চণ্ডীগড়, 2 অগাস্ট : পঞ্জাব বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল 86 । ঘটনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কংগ্রেস নেতা, বিধায়ক, এমনকী মন্ত্রীরা বেআইনি মদের ব্যবসা করছেন। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের ইস্তফা দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 25 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এর পাশাপাশি আবগারি বিভাগের সাত আধিকারিক এবং ছয় পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে । পঞ্জাব সরকারের তরফে সক্রিয়তা দেখা গেলেও চুপ করে নেই বিরোধী দল । কার্যত পঞ্জাব সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে তারা । যদিও এর জবাবে 2012 এবং 2016 সালের কথা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এইরকম ঘটনা পঞ্জাবে প্রথম নয়, এর আগেও বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে । তাই এই দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে অন্তত রাজনীতি করবেন না বলে সুখবীরকে সতর্ক করেন অমরিন্দর সিং ।
তিনি বলেন, অকালি দল-BJP শাসনকালেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে । 2012 এবং 2016 সালে গুরুদাসপুর এবং বাতালার কথা কেউ ভুলে যায়নি । সেবারও অনেকের মৃত্যু হয়েছিল । বাতালার ঘটনায় কোনও FIR পর্যন্ত দায়ের হয়নি । প্রধান অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ পর্যন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বিষমদ কাণ্ডে প্রাথমিকভাবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছিল । পুলিশ জানায়, 29 জুলাই অমৃতসরের তারসিক্কার মুচ্ছল ও টাঙ্গরা গ্রাম থেকে প্রথম ওই পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল । সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বুধবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 86 জনের মৃত্যু হয়েছে । এরমধ্যে তারন তারান জেলায় 63 জনের, অমৃতসরে 12 জনের এবং বাতালা জেলায় 11 জনের মৃত্যু হয়েছে ।