পটনা, 25 নভেম্বর : বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম ভারতীয় সংবিধান । কয়েকজন দূরদর্শী ব্যক্তি মিলে এই সংবিধান রচনা করেন । যাঁদের মধ্যে একজন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ । ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি ।
ভারতের গণপরিষদের সঙ্গে যুক্ত 36 জনের মধ্যে রাজেন্দ্র প্রসাদ ছিলেন অন্যতম । 1946 সালের 11 ডিসেম্বর তিনি স্থায়ী সভাপতির পদে নির্বাচিত হন ।
ETV ভারতের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজেন্দ্র প্রসাদের নাতনি তারা সিনহা বলেন, "সংবিধান তৈরিতে ডঃ প্রসাদের ভূমিকা নিয়ে কখনও আলোচনা করা হয়নি । কিন্তু তাঁর তত্ত্বাবধানেই মাত্র তিন বছরের মধ্যে সফলভাবে সংবিধান রচিত হয় । "
সংবিধান রচনার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন রাজেন্দ্র প্রসাদের নাতনি । সংবিধান রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন রাজেন্দ্র প্রসাদ । অথচ শুধুমাত্র সংবিধানের বর্ণনায় তাঁর ভূমিকার কথা বলা রয়েছে । এমনটা জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন নাতনি তারা সিনহা ।
ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত ঔপনিবেশিক পরবর্তী নিয়মগুলির মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে ভারসাম্য তৈরিতে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে সে বিষয়ে কথা বলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক তথা এ.এন সিনহা ইনস্টিটিউট ফর সোশাল স্টাডিজ়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডি এম দিওয়াকার । তিনি বলেন, "ভারতীয় সংবিধানে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের অবদান অবিস্মরণীয় । বর্তমান ও ভবিষ্যত দিকগুলির কথা মাথায় রেখে যে সততার সঙ্গে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল তা কেবলমাত্র রাজেন্দ্র প্রসাদের জন্যই সম্ভব হয়েছিল ।"
দিওয়াকারের বিশ্বাস, ভারতীয় সংবিধানে যে যে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা অধিকার যোগ করা হয়েছে তাতে রাজেন্দ্র প্রসাদের সম্মতি ও অবদান ছিল । রাজেন্দ্র মেমোরিয়াল মিউজ়িয়ামের চেয়ারপার্সন মনোজ ভার্মার মতে, সংবিধানে গঠনে অন্যান্যদের মধ্যে রাজেন্দ্র প্রসাদের অবদান ছিল বেশি ।
1946-র 13 ডিসেম্বর থেকে ভারতের সংবিধান রচনা শুরু হয় । আর তা শেষ হয় 1949-র ডিসেম্বরে । 292 টি প্রদেশের 389 সদস্য, 93 টি রাজ্য ও তিনটি কমিশনার প্রধান প্রদেশ এবং বালুচিস্তান নিয়ে গঠিত ছিল পরিষদ । কিন্তু দেশভাগের পর মুসলিম লিগের সদস্যরা নিজেদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয় । যার ফলে সদস্যসংখ্য কমে দাঁড়ায় 299 ।