ETV Bharat / bharat

বাবার জন্য ওষুধ কিনতে বেরিয়ে যুবকের মৃত্যু, পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ - কোরোনা

বাবার জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় 33 বছর বয়সি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে । লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় বেরোনোয় তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে । অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ ।

death
মৃত্যু
author img

By

Published : Apr 21, 2020, 12:07 PM IST

অমরাবতী (অন্ধ্রপ্রদেশ), 21 এপ্রিল: বাবার জন্য ওষুধ কিনতে বেরিয়ে পুলিশের মারধরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল । গতকাল অন্ধ্রপ্রদেশের একটি শহরে ঘটনাটি ঘটে । মৃত যুবকের নাম শেইখ ঘোউস । তাঁর কাঠের ব্যবসা ছিল । অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে । যদিও গুন্টুর রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনেরাল অফ পুলিশ জে প্রভাকর রাও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । এছাড়া সত্যেনপল্লির টাউন ইন্সপেক্টর আর রমেশবাবুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন IGP ।

ওই যুবক হার্টের রোগী ছিলেন । গতকাল সত্যেনপল্লিতে একটি দোকান থেকে ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন । তখনই SI চেকপোস্টে তাঁর পথ আটকান । এরপরেই মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে তৎক্ষণাৎ আসেন ঘোউসের এক ভাই । ঘৌউসকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান । হাসাপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।

তবে পুলিশের তরফে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে । IGP জানান, লকডাউনের মধ্যে কেন ওই ব্যক্তি রাস্তায় বেরিয়েছেন সেই বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল । তখনই হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । ঘামতে থাকেন । অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান । বলেন, "ওই যুবক কেন রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তা সঠিকভাবে বলতে পারছিলেন না । হঠাৎই প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করেন ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান । ঘটনাস্থানে ঘোউসের ভাই আসেন । হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু ওই হাসপাতালে তখন কোনও ডাক্তার ছিলেন না । স্টাফরা এগিয়ে আসেন । কিন্তু ততক্ষণে ঘোউসের মৃত্যু হয়েছে । তবে অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যেনপল্লি টাউনের SI রমেশবাবুকে সানপেনশনে রাখা হয়েছে । তদন্ত শুরু হয়েছে ।"

ঘটনার তদন্ত করবেন রেভেনিউ ডিভিশনাল অফিসার । তিনি আগে উপ বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিযুক্ত ছিলেন । রাও বলেন, "এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত । আমরা আমাদের অফিসারদের সাধারণ মানুষের প্রতি আরও বেশি সংবদেনশীল হতে বলব ।" এর আগেও লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে । এই বিষয়ে রাও জানিয়েছেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে SPS নেলোর ও গুন্টুর জেলার 10 জন ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরকে "চার্জ মেমোস" করা হয়ছে । একজন হেড কন্সটেবলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে । দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু কিছু সময় পরিস্থিতির জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । যাতে আর এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই চেষ্টাই করছি ।"

অমরাবতী (অন্ধ্রপ্রদেশ), 21 এপ্রিল: বাবার জন্য ওষুধ কিনতে বেরিয়ে পুলিশের মারধরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল । গতকাল অন্ধ্রপ্রদেশের একটি শহরে ঘটনাটি ঘটে । মৃত যুবকের নাম শেইখ ঘোউস । তাঁর কাঠের ব্যবসা ছিল । অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে । যদিও গুন্টুর রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনেরাল অফ পুলিশ জে প্রভাকর রাও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । এছাড়া সত্যেনপল্লির টাউন ইন্সপেক্টর আর রমেশবাবুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন IGP ।

ওই যুবক হার্টের রোগী ছিলেন । গতকাল সত্যেনপল্লিতে একটি দোকান থেকে ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন । তখনই SI চেকপোস্টে তাঁর পথ আটকান । এরপরেই মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে তৎক্ষণাৎ আসেন ঘোউসের এক ভাই । ঘৌউসকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান । হাসাপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।

তবে পুলিশের তরফে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে । IGP জানান, লকডাউনের মধ্যে কেন ওই ব্যক্তি রাস্তায় বেরিয়েছেন সেই বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল । তখনই হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । ঘামতে থাকেন । অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান । বলেন, "ওই যুবক কেন রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তা সঠিকভাবে বলতে পারছিলেন না । হঠাৎই প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করেন ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান । ঘটনাস্থানে ঘোউসের ভাই আসেন । হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু ওই হাসপাতালে তখন কোনও ডাক্তার ছিলেন না । স্টাফরা এগিয়ে আসেন । কিন্তু ততক্ষণে ঘোউসের মৃত্যু হয়েছে । তবে অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যেনপল্লি টাউনের SI রমেশবাবুকে সানপেনশনে রাখা হয়েছে । তদন্ত শুরু হয়েছে ।"

ঘটনার তদন্ত করবেন রেভেনিউ ডিভিশনাল অফিসার । তিনি আগে উপ বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিযুক্ত ছিলেন । রাও বলেন, "এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত । আমরা আমাদের অফিসারদের সাধারণ মানুষের প্রতি আরও বেশি সংবদেনশীল হতে বলব ।" এর আগেও লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে । এই বিষয়ে রাও জানিয়েছেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে SPS নেলোর ও গুন্টুর জেলার 10 জন ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরকে "চার্জ মেমোস" করা হয়ছে । একজন হেড কন্সটেবলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে । দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু কিছু সময় পরিস্থিতির জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । যাতে আর এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই চেষ্টাই করছি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.