ETV Bharat / bharat

রাজস্থানের গ্রামে জল সংকট মেটাতে সাহায্য করছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

রাজস্থানের প্রতিটি শিশুও জলের মূল্য জানে । সেখানে প্রায় প্রতিদিন কমছে জলস্তর । একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে জলস্তর বাড়াতে সাহায্য করছে ।

author img

By

Published : Jul 15, 2020, 10:41 PM IST

jol
jol

জয়পুর, 15 জুলাই : রাজস্থানের প্রতিটি শিশুও জলের মূল্য জানে । এবং সামান্য একটু জল পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয় তাঁদের । সেখানে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, "যদি আপনি জলের মূল্য বুঝতে চান, তবে রাজস্থানে গিয়ে থাকা শুরু করুন । "

জয়পুরের জোবনার এলাকার মানুষ 25 বছর ধরে জলসংকটে রয়েছেন । এমনকী শ্রী করণ নরেন্দ্র এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় জলের যোগানের জন্য ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছিল । বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষ লাভবান হবে না, কিন্তু পাশের এলাকাগুলি সাহায্য পাবে ।

রাজ্যের পশ্চিমের অঞ্চলের বাসিন্দাদের সামান্য জলের জন্য অনেক কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় । কিন্তু রাজ্যের অনেক জায়গাকে ইতিমধ্যেই 'ডার্ক জ়োন' হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে । জোবনার এলাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে চলেছে । জলস্তর সেখানে ক্রমশ কমছে ।

সংরক্ষণের দ্বারা জলস্তর বাড়ানো

ভারতের সব থেকে পুরনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজস্থানে রয়েছে । শ্রী করণ নরেন্দ্র এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় নামেও পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয় । এখানকার অনেক ছাত্র-ছাত্রী কৃষিকাজ নিয়ে পড়াশোনা করেন । বিশ্ববিদ্যালয়টি দীর্ঘ বছর ধরে জলসংকটে ।

জল সংকট মেটাতে সাহায্য করছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

1995 সাল থেকে জল ট্যাঙ্কার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি । তবে এখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় স্থানীয় এলাকাগুলিও জলসংকটে । তবে এই সংকট মোকাবিলায় সব সময় চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় । তাদের ব্যবস্থাপনায় ইতিমধ্যেই জলস্তর 50 ফুট বেড়েছে ।

1985 সাল পর্যন্ত জলের কোনও সংকট ছিল না এই এখানে । কিন্তু তারপর থেকেই জলস্তর নামছে । 1995-এ জল প্রায় শেষই হয়ে যায় । 25 বছর ধরে জল সংকটের সঙ্গে মোকাবিলা করছে তারা ।

বিভিন্ন পদক্ষেপে জলের ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে

পৌরসভার সাহায্যে জওলা মাতা মন্দিরের কাছে একটি পাহাড় থেকে জলের ব্যবস্থার চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় । তিনটি পুকুর তৈরি করা হয়েছে । 33 লাখ লিটার পর্যন্ত জল ধরবে । স্থানীয় এলাকার কাছেও পুকুর তৈরি করেছে তারা ।

পাহাড় থেকে আসা জল নষ্ট হত । সেটাই এখন পুকুরে সংরক্ষণ করা হয় । যখন জলস্তর উপছে যায়, সেই জল জওলা সমুদ্রে পড়ে । পুকুর থেকে জল সংগ্রহের চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয় ।

33 লাখ লিটারের তিনটি পুকুর তৈরি হয়েছে : জিএস বাঙরাভা

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন জিএস বাঙরাভা । তিনটি 33 লাখ লিটার জলক্ষমতা সম্পন্ন পুকুর তৈরি করেছেন । তিনি জানান, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভ হয়নি । কিন্তু স্থানীয় এলাকাগুলিকে সাহায্য করা সম্ভব হয়েছে । আগে কোনও শস্য উৎপাদন সম্ভব হত না । কিন্তু এখন সেখানে পর্যাপ্ত জল রয়েছে ।

এই রকম জল সংরক্ষণ কি গুরুত্বপূর্ণ ?

রাজস্থানে গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এখানে 295 ব্লকের মধ্যে 185টি ব্লক ডার্ক জো়ন । 2003 সালে 164টি ব্লক ডার্ক জ়োন করা হয়েছিল । কিন্তু এখন তা 185 । ডার্ক জ়োন সেই এলাকাগুলি, যেখানে মাটির তলায় জল স্বাভাবিক পদ্ধতিতে আসে । কিন্তু জল ব্যবহারের পর পুনরায় পূর্ণ হয় না । অর্থাৎ, জল সংরক্ষণের ভাষায় 'জল রিচার্জ হয় না । '

জয়পুর, 15 জুলাই : রাজস্থানের প্রতিটি শিশুও জলের মূল্য জানে । এবং সামান্য একটু জল পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয় তাঁদের । সেখানে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, "যদি আপনি জলের মূল্য বুঝতে চান, তবে রাজস্থানে গিয়ে থাকা শুরু করুন । "

জয়পুরের জোবনার এলাকার মানুষ 25 বছর ধরে জলসংকটে রয়েছেন । এমনকী শ্রী করণ নরেন্দ্র এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় জলের যোগানের জন্য ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছিল । বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষ লাভবান হবে না, কিন্তু পাশের এলাকাগুলি সাহায্য পাবে ।

রাজ্যের পশ্চিমের অঞ্চলের বাসিন্দাদের সামান্য জলের জন্য অনেক কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় । কিন্তু রাজ্যের অনেক জায়গাকে ইতিমধ্যেই 'ডার্ক জ়োন' হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে । জোবনার এলাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে চলেছে । জলস্তর সেখানে ক্রমশ কমছে ।

সংরক্ষণের দ্বারা জলস্তর বাড়ানো

ভারতের সব থেকে পুরনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজস্থানে রয়েছে । শ্রী করণ নরেন্দ্র এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় নামেও পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয় । এখানকার অনেক ছাত্র-ছাত্রী কৃষিকাজ নিয়ে পড়াশোনা করেন । বিশ্ববিদ্যালয়টি দীর্ঘ বছর ধরে জলসংকটে ।

জল সংকট মেটাতে সাহায্য করছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

1995 সাল থেকে জল ট্যাঙ্কার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি । তবে এখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় স্থানীয় এলাকাগুলিও জলসংকটে । তবে এই সংকট মোকাবিলায় সব সময় চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় । তাদের ব্যবস্থাপনায় ইতিমধ্যেই জলস্তর 50 ফুট বেড়েছে ।

1985 সাল পর্যন্ত জলের কোনও সংকট ছিল না এই এখানে । কিন্তু তারপর থেকেই জলস্তর নামছে । 1995-এ জল প্রায় শেষই হয়ে যায় । 25 বছর ধরে জল সংকটের সঙ্গে মোকাবিলা করছে তারা ।

বিভিন্ন পদক্ষেপে জলের ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে

পৌরসভার সাহায্যে জওলা মাতা মন্দিরের কাছে একটি পাহাড় থেকে জলের ব্যবস্থার চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় । তিনটি পুকুর তৈরি করা হয়েছে । 33 লাখ লিটার পর্যন্ত জল ধরবে । স্থানীয় এলাকার কাছেও পুকুর তৈরি করেছে তারা ।

পাহাড় থেকে আসা জল নষ্ট হত । সেটাই এখন পুকুরে সংরক্ষণ করা হয় । যখন জলস্তর উপছে যায়, সেই জল জওলা সমুদ্রে পড়ে । পুকুর থেকে জল সংগ্রহের চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয় ।

33 লাখ লিটারের তিনটি পুকুর তৈরি হয়েছে : জিএস বাঙরাভা

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন জিএস বাঙরাভা । তিনটি 33 লাখ লিটার জলক্ষমতা সম্পন্ন পুকুর তৈরি করেছেন । তিনি জানান, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভ হয়নি । কিন্তু স্থানীয় এলাকাগুলিকে সাহায্য করা সম্ভব হয়েছে । আগে কোনও শস্য উৎপাদন সম্ভব হত না । কিন্তু এখন সেখানে পর্যাপ্ত জল রয়েছে ।

এই রকম জল সংরক্ষণ কি গুরুত্বপূর্ণ ?

রাজস্থানে গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এখানে 295 ব্লকের মধ্যে 185টি ব্লক ডার্ক জো়ন । 2003 সালে 164টি ব্লক ডার্ক জ়োন করা হয়েছিল । কিন্তু এখন তা 185 । ডার্ক জ়োন সেই এলাকাগুলি, যেখানে মাটির তলায় জল স্বাভাবিক পদ্ধতিতে আসে । কিন্তু জল ব্যবহারের পর পুনরায় পূর্ণ হয় না । অর্থাৎ, জল সংরক্ষণের ভাষায় 'জল রিচার্জ হয় না । '

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.