আমাদের সংবিধানে এখনও পর্যন্ত 103টি সংশোধনী হয়েছে । এই সংশোধনীগুলির লক্ষ্য, সমাজ যাতে সংবিধানের মূল ধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে ।
গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীগুলি নিচে দেওয়া হল :
প্রথম সংশোধনী (1951)
বিচার ব্যবস্থার হস্তক্ষেপ থেকে জমি সংস্কার ও অন্য আইনগুলিকে সুরক্ষা কবচ প্রদান ।
নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা'-কে তিনটি শর্তসাপেক্ষ সীমাবদ্ধতা দ্বারা নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা ।
সপ্তম সংশোধনী (1956)
ভাষার ভিত্তিতে দেশকে 14টি রাজ্য ও 6টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় । বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থায় মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের জন্য 350-এ ধারা সংবিধানে যুক্ত করা হয় ।
24 তম সংশোধনী (1971)
সংবিধানের যে কোনও অংশ সংশোধনের ক্ষমতা রয়েছে লোকসভার হাতে । সংবিধানের কোনও সংশোধনীতে যদি সংসদের দুই কক্ষই সম্মতি দেয়, তবে রাষ্ট্রপতিকে অনিবার্যভাবে তা অনুমোদন করতে হবে ।
42 তম সংশোধনী (1976)
সংবিধানের প্রস্তাবনায় 'সোশালিস্ট, সেকুলার ও ইন্টেগ্রিটি' শব্দ তিনটি যুক্ত করা হয় ।
নাগরিক কর্তব্যর তালিকা তৈরি করা হয় ।
রিট পিটিশন ও বিচার ব্যবস্থার পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের সীমা নিয়ন্ত্রণ ।
ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস ফার্ম প্রতিষ্ঠা ।
44 তম সংশোধনী (1978)
জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রে 'সশস্ত্র বিদ্রোহ' শব্দটির পরিবর্তে 'অভ্যন্তরীণ গোলযোগ' শব্দ দু'টি ব্যবহার করা হবে ।
রাষ্ট্রপতি নিজে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন না । কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানালে তবেই তিনি জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন ।
মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে সম্পত্তির অধিকারকে বাদ দেওয়া হল ।
73 ও 74 তম সংশোধনী
স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বায়ত্ত শাসনের অধিকার প্রদান ।
গ্রাম পঞ্চায়েত ও পৌর সংস্থাগুলিকে সাংবিধানিক মর্যাদা প্রদান ।
'মিউনিসিপ্যালিটি'-তে নতুন অংশ যুক্ত করা হল ।
সমস্ত স্থানীয় সংস্থাগুলিতে সরাসরি নির্বাচনের অধিকার ।
86 তম সংশোধনী
6 থেকে 14 বছরের শিশুদের জন্য শিক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকারের অন্তর্গত ।
শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক ।
101 তম সংশোধনী (2016)
269-এ ও 279-এ ধারায় GST (গুডস সার্ভিসেস ট্যাক্স) চালু ।
102 তম সংশোধনী (2018)
পশ্চাদপদ শ্রেণির জন্য গঠিত হল জাতীয় কমিশন এবং তাকে সাংবিধানিক মর্যাদা প্রদান ।
103 তম সংশোধনী (2019)
শিক্ষা ও চাকরিতে আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য 10 শতাংশ সংরক্ষণ ।
ভোটদানের বয়সসীমা কমিয়ে 18 বছর
1988 সালে রাজীব গান্ধি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন 61 তম সংশোধনীতে ভোটদানের ন্যূনতম বয়স কমিয়ে 18 বছর করা হয় । এই বয়সসীমা আগে ছিল 21 বছর । এই সংশোধনীর ফলে দেশের নবীন প্রজন্ম ব্যালটে তাদের মতামত জানিয়ে নেতা নির্বাচনের সুযোগ পেল ।