন কান্থের কথায়, ''যে দিন থেকে ভাবনা ভারতীয় বায়ুসেনায় প্রথম মহিলা হিসেবে যুদ্ধবিমান চালিয়েছে, সে দিন থেকে আমাদের পরিবারের মাথা আরও উঁচু হয়ে গিয়েছে। ওঁর জন্য আমরা গর্বিত।''
ভাবনার খুব পছন্দের খেলা ব্যাডমিন্টন, ভলিবল ও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। এ ছাড়াও ফোটোগ্রাফি, রান্নাবান্না, সাঁতার ও বেড়ানো তাঁর ভালোবাসার বিষয়গুলির মধ্য়ে অন্যতম। দেশের আগামী প্রজন্মের নারীশক্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাবনা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা।