ETV Bharat / bharat

প্রাদুর্ভাবের অপেক্ষায় আরও একটি স্বাস্থ‌্যসংকট

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রায় 8 লক্ষ কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশ ঘটেছে মূলত আটটি দেশে, যার মধ্যে অ্যামেরিকা, স্পেন এবং ইট্যালি রয়েছে । ইরান ছাড়া এই আটটি দেশ বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 5, 2020, 11:14 AM IST

Updated : Apr 5, 2020, 8:43 PM IST

দিল্লি : দেশে যে হারে নভেল কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে, ঠিক সেই হারে বাড়ছে বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ্যের পরিমাণও। এই বর্জ‌্য ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অনেক রকম সংকটের ঝুঁকি রয়েছে । কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করেছে, যদি জমা হওয়ার 48 ঘণ্টার মধ্যে তারা এই বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য সরানো এবং নষ্ট করা না হয়, তাহলে তার থেকে বায়ুবাহিত অসুস্থতা ছড়াতে পারে । হাসপাতালগুলির কাছে বোর্ডের তরফে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে, যেখানে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে যে, কোনওভাবেই যেন COVID-19 আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব‌্যবহৃত সিরিঞ্জ, সূঁচ এবং অন‌্যান‌্য চিকিৎসাজনিত সরঞ্জাম, অন‌্য সামগ্রীর সঙ্গে মিশে না যায় । নভেল কোরোনা ভাইরাস আক্রান্তদের ঘরবাড়ি থেকে বর্জ‌্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পৌরসভার কমিশনাররা যেন আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেন, তা নিয়ে বিশদে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন তেলাঙ্গানার মুখ‌্য সচিব । এই ধরনের বর্জ‌্য সংগ্রহ করার পর তা পুড়িয়ে ফেলা কিংবা মাটির গভীরে তা পুঁতে ফেলা বাধ‌্যতামূলক । কেরলের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সম্প্রতি হাসপাতালগুলি থেকে কীভাবে বিশ্ব স্বাস্থ‌্য সংস্থা এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক‌্যাল রিসার্চের (ICMR) দেওয়া নির্দেশিকা মেনে সতর্কতার সঙ্গে বর্জ‌্য সংগ্রহ করা উচিত, তা নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে । WHO-র নিয়মনীতি অনুযায়ী, বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ্যের মধ্যে মাত্র 10 থেকে 25 শতাংশই বিষাক্ত । কিন্তু চর্চার মূলে যেখানে COVID 19 এর মতো প্রাণঘাতী প্যানডেমিক, সেখানে এই শতাংশগত হিসাব এড়িয়ে যাওয়াই বাঞ্ছনীয় ।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রায় 8 লক্ষ কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশ ঘটেছে মূলত আটটি দেশে, যার মধ্যে অ্যামেরিকা, স্পেন এবং ইট্যালি রয়েছে । ইরান ছাড়া এই আটটি দেশ বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে । এখানে চিনের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ‌্য । গ্রামীণ জনসংখ‌্যার কাছে স্বাস্থ‌্যরক্ষার পরিষেবা পৌঁছে দিতে চিনা সরকার ‘খালিপায়ে হাঁটা চিকিৎসক’-দের (বেয়ারফুট ডক্টরস) ধারণা প্রবর্তন করেছিল । নভেল কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে, চিন গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, উন্নতমানের স্বাস্থ‌্য পরিষেবা বলতে ঠিক কী বোঝায় । মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা COVID 19 আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় দু’হাজার শয‌্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করেছিল । কিন্তু এতখানি সক্রিয় একটি দেশও বহুল পরিমাণে জমা হওয়া বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ্যের সমস‌্যার সঙ্গে যুঝতে সক্ষম হয়নি । যখন পরিস্থিতি রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠল, তখন সরকার হাসপাতালগুলির বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণ ব‌্যবস্থা আরও উন্নত এবং সক্রিয় করে তুলতে বিশেষভাবে নজর দিল । রোগের প্রাদুর্ভাবের আগে শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশ থেকেই অন্তত 137 টন বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল । কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেই জৈব বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে 317 টন হয়ে যায় । জিয়াওগুয়াং এবং ইউহানের মতো শহরে এই বর্ধিত ভার বহন করার জন‌্য সরকারের তরফে ভ্রাম‌্যমাণ বর্জ‌্য সংগ্রহ কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়েছিল । তবে ভারতে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা । এখানে হাসপাতালগুলির তরফে বিষাক্ত বর্জ‌্য পাইপলাইন কিংবা মিষ্টি জলের হ্রদে নিক্ষেপ করা খুবই সাধারণ ঘটনা । যেহেতু রাজ‌্যস্তরের PCB-গণ দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অলস, তাই CPCB-র জারি করা নির্দেশ আদৌ কেউ মানবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে ।

বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিয়মনীতির অনুযায়ী ব‌্যবহৃত সিরিঞ্জ, কটন রোল, সার্জিক‌্যাল গ্লাভস আবাসন এলাকায় নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ । যে কোনও অন‌্য নিয়মের মতোই, ভারতে দীর্ঘসময় ধরে তা লঙ্ঘিত হয়ে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে আইনি নিয়মকানুনগুলিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আসার পর, বর্তমানে COVID প্যানডেমিকের এই আবহে হঠাৎ করে সব নিয়মকানুন কার্যকর করে দিলেই CPCB-র দায়িত্ব এখন শেষ হয়ে যাবে না । নয়া নিয়মনীতি অনুযায়ী, যে ব‌্যাগে বিষাক্ত বর্জ‌্য সংগ্রহ করা হয়, তার উপর প্রায়ই হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ স্প্রে করা উচিত এবং যারা এই ধরনের বর্জ‌্য সংগ্রহের কাজ করেন, তাঁদের বিশেষ ধরনের মাস্ক, গাউন, গ্লাভস এবং জুতো দেওয়া উচিত । তাঁদের কাজে কোনও ত্রুটি হওয়া মানেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি । বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে UNICEF-এর তরফে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করার পর আমাদের সরকারের কাছে নিকাশি কর্মী এবং স্বাস্থ‌্যকর্মীদের জন‌্য প্রোটেকটিভ গিয়ার তৈরি করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই । চিনের অভিজ্ঞতা আমাদের জানিয়েছে, বায়োমেডিক‌্যাল এবং জৈব-পচনশীল বর্জ‌্য সক্রিয়ভাবে নষ্ট করার জন‌্য অতিরিক্ত ভস্মীকরণ ইউনিট থাকাটা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ । যদিও ভস্মীকরণ ইউনিট, যা 850 থেকে 1100 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রতি ঘণ্টায় 1000 কিলো জৈব নষ্ট করতে পারে, তা তৈরি করা বা সংগ্রহ করার খরচ অনেকটাই বেশি, তবুও আমরা এই উদ্যোগকে বার বার পিছিয়ে দিতে পারি না । ভারত ডায়ানমিক্স লিমিটেড এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন সুলভে প্রোটেকটিভ গিয়ারের নকশা তৈরি এবং গিয়ার উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে । বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যকে নিরাপদে নষ্ট করার জন্য সুলভ বিকল্প তৈরির যে উদ্যোগ পাবলিক সেক্টর ইউনিটগুলি নিয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে দেশ এই সঙ্কটের হাত থেকে রক্ষা পাবে ।

দিল্লি : দেশে যে হারে নভেল কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে, ঠিক সেই হারে বাড়ছে বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ্যের পরিমাণও। এই বর্জ‌্য ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অনেক রকম সংকটের ঝুঁকি রয়েছে । কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করেছে, যদি জমা হওয়ার 48 ঘণ্টার মধ্যে তারা এই বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য সরানো এবং নষ্ট করা না হয়, তাহলে তার থেকে বায়ুবাহিত অসুস্থতা ছড়াতে পারে । হাসপাতালগুলির কাছে বোর্ডের তরফে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে, যেখানে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে যে, কোনওভাবেই যেন COVID-19 আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব‌্যবহৃত সিরিঞ্জ, সূঁচ এবং অন‌্যান‌্য চিকিৎসাজনিত সরঞ্জাম, অন‌্য সামগ্রীর সঙ্গে মিশে না যায় । নভেল কোরোনা ভাইরাস আক্রান্তদের ঘরবাড়ি থেকে বর্জ‌্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পৌরসভার কমিশনাররা যেন আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেন, তা নিয়ে বিশদে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন তেলাঙ্গানার মুখ‌্য সচিব । এই ধরনের বর্জ‌্য সংগ্রহ করার পর তা পুড়িয়ে ফেলা কিংবা মাটির গভীরে তা পুঁতে ফেলা বাধ‌্যতামূলক । কেরলের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সম্প্রতি হাসপাতালগুলি থেকে কীভাবে বিশ্ব স্বাস্থ‌্য সংস্থা এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক‌্যাল রিসার্চের (ICMR) দেওয়া নির্দেশিকা মেনে সতর্কতার সঙ্গে বর্জ‌্য সংগ্রহ করা উচিত, তা নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে । WHO-র নিয়মনীতি অনুযায়ী, বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ্যের মধ্যে মাত্র 10 থেকে 25 শতাংশই বিষাক্ত । কিন্তু চর্চার মূলে যেখানে COVID 19 এর মতো প্রাণঘাতী প্যানডেমিক, সেখানে এই শতাংশগত হিসাব এড়িয়ে যাওয়াই বাঞ্ছনীয় ।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রায় 8 লক্ষ কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশ ঘটেছে মূলত আটটি দেশে, যার মধ্যে অ্যামেরিকা, স্পেন এবং ইট্যালি রয়েছে । ইরান ছাড়া এই আটটি দেশ বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে । এখানে চিনের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ‌্য । গ্রামীণ জনসংখ‌্যার কাছে স্বাস্থ‌্যরক্ষার পরিষেবা পৌঁছে দিতে চিনা সরকার ‘খালিপায়ে হাঁটা চিকিৎসক’-দের (বেয়ারফুট ডক্টরস) ধারণা প্রবর্তন করেছিল । নভেল কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে, চিন গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, উন্নতমানের স্বাস্থ‌্য পরিষেবা বলতে ঠিক কী বোঝায় । মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা COVID 19 আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় দু’হাজার শয‌্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করেছিল । কিন্তু এতখানি সক্রিয় একটি দেশও বহুল পরিমাণে জমা হওয়া বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ্যের সমস‌্যার সঙ্গে যুঝতে সক্ষম হয়নি । যখন পরিস্থিতি রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠল, তখন সরকার হাসপাতালগুলির বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণ ব‌্যবস্থা আরও উন্নত এবং সক্রিয় করে তুলতে বিশেষভাবে নজর দিল । রোগের প্রাদুর্ভাবের আগে শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশ থেকেই অন্তত 137 টন বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল । কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেই জৈব বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে 317 টন হয়ে যায় । জিয়াওগুয়াং এবং ইউহানের মতো শহরে এই বর্ধিত ভার বহন করার জন‌্য সরকারের তরফে ভ্রাম‌্যমাণ বর্জ‌্য সংগ্রহ কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়েছিল । তবে ভারতে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা । এখানে হাসপাতালগুলির তরফে বিষাক্ত বর্জ‌্য পাইপলাইন কিংবা মিষ্টি জলের হ্রদে নিক্ষেপ করা খুবই সাধারণ ঘটনা । যেহেতু রাজ‌্যস্তরের PCB-গণ দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অলস, তাই CPCB-র জারি করা নির্দেশ আদৌ কেউ মানবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে ।

বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিয়মনীতির অনুযায়ী ব‌্যবহৃত সিরিঞ্জ, কটন রোল, সার্জিক‌্যাল গ্লাভস আবাসন এলাকায় নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ । যে কোনও অন‌্য নিয়মের মতোই, ভারতে দীর্ঘসময় ধরে তা লঙ্ঘিত হয়ে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে আইনি নিয়মকানুনগুলিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আসার পর, বর্তমানে COVID প্যানডেমিকের এই আবহে হঠাৎ করে সব নিয়মকানুন কার্যকর করে দিলেই CPCB-র দায়িত্ব এখন শেষ হয়ে যাবে না । নয়া নিয়মনীতি অনুযায়ী, যে ব‌্যাগে বিষাক্ত বর্জ‌্য সংগ্রহ করা হয়, তার উপর প্রায়ই হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ স্প্রে করা উচিত এবং যারা এই ধরনের বর্জ‌্য সংগ্রহের কাজ করেন, তাঁদের বিশেষ ধরনের মাস্ক, গাউন, গ্লাভস এবং জুতো দেওয়া উচিত । তাঁদের কাজে কোনও ত্রুটি হওয়া মানেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি । বায়োমেডিক‌্যাল বর্জ‌্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে UNICEF-এর তরফে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করার পর আমাদের সরকারের কাছে নিকাশি কর্মী এবং স্বাস্থ‌্যকর্মীদের জন‌্য প্রোটেকটিভ গিয়ার তৈরি করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই । চিনের অভিজ্ঞতা আমাদের জানিয়েছে, বায়োমেডিক‌্যাল এবং জৈব-পচনশীল বর্জ‌্য সক্রিয়ভাবে নষ্ট করার জন‌্য অতিরিক্ত ভস্মীকরণ ইউনিট থাকাটা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ । যদিও ভস্মীকরণ ইউনিট, যা 850 থেকে 1100 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রতি ঘণ্টায় 1000 কিলো জৈব নষ্ট করতে পারে, তা তৈরি করা বা সংগ্রহ করার খরচ অনেকটাই বেশি, তবুও আমরা এই উদ্যোগকে বার বার পিছিয়ে দিতে পারি না । ভারত ডায়ানমিক্স লিমিটেড এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন সুলভে প্রোটেকটিভ গিয়ারের নকশা তৈরি এবং গিয়ার উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে । বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যকে নিরাপদে নষ্ট করার জন্য সুলভ বিকল্প তৈরির যে উদ্যোগ পাবলিক সেক্টর ইউনিটগুলি নিয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে দেশ এই সঙ্কটের হাত থেকে রক্ষা পাবে ।

Last Updated : Apr 5, 2020, 8:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.