ETV Bharat / bharat

সংবিধানের প্রতি আস্থা আছে, তাই সেনাশাসনের পরিস্থিতি হয়নি দেশে

দেশে গণতন্ত্র অটুট আছে । দেশে যা কিছু নতুন পদক্ষেপ হচ্ছে, সবই সংবিধানের মধ্যে থেকে । আলোচনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজা গোপালধর চক্রবর্তী ।

sangbidhan
sangbidhan
author img

By

Published : Nov 26, 2019, 1:09 PM IST

কলকাতা, 26 নভেম্বর : সংবিধানের গুরুত্ব-গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ উঠলেও বিষয়টির সঙ্গে আমি একমত নই । আমার স্পষ্ট অভিমত, দেশের প্রতিটি মানুষ (জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে) সংবিধানকে মান্যতা করেন । এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ রয়েছে ভারতের গণতন্ত্র । মানুষ ভোট দিতে যান । বিশ্বাস রাখেন । এটাই প্রমাণ করে সংবিধান-গণতন্ত্র পুরোপুরি মজবুত আছে । বহাল আছে এর গুরুত্ব, গ্রহণযোগ্যতা ।

তৃতীয় বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে অনেক পরিবর্তন এসেছে । দেশের অখণ্ডতা ভেঙেছে । সংবিধানের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সংবিধানের বেশ কয়েকবার পরিবর্তন এসেছে । কিন্তু আমাদের দেশের সংবিধানের সংশোধন হয়েছে রীতিনীতি মেনে । আমাদের মূল কাঠামো বজায় রয়েছে । একটি মুহূর্তের জন্য সংবিধানকে আমান্য করার ঘটনা ঘটেনি । অবজ্ঞা করা হয়নি । ভারতের মতো দেশে গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ থাকার এটাই সব থেকে বড় কারণ ।

সংবিধান এবং গণতন্ত্র যে অক্ষুণ্ণ আছে তার বড় উদাহরণ, আদালতের ভূমিকাকে আমরা কখনও অবমাননা করিনি । এর ফলে আজও সংবিধানের গুরুত্ব রয়েছে । অনেকে ভাবছেন ভাঙা হচ্ছে । কিন্তু মনে রাখতে হবে বিচার বিভাগের ভিত্তিতে সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে । যেমন মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন । শনিবার সুপ্রিম কোর্ট বসেছিল । সুতরাং, সংবিধানের ভেতরে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে । সংবিধানের বাইরে সমাধানের প্রয়োজন লাগছে না । এমন একটা পদ্ধতি রয়েছে যেটা কাজ করে যাচ্ছে ।

"এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ রয়েছে ভারতের গণতন্ত্র"
সংবিধানে বলা হয়েছিল প্রথম 20 বছর সংরক্ষণ দেওয়া হবে । পরবর্তীকালে মনে হয়েছে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর উন্নয়ন তেমন হয়নি । সেটা বাড়ানো প্রয়োজন । সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনেই করা হয়েছিল । কিছু কিছু মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও পরিস্থিতি কোনও সময়ই হাতের বাইরে চলে যায়নি । এর ফলে, পিছিয়ে পড়া মানুষও বিশ্বাস করছেন সংবিধানের মধ্যে থেকে তাঁদের কিছু পাওয়ার রয়েছে ।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের তুলনা করে বলা যায়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই ধরনের গণতান্ত্রিক কাঠামো কোথাও নেই । আফ্রিকার দেশগুলোতে মারামারি-সেনাশাসন চলছে । একমাত্র আমরাই সেনাশাসনের বাইরে দেশটিকে রেখেছি । বিচ্যুতি ঘটছে না তা নয়, অবশ্যই ঘটছে । তাও স্বীকার করতেই হবে, সংবিধানের প্রতি মানুষের আস্থা আজও অটুট রয়েছে ।

কলকাতা, 26 নভেম্বর : সংবিধানের গুরুত্ব-গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ উঠলেও বিষয়টির সঙ্গে আমি একমত নই । আমার স্পষ্ট অভিমত, দেশের প্রতিটি মানুষ (জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে) সংবিধানকে মান্যতা করেন । এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ রয়েছে ভারতের গণতন্ত্র । মানুষ ভোট দিতে যান । বিশ্বাস রাখেন । এটাই প্রমাণ করে সংবিধান-গণতন্ত্র পুরোপুরি মজবুত আছে । বহাল আছে এর গুরুত্ব, গ্রহণযোগ্যতা ।

তৃতীয় বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে অনেক পরিবর্তন এসেছে । দেশের অখণ্ডতা ভেঙেছে । সংবিধানের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সংবিধানের বেশ কয়েকবার পরিবর্তন এসেছে । কিন্তু আমাদের দেশের সংবিধানের সংশোধন হয়েছে রীতিনীতি মেনে । আমাদের মূল কাঠামো বজায় রয়েছে । একটি মুহূর্তের জন্য সংবিধানকে আমান্য করার ঘটনা ঘটেনি । অবজ্ঞা করা হয়নি । ভারতের মতো দেশে গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ থাকার এটাই সব থেকে বড় কারণ ।

সংবিধান এবং গণতন্ত্র যে অক্ষুণ্ণ আছে তার বড় উদাহরণ, আদালতের ভূমিকাকে আমরা কখনও অবমাননা করিনি । এর ফলে আজও সংবিধানের গুরুত্ব রয়েছে । অনেকে ভাবছেন ভাঙা হচ্ছে । কিন্তু মনে রাখতে হবে বিচার বিভাগের ভিত্তিতে সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে । যেমন মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন । শনিবার সুপ্রিম কোর্ট বসেছিল । সুতরাং, সংবিধানের ভেতরে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে । সংবিধানের বাইরে সমাধানের প্রয়োজন লাগছে না । এমন একটা পদ্ধতি রয়েছে যেটা কাজ করে যাচ্ছে ।

"এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ রয়েছে ভারতের গণতন্ত্র"
সংবিধানে বলা হয়েছিল প্রথম 20 বছর সংরক্ষণ দেওয়া হবে । পরবর্তীকালে মনে হয়েছে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর উন্নয়ন তেমন হয়নি । সেটা বাড়ানো প্রয়োজন । সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনেই করা হয়েছিল । কিছু কিছু মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও পরিস্থিতি কোনও সময়ই হাতের বাইরে চলে যায়নি । এর ফলে, পিছিয়ে পড়া মানুষও বিশ্বাস করছেন সংবিধানের মধ্যে থেকে তাঁদের কিছু পাওয়ার রয়েছে ।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের তুলনা করে বলা যায়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই ধরনের গণতান্ত্রিক কাঠামো কোথাও নেই । আফ্রিকার দেশগুলোতে মারামারি-সেনাশাসন চলছে । একমাত্র আমরাই সেনাশাসনের বাইরে দেশটিকে রেখেছি । বিচ্যুতি ঘটছে না তা নয়, অবশ্যই ঘটছে । তাও স্বীকার করতেই হবে, সংবিধানের প্রতি মানুষের আস্থা আজও অটুট রয়েছে ।

Intro:কলকাতা, ২৫ নভেম্বর : 'সংবিধানকে মান্যতা করে সকলে। এখনও পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ রয়েছে ভারতের গণতন্ত্র। মানুষ ভোট দিতে যায়। বিশ্বাস রাখে ।' আজ সংবিধান দিবসের প্রাক্কালে ইটিভি ভারতের কাছে সংবিধানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর রাজা গোপালাধর চক্রবর্তী।


Body:
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সংবিধান নিয়ে রাজা গোপালাধর চক্রবর্তী বললেন, 'এখনও পর্যন্ত আমাদের সংবিধান যে ভাবে ছিল। সেভাবেই রয়েছে। সংবিধান নিয়ম মেনেই হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে যেভাবে পরিবর্তন এসেছে। দেশের অখণ্ডতা ভেঙেছে । সংবিধানের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সংবিধানের বেশ কয়েকবার পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু আমাদের দেশের সংবিধানের সংশোধন হয়েছে রীতিনীতি মেনে। আমাদের মূল কাঠামো বজায় রয়েছে। সংবিধানকে আমরা মানিনি। অবজ্ঞা করেছি। এমন ঘটনা ঘটেনি। এটা বড় দিক। যার জন্য ভারতের গণতন্ত্র এখনও অক্ষুণ্ণ আছে। মানুষ ভোট দিতে যায়। বিশ্বাস করে। একটাই কারণ, সংবিধানের মূল কাঠামোকে আমরা অক্ষুণ্ণ রেখেছি।'
সংবিধান এবং বিচারব্যবস্থার মেলবন্ধন ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অটুট রয়েছে বলে মনে করছেন রাজা গোপালাধর বাবু। এ বিষয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, 'মহামান্য আদালতের ভূমিকাকেও আমরা কখনও অবমাননা করিনি। এটা দেখার। এর ফলে আজও সংবিধানের গুরুত্ব রয়েগেছে। অনেকে ভাবছে ভাঙা হচ্ছে । কিন্তু ভাঙা হলেও বিচার বিভাগের ভিত্তিতে হচ্ছে। এই যেমন মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট বসেছে। সুতরাং সংবিধানের ভেতরে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে। সংবিধানের বাইরে সমাধানের প্রয়োজন লাগছে না। এমন একটা ম্যাকানিজম রয়েছে যেটা কাজ করে যাচ্ছে।'
সংবিধানে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বহাল থাকা নিয়ে রাজা গোপালাধর চক্রবর্তীর অভিমত, 'সংবিধানে বলা হয়েছিল প্রথম ২০ বছর সংরক্ষণ দেওয়া হবে। পরবর্তিকালে মনে হয়েছে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর উন্নয়ন তেমন হয়নি। সেটা বাড়ানো প্রয়োজন। সংবিধান প্রক্রিয়া মেনেই করা হয়েছিল। কিছু কিছু মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকা সত্তেও রয়ে গেছে। এটাই মজার। পিছিয়ে পড়া মানুষেরাও মনে করছেন সংবিধানের মধ্যে থেকে তাঁদের কিছু পাওয়ার রয়েছে। কোনও উপেক্ষা করছে না। সংবিধান তাঁদের কিছু দিচ্ছে। সবাই যে তেমন পাচ্ছে সেটাও নয়। তবুও মানুষ ভাবছে যে অধিকার রয়েছে তা অন্য কোথাও পাব না।' অন্যদিকে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের তুলনা টেনে তাঁর ব্যাখ্যা, ' তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই ধরনের গণতান্ত্রিক কাঠামো কোথাও নেই। এটা মানতেই হবে। আফ্রিকার দেশগুলোতে মারামারি, মিলিটারি শাসন চলছে। একমাত্র আমরাই মিলিটারি শাসনের বাইরে দেশটিকে রেখেছি। বিচ্যুতি ঘটছে না তা নয়, বিচ্যুতি তো ঘটছে, এসব সত্তেও সংবিধান কাজ করছে। সংবিধানের প্রতি মানুষের আস্থা রয়েই গেছে ।'




Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.