উদালগিরি (অসম), 7 জুলাই : একটি শিশুকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করছেন এক পুরোহিত । তাঁর হাতে তরোয়াল। পড়া হচ্ছে মন্ত্র । চলছে যজ্ঞ। না কোনও সিনেমার গল্প নয় । বাস্তবে ঘটেছে । স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে শিশুটিকে ।
ঘটনাটি অসমের উদালগিরি জেলার । এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা । গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।
উদালগিরির গানাকপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামের এক শিক্ষকের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে পুলিশে খবর দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তন্ত্রসাধনা চলছিল ওই শিক্ষকের বাড়িতে । তাঁদের দাবি, সেখানে শিক্ষকের পরিবারের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন পরিবারের মহিলারাও । মন্ত্রোচ্চারণ চলছিল। সেখানেই তিন বছরের এক শিশুকন্যাকে বলি দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল । পুরোহিতের হাতে তরোয়ালও দেখেন স্থানীয়রা।
গ্রামবাসীরা ওই ব্যক্তিদের অনুরোধ করেন, বাচ্চাটিকে ছেড়ে দিতে। তবুও চলছিল মন্ত্রোচ্চারণ । পুরোহিত উলটে স্থানীয়দের প্রাণহানির হুমকি দেন। কুড়ুল ও তরোয়াল নিয়ে তাড়া করেন ।
এরপর পুলিশ এলে ওই বাড়ির বাসিন্দারা পাথর ছুড়তে শুরু করেন । মারধর করা হয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও । ছোড়া হয় বাসন । মোটরবাইক ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ।
শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ । বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয় । গুলিতে ওই বাড়ির মালিক অর্থাৎ শিক্ষক ও তাঁর ছেলে জখম হয়েছেন ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই শিক্ষকের আত্মীয়ার সন্তান ওই শিশুকন্যা । মেয়েটির বাবাই শিক্ষকের হাতে তাকে তুলে দিয়েছিল তন্ত্রসাধনার জন্য, এমনটাও জানান তিনি ।
এই পরিবারে তিন বছর আগে এক যুবতি আত্মহত্যা করেছিলেন, তারপর থেকেই নাকি তন্ত্রসাধনার ঝোঁক রয়েছে বাড়িতে ।