দিল্লি, 16 জুন : লাদাখে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় গালওয়ান ভ্যালিতে দু'পক্ষের সংঘর্ষকে ঘিরে শহিদ হন ভারতীয় সেনার তিনজন ৷ গুরুতর জখম হয়েছিলেন 17 জন ৷ ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ওই জখম 17 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ যদিও বিভিন্ন সূত্রের তরফে দাবি করা হচ্ছে, শহিদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে, এই সংঘর্ষে চিনের 43 জন সেনা হতাহত হয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা ANI ৷
গতরাতে লাদাখের ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয় ৷ যার জেরে শহিদ হন ভারতীয় সেনার তিন জন ৷ সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, "গালওয়ান ভ্যালিতে সেনা প্রত্যাহারের সময় গতরাতে সংঘর্ষ বাধে ৷ সংঘর্ষে ভারতের একজন আধিকারিক ও দু'জন জওয়ান শহিদ হন ৷"
বর্তমানে সেনা সূত্রে ETV ভারতকে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে 20 জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন ৷ আরও 10 জন সেনা এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ৷ একাধিক সেনা জখম হয়েছেন ঘটনায় ৷ একাধিক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, শহিদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে ৷
শহিদ 20 জন ভারতীয় সেনার মধ্যে কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বি সন্তোষ বাবু রয়েছেন ৷ বিগত কয়েক দিন ধরে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমন প্রক্রিয়ায় ভারতের তরফে যাঁরা চিনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁদের মধ্যে কর্নেল বি সন্তোষ বাবুও ছিলেন ৷
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ফের বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় সেনা ৷ তাদের তরফে জানানো হয়েছে, গুরুতর জখম হয়েছিলেন 17 জওয়ান ৷ অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷ সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা 20 । ভারতীয় ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতীয় সেনা দৃঢ়বদ্ধ বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ।
পূর্ব লাদাখের প্যাঙ্গং Tso, গালওয়ান ভ্যালি, ডেমচক ও দাউলাত বেগ ওলডিতে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারত-চিনা সেনার মধ্যে উত্তেজনার খবর পাওয়া যাচ্ছিল ৷ চিনা সেনার কয়েকজন কর্মী প্যাঙ্গং Tso-র মতো বেশ কিছু জায়গায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলে শোনা যায় ৷ পরে শোনা যায়, পূর্ব লাদাখের এই এলাকাগুলি থেকে চিনা সেনারা সরে গিয়েছিল ৷ ভারতের তরফেও সেনাবাহিনী ও যুদ্ধযান সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ৷ তার মধ্যেই দীর্ঘ 45 বছর পর ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় রক্তপাত ৷
চিনের কতজন সেনার মৃত্যু হয়েছে, সরকারিভাবে তা জানানো হয়নি । তবে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদংস্থা ANI জানিয়েছে, চিনের সেনার 43 জন নিহত অথবা গুরুতর আহত হয়েছেন ।