ETV Bharat / bharat

প্রতিবাদ সাংবিধানিক অধিকার, কিন্তু কেন্দ্র-কৃষক আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে : সুপ্রিম কোর্ট

প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে কথা হওয়া উচিত ৷ কোনওরকম প্রভাবমুক্ত, স্বতন্ত্র একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ৷ যেখানে দুই পক্ষ থেকেই তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারে ৷

Farm laws matter in Supreme Court
কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে : শুনানি সুপ্রিম কোর্টের
author img

By

Published : Dec 17, 2020, 3:13 PM IST

দিল্লি, 17 ডিসেম্বর : প্রতিবাদ জানানো সাংবিধানিক অধিকার ৷ যতক্ষণ না তার জেরে সম্পত্তি নষ্ট বা প্রাণহানি হচ্ছে ৷ কৃষি আইন মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ৷ তিনি বলেন, কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে ৷ আমরা এতে হস্তক্ষেপ করতে পারি না ৷ তবে, আন্দোলন করার ধরনের উপর নজর রাখা হবে ৷ কেন্দ্রকে বলা হবে যাতে আন্দোলনের গতিবিধির উপর নজর রাখে ৷ এর ফলে যেন গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াইয়ের উপর কোনও প্রভাব না পড়ে ৷

প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে কথা হওয়া উচিত ৷ কোনওরকম প্রভাবমুক্ত, স্বতন্ত্র একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ৷ যেখানে দুই পক্ষ থেকেই তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারে ৷ কমিটির তরফে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা-ই মানতে হবে ৷ ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখা যেতে পারে ৷ সেই স্বতন্ত্র কমিটিতে থাকতে পারে ভারতীয় কিষান সংগঠনের পি সাইনাথ ও অন্য সদস্যরা ৷ তবে , কোনও শহরকে এভাবে আটকে রাখতে পারেন না ৷ দিল্লিকে এভাবে আটকে রাখলে দিল্লিবাসীর খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে ৷ কৃষকদের সমস্যা কথা বলেও সমাধান করা যেতে পারে ৷ আমরাও ভারতীয় ৷ আমরা এই মামলার প্রতি সংবেদনশীল ৷ কৃষকদের অবস্থা বুঝতে পারছি ৷ এই বিষয়টি সমাধানের জন্য কমিটি গঠন করার চেষ্টা করছি ৷

এরপর শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে কৃষি আইন কয়েকদিনের জন্য স্থগিত রাখতে বলা হয় ৷ পরবর্তী শুনানি ও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করা পর্যন্ত কেন্দ্রকে এই আইন স্থগিত রাখতে বলা হয় ৷ অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনেরাল কে কে বেণুগোপাল বলেন, এই কোরোনা প্যানডেমিকের সময়ে কোনও কৃষকই কোরোনা বিধি মানছেন না ৷ মাস্ক পরছেন না ৷ একসঙ্গে অনেকজন বসে রয়েছেন ৷ এরপর তাঁরা গ্রামে ফিরবেন ৷ সেখানে ভাইরাস ছড়াবে ৷ কৃষকরা এভাবে অন্যদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না ৷

এর বিপরীতে পঞ্জাব সরকারের আইনজীবী পি চিদম্বরম বলেন, বেশিরভাগ কৃষকই পঞ্জাব থেকে এসেছেন ৷ শীর্ষ আদালতের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে রাজ্যের কোনও বিরোধিতা নেই ৷ তবে, কমিটিতে কে থাকবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কৃষক ও কেন্দ্রের ৷

আরও পড়ুন : কমিটি গঠন করুন, না হলে কৃষক আন্দোলন জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে : সুপ্রিম কোর্ট

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত দিল্লি সীমান্ত । বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের বহু কৃষক । ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে । এমনকী তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি ।

এই প্রসঙ্গে আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, "সরকার মিটমাট করে নেওয়ার জন্য তৈরি ছিল ও আছে । কিন্তু সমস্যা তৈরি হচ্ছে কৃষকদের নিয়ে । একাধিক মন্ত্রী এই বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু, তাঁরা কথাই বলতে চাইছেন না ।" আর এই সমস্যার জন্য বিরোধীদের দায়ি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । সরাসরি বিরোধীদের নাম না নিয়ে তাদের দাবি, কৃষকদের বাইরে থেকে কেউ উস্কানি দিচ্ছে ।

দিল্লি, 17 ডিসেম্বর : প্রতিবাদ জানানো সাংবিধানিক অধিকার ৷ যতক্ষণ না তার জেরে সম্পত্তি নষ্ট বা প্রাণহানি হচ্ছে ৷ কৃষি আইন মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ৷ তিনি বলেন, কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে ৷ আমরা এতে হস্তক্ষেপ করতে পারি না ৷ তবে, আন্দোলন করার ধরনের উপর নজর রাখা হবে ৷ কেন্দ্রকে বলা হবে যাতে আন্দোলনের গতিবিধির উপর নজর রাখে ৷ এর ফলে যেন গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াইয়ের উপর কোনও প্রভাব না পড়ে ৷

প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে কথা হওয়া উচিত ৷ কোনওরকম প্রভাবমুক্ত, স্বতন্ত্র একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ৷ যেখানে দুই পক্ষ থেকেই তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারে ৷ কমিটির তরফে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা-ই মানতে হবে ৷ ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখা যেতে পারে ৷ সেই স্বতন্ত্র কমিটিতে থাকতে পারে ভারতীয় কিষান সংগঠনের পি সাইনাথ ও অন্য সদস্যরা ৷ তবে , কোনও শহরকে এভাবে আটকে রাখতে পারেন না ৷ দিল্লিকে এভাবে আটকে রাখলে দিল্লিবাসীর খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে ৷ কৃষকদের সমস্যা কথা বলেও সমাধান করা যেতে পারে ৷ আমরাও ভারতীয় ৷ আমরা এই মামলার প্রতি সংবেদনশীল ৷ কৃষকদের অবস্থা বুঝতে পারছি ৷ এই বিষয়টি সমাধানের জন্য কমিটি গঠন করার চেষ্টা করছি ৷

এরপর শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে কৃষি আইন কয়েকদিনের জন্য স্থগিত রাখতে বলা হয় ৷ পরবর্তী শুনানি ও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করা পর্যন্ত কেন্দ্রকে এই আইন স্থগিত রাখতে বলা হয় ৷ অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনেরাল কে কে বেণুগোপাল বলেন, এই কোরোনা প্যানডেমিকের সময়ে কোনও কৃষকই কোরোনা বিধি মানছেন না ৷ মাস্ক পরছেন না ৷ একসঙ্গে অনেকজন বসে রয়েছেন ৷ এরপর তাঁরা গ্রামে ফিরবেন ৷ সেখানে ভাইরাস ছড়াবে ৷ কৃষকরা এভাবে অন্যদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না ৷

এর বিপরীতে পঞ্জাব সরকারের আইনজীবী পি চিদম্বরম বলেন, বেশিরভাগ কৃষকই পঞ্জাব থেকে এসেছেন ৷ শীর্ষ আদালতের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে রাজ্যের কোনও বিরোধিতা নেই ৷ তবে, কমিটিতে কে থাকবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কৃষক ও কেন্দ্রের ৷

আরও পড়ুন : কমিটি গঠন করুন, না হলে কৃষক আন্দোলন জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে : সুপ্রিম কোর্ট

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত দিল্লি সীমান্ত । বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের বহু কৃষক । ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে । এমনকী তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি ।

এই প্রসঙ্গে আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, "সরকার মিটমাট করে নেওয়ার জন্য তৈরি ছিল ও আছে । কিন্তু সমস্যা তৈরি হচ্ছে কৃষকদের নিয়ে । একাধিক মন্ত্রী এই বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু, তাঁরা কথাই বলতে চাইছেন না ।" আর এই সমস্যার জন্য বিরোধীদের দায়ি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । সরাসরি বিরোধীদের নাম না নিয়ে তাদের দাবি, কৃষকদের বাইরে থেকে কেউ উস্কানি দিচ্ছে ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.