গুয়াহাটি, 18 জুলাই : অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করেছে ৷ গতকাল আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই নিয়ে অসমে বন্যায় 78 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ 28 জেলার 36 লাখ মানুষ বন্যা কবলিত ৷
অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ASDMA) জানিয়েছে, 36 লাখ মানুষের মধ্যে 22 লাখ মানুষ ধুবরি (8,92,109), গোয়ালপাড়া (4,43,768), বরপেতা (4,29,708) এবং মরিগাঁও (4,24,541)-এর ৷ অসমের বন দপ্তর ও ASDMA-র তরফে জানানো হয়েছে, বন্যায় 86টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে ৷ 125টি প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এরমধ্যে 95 শতাংশ প্রাণী কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বলে জানিয়েছে বনদপ্তর ৷ ASDMA-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দারাং, সন্তিপুর, বিশ্বনাথ, তিনসুকিয়া, লখিমপুর, বঙ্গাইগাঁও, কামরূপ, গেলাঘাট, শিবসাগর, মরিগাঁও, ধুবরি, নওগাঁও, নলবাড়ি, বর পেতা, ধেমাজি, উদলগুড়ি, গোয়ালপাড়া এবং ডিব্রুগড় জেলা মিলিয়ে মোট 78 জনের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি ধসের কারণে 26 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ধানসিড়ি, জিয়া ভরলি, কোপিলি, বেকি, বারাক, খুশিয়াড়া এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বহু এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ৷
রাজ্যের 28 জেলার 3,014টি গ্রাম বন্যা কবলিত ৷ এক লাখ 27 হাজার 955 হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে ৷ জেলা প্রশাসন 711টি ত্রাণ শিবির তৈরি করেছে ৷ ত্রাণ শিবিরগুলিতে মোট 51 হাজার 500জন মানুষ রয়েছেন ৷ 19.8 লাখ গৃহপালিত পশু এবং 13 লাখের বেশি পোলট্রি পাখি বন্যা কবলিত ৷ কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পাশাপাশি মানস, আর জি ওরাং জাতীয় উদ্যান এবং পবিতোরা বন্যপ্রাণ এবং তিনসুকিয়া অভয়ারণ্যও বন্যায় প্রভাবিত হয়েছে ৷ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ASDMA এবং জেলা প্রশাসন একযোগে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে ৷ বন্যা কবলিত মানুষের কাছে ত্রাণ ও জরুরি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে ৷