ETV Bharat / bharat

জিমগুলি কি এখন নিরাপদ ? - আনলক 3

জিমে যাওয়া কি নিরাপদ ? ব্যবসা ক্ষেত্র এবং পাবলিক প্লেসগুলি যেখানে খুলতে শুরু করেছে, সেখানে সবের মধ্যেই জিম এবং ফিটনেস সেন্টার হল সর্বশেষ বিকল্প, কারণ কোভিড নিয়ে সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, এটা বাতাসে ছড়াতে পারে ।

gym
gym
author img

By

Published : Jul 31, 2020, 3:08 PM IST

সব কিছু যেখানে খুলে যাচ্ছে, সেখানে জিমগুলো নিশ্চিতভাবেই সব থেকে ঝুঁকির জায়গা । জিম এবং সেখানে কোরোনা ভাইরাসের ঝুঁকির ব্যাপারে জানতে ETV ভারত সুখীভব কথা বলেছিল প্রদীপ মৌর্যর সঙ্গে । যিনি গত এক দশকেরও বেশি সময় ফিটনেস জগতে রয়েছেন । ওয়েট রুম, কার্ডিও মেশিন এবং ক্লাস নিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । জানিয়েছেন কোনটা কার্যকর, কোন যন্ত্র অপরিচ্ছন্ন । ট্রেডমিলে এবং ওয়ার্ক আউটের জায়গায় কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়, আর কেন ওয়ার্কআউটের সময় বেশ কয়েকটি তোয়ালে আমাদের কাঁধে জড়িয়ে রাখা উচিত তা তিনি জানিয়েছেন ।

প্রদীপ বলেন, "প্রধান সমস্যা হল, যে জিমগুলো খুলছে, তাদের কাছে বিশেষজ্ঞদের বলা কঠোর বিধিনিষেধ নেই, তাই ব্যক্তিবিশেষের উপরেই নির্ভর করছে যে কীভাবে তাঁরা নিজেদের নিরাপদ এবং সংক্রমণমুক্ত রাখবেন ।" তিনি আরও বলেন, জিম পুনর্বার চালু করা আরও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোরোনার ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তাদের সুপারিশ পুনর্বিবেচনা করছে ।

বিশ্বজুড়ে ২৩৯ জন বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যে কোরোনার ছোটো কণাও মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, এবং তাঁরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের সুপারিশও সংশোধন করতে বলেছেন ।

ড্রপলেট এবং এরোসলের মধ্যে থাকা ভাইরাস কণা হাওয়া ভেসে, পাশাপাশি কোনওকিছুর ওপর পড়ে, চোখ, নাক ও মুখের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে ।

এছাড়াও ব্যায়াম আমাদের ফুসফুসে আরও চাপ ফেলে কারণ আমরা তখন বেশি অক্সিজেন নিই, কারণ আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের হার 7 থেকে 10 শতাংশ বেড়ে যায় সেই সময়টার তুলনায়, যখন আমরা বিশ্রামে থাকি । এইকথা জানাচ্ছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ।

এর অর্থ যে কারও নিঃশ্বাসের সঙ্গে কণা বেরিয়ে এলে তা 3 থেকে 6 মিটার ছড়াতে পারে । কিন্তু এটা বেড়ে 15 থেকে 20 মিটার হয়ে যায় কঠিন ব্যায়ামের ক্ষেত্রে, যা জিমগুলিকে বিপদসঙ্কুল করে তোলে ।

এছাড়াও, আরও কঠিন পরিশ্রম করে ওয়ার্কআউটের সময় আপনার নাক বা চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে । আর আপনি যদি কোরোনা আক্রান্ত হন, আপনার নাকের মিউকাস সারফেসে পড়তে পারে, এবং কেউ তা ছুঁলে তাঁকে সংক্রমিত করতে পারে ।

জিমে নিরাপদ থাকতে কী কী করবেন?

  • জিমে যাওয়ার আগে ফোন করে বলুন একটা নির্দিষ্ট সময়ে সদস্য সংখ্যা কমাতে, এবং তারপর সেই অনুযায়ী স্লট বুক করুন ।
  • জিম পরিষ্কার করা এবং জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা আছে কি না জিজ্ঞাসা করুন । আপনাকে লকার রুম বা রেস্টরুমের সুবিধা দেওয়া হবে কি না জেনে নিন ।
  • গ্রুপ ওয়ার্কআউটে আগ্রহী হলে, সেই পরিষেবা আছে কি না জেনে নিন ।
  • আপনার জিমে সম্ভবত প্রতিটি কার্ডিও মেশিনে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করা হবে । নির্দেশিকা মেনে নিজেকে ও অন্যদের নিরাপদে রাখুন । ফোম, কাঠের ব্লকের মতো উপকরণ রাখা হবে না, কারণ সেগুলি পরিষ্কার করা কঠিন ।
  • যদি অসুস্থ হওয়ার বেশি ঝুঁকি থাকে, তাহলে জিমে যাওয়া এড়িয়ে চলুন । কিন্তু আপনার জিমের অনলাইন ক্লাসের আপনি ভালোভাবে সদ্ব্যবহার করতে পারেন ।

সব কিছু যেখানে খুলে যাচ্ছে, সেখানে জিমগুলো নিশ্চিতভাবেই সব থেকে ঝুঁকির জায়গা । জিম এবং সেখানে কোরোনা ভাইরাসের ঝুঁকির ব্যাপারে জানতে ETV ভারত সুখীভব কথা বলেছিল প্রদীপ মৌর্যর সঙ্গে । যিনি গত এক দশকেরও বেশি সময় ফিটনেস জগতে রয়েছেন । ওয়েট রুম, কার্ডিও মেশিন এবং ক্লাস নিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । জানিয়েছেন কোনটা কার্যকর, কোন যন্ত্র অপরিচ্ছন্ন । ট্রেডমিলে এবং ওয়ার্ক আউটের জায়গায় কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়, আর কেন ওয়ার্কআউটের সময় বেশ কয়েকটি তোয়ালে আমাদের কাঁধে জড়িয়ে রাখা উচিত তা তিনি জানিয়েছেন ।

প্রদীপ বলেন, "প্রধান সমস্যা হল, যে জিমগুলো খুলছে, তাদের কাছে বিশেষজ্ঞদের বলা কঠোর বিধিনিষেধ নেই, তাই ব্যক্তিবিশেষের উপরেই নির্ভর করছে যে কীভাবে তাঁরা নিজেদের নিরাপদ এবং সংক্রমণমুক্ত রাখবেন ।" তিনি আরও বলেন, জিম পুনর্বার চালু করা আরও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোরোনার ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তাদের সুপারিশ পুনর্বিবেচনা করছে ।

বিশ্বজুড়ে ২৩৯ জন বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যে কোরোনার ছোটো কণাও মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, এবং তাঁরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের সুপারিশও সংশোধন করতে বলেছেন ।

ড্রপলেট এবং এরোসলের মধ্যে থাকা ভাইরাস কণা হাওয়া ভেসে, পাশাপাশি কোনওকিছুর ওপর পড়ে, চোখ, নাক ও মুখের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে ।

এছাড়াও ব্যায়াম আমাদের ফুসফুসে আরও চাপ ফেলে কারণ আমরা তখন বেশি অক্সিজেন নিই, কারণ আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের হার 7 থেকে 10 শতাংশ বেড়ে যায় সেই সময়টার তুলনায়, যখন আমরা বিশ্রামে থাকি । এইকথা জানাচ্ছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ।

এর অর্থ যে কারও নিঃশ্বাসের সঙ্গে কণা বেরিয়ে এলে তা 3 থেকে 6 মিটার ছড়াতে পারে । কিন্তু এটা বেড়ে 15 থেকে 20 মিটার হয়ে যায় কঠিন ব্যায়ামের ক্ষেত্রে, যা জিমগুলিকে বিপদসঙ্কুল করে তোলে ।

এছাড়াও, আরও কঠিন পরিশ্রম করে ওয়ার্কআউটের সময় আপনার নাক বা চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে । আর আপনি যদি কোরোনা আক্রান্ত হন, আপনার নাকের মিউকাস সারফেসে পড়তে পারে, এবং কেউ তা ছুঁলে তাঁকে সংক্রমিত করতে পারে ।

জিমে নিরাপদ থাকতে কী কী করবেন?

  • জিমে যাওয়ার আগে ফোন করে বলুন একটা নির্দিষ্ট সময়ে সদস্য সংখ্যা কমাতে, এবং তারপর সেই অনুযায়ী স্লট বুক করুন ।
  • জিম পরিষ্কার করা এবং জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা আছে কি না জিজ্ঞাসা করুন । আপনাকে লকার রুম বা রেস্টরুমের সুবিধা দেওয়া হবে কি না জেনে নিন ।
  • গ্রুপ ওয়ার্কআউটে আগ্রহী হলে, সেই পরিষেবা আছে কি না জেনে নিন ।
  • আপনার জিমে সম্ভবত প্রতিটি কার্ডিও মেশিনে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করা হবে । নির্দেশিকা মেনে নিজেকে ও অন্যদের নিরাপদে রাখুন । ফোম, কাঠের ব্লকের মতো উপকরণ রাখা হবে না, কারণ সেগুলি পরিষ্কার করা কঠিন ।
  • যদি অসুস্থ হওয়ার বেশি ঝুঁকি থাকে, তাহলে জিমে যাওয়া এড়িয়ে চলুন । কিন্তু আপনার জিমের অনলাইন ক্লাসের আপনি ভালোভাবে সদ্ব্যবহার করতে পারেন ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.