হাথরস, 2 অক্টোবর : হাথরসে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার পথে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ । নির্যাতিতার বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে তাদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পড়ে যান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন ।
আজ সকালে তৃণমূল সাংসদদের একটি দল হাথরসের উদ্দেশে রওনা দেয়। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমবেদনা জানাতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। দিল্লি থেকে প্রায় 200 কিলোমিটার যাত্রা করেও ফেলেছিলেন । কিন্তু, হাথরসে ঢোকার মাত্র দেড় কিলোমিটার আগে সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল ও মমতাবালা ঠাকুর(প্রাক্তন সাংসদ)-কে আটকে দেওয়া হয়। বাধার মুখে পড়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদরা। সেইসময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পড়ে যান ডেরেক ও' ব্রায়েন।
ডেরেক বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এবং সমবেদনা জানাতে হাথরস এসেছি । আমরা সমস্ত প্রোটোকল বজায় রাখছি । আমাদের কাছে তো অস্ত্রশস্ত্র নেই । তবে কেন আমাদের থামানো হচ্ছে ? এটা কী ধরনের জঙ্গলরাজ যে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেও নির্বাচিত সাংসদদের বাধা দেওয়া হচ্ছে ! নির্যাতিতার বাড়ি আর মাত্র 1.5 কিলোমিটার পথ । হেঁটেই যাব আমরা ।"
সুর চড়ান কাকলি ঘোষদস্তিদারও। বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান কী ঘটেছে । আমরা নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই । আমাদের এভাবে আটকে দেওয়া হল । BJP সরকারের আমলে মহিলারা নিরাপদে নেই । এই সরকারের বিরুদ্ধে সকলের গর্জে ওঠা উচিত । BJP সরকারকে আমরা জানাতে চাই, দেশে এখনও গণতন্ত্র আছে ।"
গতকাল হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে একইভাবে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি । কিন্তু হাথরস ঢোকার আগে একাধিকবার তাঁদের আটকানো হয় । এরপর হেঁটে হাথরসে যেতে গেলে ফের বাধা দেয় পুলিশ । চলে বচসা । ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান রাহুল। পরে তাঁদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ । রাতে গৌতম বুদ্ধ নগরের ইকোটেক ওয়ান পুলিশ স্টেশনে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় । সেখানে তাঁদের সঙ্গে থাকা 150 জন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরও নাম রয়েছে ।
15 দিন লড়াইয়ের পর 29 সেপ্টেম্বর দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাথরসের নির্যাতিতার । তাঁর জিভে গভীর ক্ষত ছিল । শিরদাঁড়া ভেঙে যাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি । পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান চিকিৎসকরা । এদিকে তাঁর মৃতদেহ পুলিশ জোর করে পুড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ ।