ETV Bharat / bharat

জঙ্গিরা কেড়েছে বাবার প্রাণ, বাড়ির ধ্বংসস্তূপে বসে প্রতীক্ষায় মেহেরউন্নিসা

শোপিয়ানের পিঞ্জোরা গ্রামে হিজ়বুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের আক্রমণে মৃত্যু হল ব্যক্তির । নিরাপত্তারক্ষী ও জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে মৃতের পুরো বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে ।

author img

By

Published : Jun 12, 2020, 10:51 PM IST

Updated : Jun 13, 2020, 7:15 AM IST

ছবি
ছবি

শোপিয়ান, 12 জুন : ঘণ্টাখানেক আগেও বাবার একটি আঙুল শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়েছিল সাত বছরের মেহেরউন্নিসা । অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছিল গুলি-গ্রেনেডে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়ে যাওয়া বাড়িটাকে । আর মনে মনে হয়তো ভাবছিল, "আমাদের বাড়িটা তো এরকম ছিল না ! কে করল এমন? কী করে হল এই সব?"

না । মনের সেই দ্বন্দ্ব আর মেটেনি তার । কারণ উত্তর দেওয়ার আগেই তার বাবা চিরতরে ছেড়ে গিয়েছে তাকে । জরাজীর্ণ বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটা আপেলের বাগানে উদ্ধার হয়েছে বছর বত্রিশের তারিক আহমেদ পালের ক্ষতবিক্ষত দেহ । শরীরে বুলেটের আঘাত নেই । কিন্তু রয়েছে অত্যাচারের চিহ্ন । স্থানীয়দের দাবি,অজ্ঞাতপরিচয় কিছু বন্দুকবাজ (সন্দেহভাজন জঙ্গি) এসে, জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তারিককে । সারারাত বাড়ি ফেরেননি । সকালে দেহ মিলেছে ।

শোপিয়ানে জঙ্গিহানায় মৃত ব্যক্তি

হ্যাঁ । দু’দিন আগের রাতেও অনেকটা এমনই হয়েছিল ।8-9 জুনের মাঝামাঝি । শোপিয়ানের পিঞ্জোরা গ্রামে জোর করে তারিকের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল চার বন্দুকবাজ । পরে জানা যায়, তারা সকলেই হিজ়বুল মুজাহিদিন জঙ্গি । নেতৃত্বে ছিল ড্রিস্ট্রিক্ট কম্যান্ডার উমর ধোবি । সারারাত তারিকের বাড়িতে লুকিয়েছিল তারা । কিন্তু ভোরের দিকে নিরাপত্তারক্ষীরা অভিযান চালায় । গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে, চালাতে থাকে গুলি। জঙ্গিদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক ধরে চলে গুলি-গ্রেনেডের লড়াই । বাড়িটা একেবারে শেষ হয়ে যায় । গোলাগুলি শেষে উদ্ধার হয় জঙ্গিদের দেহ । সব জঙ্গি নিকেশ হয়েছে জেনে, কন্যা মেহেরউন্নিসাকে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন তারিক । কারণ, জঙ্গিরা আস্তানা গেড়ে বসার সময় দুই মেয়ে ও স্ত্রী'কে, তাঁর বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি । তিল তিল করে অর্থের সংস্থান করে যে বাড়ি তারিক গড়ে তুলেছিলেন, সেই বাড়িকে ভগ্নস্তূপে পরিণত হতে দেখে কান্না দলা পাকিয়ে উঠেছিল তাঁর গলার কাছে। কিন্তু তখনও তিনি জানতেন না, তাঁর ভাগ্যে আরও ভয়ংকর পরিণতি লেখা আছে । মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানেই মেয়েদের ছেড়ে, স্ত্রীকে ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিতে হবে তাঁকে ।

image
নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের উপর বসে রয়েছে ছোট্ট মেহেরউন্নিসা

দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানের পিঞ্জুরায় ছিল তারিকের বাড়ি । জঙ্গি-নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াই থামার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে ETV ভারতের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি । ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছিল তাঁর কথা বলার মুহূর্ত । বুঝতে পারেননি কিছুক্ষণের ব্যবধানে সব শেষ হয়ে যাবে । কিছু পরেই জঙ্গিরা তারিককে অপহরণ করে । খুন করে তাঁর দেহ বাগানে ফেলে দিয়ে চলে যায় ।

শোপিয়ান, 12 জুন : ঘণ্টাখানেক আগেও বাবার একটি আঙুল শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়েছিল সাত বছরের মেহেরউন্নিসা । অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছিল গুলি-গ্রেনেডে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়ে যাওয়া বাড়িটাকে । আর মনে মনে হয়তো ভাবছিল, "আমাদের বাড়িটা তো এরকম ছিল না ! কে করল এমন? কী করে হল এই সব?"

না । মনের সেই দ্বন্দ্ব আর মেটেনি তার । কারণ উত্তর দেওয়ার আগেই তার বাবা চিরতরে ছেড়ে গিয়েছে তাকে । জরাজীর্ণ বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটা আপেলের বাগানে উদ্ধার হয়েছে বছর বত্রিশের তারিক আহমেদ পালের ক্ষতবিক্ষত দেহ । শরীরে বুলেটের আঘাত নেই । কিন্তু রয়েছে অত্যাচারের চিহ্ন । স্থানীয়দের দাবি,অজ্ঞাতপরিচয় কিছু বন্দুকবাজ (সন্দেহভাজন জঙ্গি) এসে, জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তারিককে । সারারাত বাড়ি ফেরেননি । সকালে দেহ মিলেছে ।

শোপিয়ানে জঙ্গিহানায় মৃত ব্যক্তি

হ্যাঁ । দু’দিন আগের রাতেও অনেকটা এমনই হয়েছিল ।8-9 জুনের মাঝামাঝি । শোপিয়ানের পিঞ্জোরা গ্রামে জোর করে তারিকের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল চার বন্দুকবাজ । পরে জানা যায়, তারা সকলেই হিজ়বুল মুজাহিদিন জঙ্গি । নেতৃত্বে ছিল ড্রিস্ট্রিক্ট কম্যান্ডার উমর ধোবি । সারারাত তারিকের বাড়িতে লুকিয়েছিল তারা । কিন্তু ভোরের দিকে নিরাপত্তারক্ষীরা অভিযান চালায় । গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে, চালাতে থাকে গুলি। জঙ্গিদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক ধরে চলে গুলি-গ্রেনেডের লড়াই । বাড়িটা একেবারে শেষ হয়ে যায় । গোলাগুলি শেষে উদ্ধার হয় জঙ্গিদের দেহ । সব জঙ্গি নিকেশ হয়েছে জেনে, কন্যা মেহেরউন্নিসাকে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন তারিক । কারণ, জঙ্গিরা আস্তানা গেড়ে বসার সময় দুই মেয়ে ও স্ত্রী'কে, তাঁর বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি । তিল তিল করে অর্থের সংস্থান করে যে বাড়ি তারিক গড়ে তুলেছিলেন, সেই বাড়িকে ভগ্নস্তূপে পরিণত হতে দেখে কান্না দলা পাকিয়ে উঠেছিল তাঁর গলার কাছে। কিন্তু তখনও তিনি জানতেন না, তাঁর ভাগ্যে আরও ভয়ংকর পরিণতি লেখা আছে । মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানেই মেয়েদের ছেড়ে, স্ত্রীকে ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিতে হবে তাঁকে ।

image
নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের উপর বসে রয়েছে ছোট্ট মেহেরউন্নিসা

দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানের পিঞ্জুরায় ছিল তারিকের বাড়ি । জঙ্গি-নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াই থামার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে ETV ভারতের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি । ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছিল তাঁর কথা বলার মুহূর্ত । বুঝতে পারেননি কিছুক্ষণের ব্যবধানে সব শেষ হয়ে যাবে । কিছু পরেই জঙ্গিরা তারিককে অপহরণ করে । খুন করে তাঁর দেহ বাগানে ফেলে দিয়ে চলে যায় ।

Last Updated : Jun 13, 2020, 7:15 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.