আলিগড়, 25 জুন : আলিগড়ের সীমা টকিজ়ের পাশে ঘিঞ্জি গলি । তার ভিতরে ছোট্ট একটা দোকান । উপচে পড়ছে ভিড় । মুকেশ কুমারের এই কচুরির দোকানকে এক নামে চেনে সবাই । কিন্তু বর্তমানে ঘোর সঙ্কটে মুকেশ কুমার ।
তিনি এখন আয়কর দপ্তরের নজরে । কারণ তাঁর বার্ষিক আয় 60 থেকে 70 লাখ টাকা । আয় শুনে কিছুটা চোখ কপালে উঠেছিল কমার্শিয়াল ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চের কর্তাদের । সেই থেকেই তদন্ত করে দেখা যায় আদতে কোটিপতি মুকেশ কুমার দেন না আয়কর । নেই তাঁর GST রেজিস্ট্রেশনও ।
10-12 বছর ধরে এই কচুরির দোকান চালাচ্ছেন মুকেশ কুমার । একদম সাদামাটা দোকান । সকাল থেকেই শুরু হয় কচুরি ভাজা । গরম তেলে কচুরি ভাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ভিড় । চলে রাত পর্যন্ত । কিন্তু ঘিঞ্জি গলির ভিতরে ছোট্ট দোকানি যে কোটিপতি তা ভাবতেও পারেননি তাঁর গ্রাহকরা । মুকেশ কুমার নিজেও স্বীকার করেছেন তাঁর আয়ের পরিমাণ ।
কমার্শিয়াল ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র পাল সিং কন্টিয়া বলেন, "আমরা লখনউ থেকে একটি অভিযোগ পাই । এরপর দোকানের বিক্রিবাট্টা দেখে সেখানে 21 জুন তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিই । মুকেশ কুমার আমাদের জানান তাঁর আয়ের পরিমাণ ।"
তিনি আরও বলেন, "20 লাখের বেশি আয় হলে GST রেজিস্ট্রেশন জরুরি । কিন্তু 1 এপ্রিল থেকে পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় 40 লাখ টাকা । কিন্তু প্রায় কোটি টাকার উপরে আয় হলেও তাঁর নেই কোনও GST রেজিস্ট্রেশন ।"
দপ্তরের কর্তারা জানান, আলিগড়ে এরকম আরও 600 জন কচুরি বিক্রেতা আছেন । যারা GST বা আয়কর কিছুই দেন না । অনেকেই এই বিষয়ে অবগত নন । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানান, মুকেশ তাঁর ছোট্ট দোকান চালিয়ে যদি কোটি টাকা আয় করতে পারে তাহলে আলিগড়ের বড় কচুরি বিক্রেতাদের আয়ের পরিমাণ কত? পরিমাণ ভেবেই ঘুম উড়েছে দপ্তরের কর্তাদের ।