দিল্লি, 5 অগাস্ট : আজ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করা হল । 370 ধারার 1 নম্বর উপধারার প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি 1954 সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া 370 ধারা প্রত্যাহারের নির্দেশিকায় সই করেন । সেই নির্দেশিকা রাজ্যসভায় পড়ে শোনান স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । এর ফলে দেশের বাকি রাজ্যগুলির মতো এবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখে সাধারণ আইন প্রতিষ্ঠিত হবে ৷ পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য আলাদা কোনও পতাকা থাকবে না ৷ এবার থেকে ভারতের জাতীয় পতাকা উড়বে সেখানে ৷
1954 সালে রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে 35-এ ধারাকে 370 ধারার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় । সেই ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের বাসিন্দারা এখানে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারেন না । তবে এবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীর বা লাদাখে জমি বা বাড়ির মতো সম্পত্তি কিনতে পারবেন দেশের অন্যান্য প্রান্তের যে কোনও ব্যক্তি ৷ এছাড়া এজন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকার অন্য প্রদেশের নাগরিকদের চাকরিতে রাখতে পারত না । তবে জম্মু ও কাশ্মীরে এবার সরকারি চাকরি পেতে পারবেন অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষও ৷
370 ধারা প্রত্যাহারের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ক্ষমতা বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের । এবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখের প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি, অর্থ ও যোগাযোগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে ৷ কেন্দ্রের হাতে এবার কাশ্মীরে আর্থিক জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা এল ৷ কার্যকরী হল তথ্যের অধিকার আইন ।
এদিকে 370 ধারা জারি থাকাকালীন জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার মেয়াদ ছিল 6 বছর । তবে আজকে রাজ্য সভায় পাশ হওয়া জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল আইনে পরিণত হলে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে । জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ - দু'টি জায়গাতেই থাকবেন লেফটেনন্ট গভর্নর ৷ তবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও দিল্লির ধাঁচে জম্মু ও কাশ্মীরে পাঁচ বছরের মেয়াদযুক্ত বিধানসভা থাকবে ।