ETV Bharat / bharat

সংবিধান সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, আহ্বান প্রাক্তন বিচারপতির

author img

By

Published : Nov 26, 2019, 11:32 AM IST

Updated : Nov 26, 2019, 2:16 PM IST

ভারতের এই গণতান্ত্রিক কাঠামোর কথা স্মরণ করিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি সংশয় প্রকাশ করেছেন, আজকের দিনে অনেক ক্ষেত্রেই মান্য করা হচ্ছে না । অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ''অনেক কষ্ট, পরিশ্রম, সংগ্রামের ফলে সংবিধান রচিত হয়েছিল । জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাসের গোড়ার দিকে সকলে মিলে সংবিধান রচনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন । সমগ্র জাতির সংগ্রামের, আত্মত্যাগের, বলিদানের ফসল 70 বছরের সংবিধান ।''

sangbidhan
sangbidhan

কলকাতা, 26 নভেম্বর : সংবিধানের শপথ নিয়ে ক্ষমতায় এলেও অনেক সরকারই তা ঠিক মতো মেনে চলে না । সংবিধানের 70 বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এ ভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় । একই সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতির মত, শুধু সরকার নয়, দেশের প্রতিটি মানুষের কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে সংবিধান রক্ষায় ।

ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত হয় একটি সরকার । সেই সরকারকে সংবিধানের শপথ নিতে হয় । সংবিধানের শপথ না নিয়ে কোনও সরকার ( রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়ই) ক্ষমতায় আসতে পারে না । ভারতের এই গণতান্ত্রিক কাঠামোর কথা স্মরণ করিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি সংশয় প্রকাশ করেছেন, আজকের দিনে অনেক ক্ষেত্রেই মান্য করা হচ্ছে না । অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ''অনেক কষ্ট, পরিশ্রম, সংগ্রামের ফলে সংবিধান রচিত হয়েছিল । জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাসের গোড়ার দিকে সকলে মিলে সংবিধান রচনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন । সমগ্র জাতির সংগ্রামের, আত্মত্যাগের, বলিদানের ফসল 70 বছরের সংবিধান ।'' এর পরই তিনি মনে করিয়ে দেন, এই সংবিধান রক্ষা করার মূল দায়িত্ব প্রতিটি শাসকদলের । কোনও কারণে সরকার পিছিয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের উচিত সংবিধানের রীতিনীতি রক্ষায় এগিয়ে আসা, মত অশোকের ।

সংবিধানের মূল স্তম্ভ তিনটি । গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র । এই কাঠামোর উপরেই রচিত হয়েছে ভারতীয় সংবিধান । বর্তমান সময় কেন্দ্র এবং রাজ্যের সাংবিধানিক-গণতান্ত্রিক ভাবধারার সঠিক প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি । সরকার যদি কোনও কারণে তার দায়িত্ব থেকে সরে আসে তাহলে আমজনতা কঠোর পদক্ষেপ করতে পারেন । তিনি বলেন, ''সাধারণের উচিত সরকারকে বাধ্য করা সাংবিধানিক রীতিনীতি মেনে চলার জন্য । প্রয়োজনে আগামী দিনে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকদলের পরিবর্তনও করতে পারেন এ দেশের মানুষ । এটাই এ দেশের সংবিধানের অভিনবত্ব ।''

"অনেক সংগ্রামের ফলে সংবিধান রচিত হয়েছিল"

সংবিধানে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানকে মৌলিক অধিকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে । যদিও কোনও সরকার সংবিধান না মানে চলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বৃদ্ধি স্বাভাবিক । এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ''সংবিধান সংশোধনের কোনও প্রয়োজন নেই । যথোপযুক্ত রয়েছে সংবিধান ।''

আজকের দিনে জাতিগত সংরক্ষণ সংবিধানে কতটা প্রাসঙ্গিক তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "জাতীয় সংরক্ষণ কমিশন বা ন্যাশনাল রিজ়ার্ভেশন কমিশন গঠন করে দেখা উচিত সংবিধানে সংরক্ষণের কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি না । ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে সংরক্ষণকে বৃদ্ধি করা হচ্ছে । যে সময়ে সংবিধানে সংরক্ষণের কথা সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তখন সমাজের পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম ।" বর্তমান সামাজিক কাঠামোয় সংরক্ষণ কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি ।

কলকাতা, 26 নভেম্বর : সংবিধানের শপথ নিয়ে ক্ষমতায় এলেও অনেক সরকারই তা ঠিক মতো মেনে চলে না । সংবিধানের 70 বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এ ভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় । একই সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতির মত, শুধু সরকার নয়, দেশের প্রতিটি মানুষের কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে সংবিধান রক্ষায় ।

ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত হয় একটি সরকার । সেই সরকারকে সংবিধানের শপথ নিতে হয় । সংবিধানের শপথ না নিয়ে কোনও সরকার ( রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়ই) ক্ষমতায় আসতে পারে না । ভারতের এই গণতান্ত্রিক কাঠামোর কথা স্মরণ করিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি সংশয় প্রকাশ করেছেন, আজকের দিনে অনেক ক্ষেত্রেই মান্য করা হচ্ছে না । অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ''অনেক কষ্ট, পরিশ্রম, সংগ্রামের ফলে সংবিধান রচিত হয়েছিল । জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাসের গোড়ার দিকে সকলে মিলে সংবিধান রচনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন । সমগ্র জাতির সংগ্রামের, আত্মত্যাগের, বলিদানের ফসল 70 বছরের সংবিধান ।'' এর পরই তিনি মনে করিয়ে দেন, এই সংবিধান রক্ষা করার মূল দায়িত্ব প্রতিটি শাসকদলের । কোনও কারণে সরকার পিছিয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের উচিত সংবিধানের রীতিনীতি রক্ষায় এগিয়ে আসা, মত অশোকের ।

সংবিধানের মূল স্তম্ভ তিনটি । গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র । এই কাঠামোর উপরেই রচিত হয়েছে ভারতীয় সংবিধান । বর্তমান সময় কেন্দ্র এবং রাজ্যের সাংবিধানিক-গণতান্ত্রিক ভাবধারার সঠিক প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি । সরকার যদি কোনও কারণে তার দায়িত্ব থেকে সরে আসে তাহলে আমজনতা কঠোর পদক্ষেপ করতে পারেন । তিনি বলেন, ''সাধারণের উচিত সরকারকে বাধ্য করা সাংবিধানিক রীতিনীতি মেনে চলার জন্য । প্রয়োজনে আগামী দিনে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকদলের পরিবর্তনও করতে পারেন এ দেশের মানুষ । এটাই এ দেশের সংবিধানের অভিনবত্ব ।''

"অনেক সংগ্রামের ফলে সংবিধান রচিত হয়েছিল"

সংবিধানে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানকে মৌলিক অধিকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে । যদিও কোনও সরকার সংবিধান না মানে চলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বৃদ্ধি স্বাভাবিক । এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ''সংবিধান সংশোধনের কোনও প্রয়োজন নেই । যথোপযুক্ত রয়েছে সংবিধান ।''

আজকের দিনে জাতিগত সংরক্ষণ সংবিধানে কতটা প্রাসঙ্গিক তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "জাতীয় সংরক্ষণ কমিশন বা ন্যাশনাল রিজ়ার্ভেশন কমিশন গঠন করে দেখা উচিত সংবিধানে সংরক্ষণের কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি না । ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে সংরক্ষণকে বৃদ্ধি করা হচ্ছে । যে সময়ে সংবিধানে সংরক্ষণের কথা সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তখন সমাজের পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম ।" বর্তমান সামাজিক কাঠামোয় সংরক্ষণ কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি ।

Intro:সংবিধানের শপথ নিয়েগ রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকার ক্ষমতায় আসে। সংবিধানের নামে শপথ না নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে না কোনো সরকার। এটাই ভারতীয় সংবিধানের অভিনবত্ব। বললেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলী।


Body:সংবিধানের শপথ নিয়ে অনেকেই ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু ক'জন সেই শপথ রক্ষা করেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রবীণ আইনজীবী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। সংবিধান রক্ষা, সংবিধানের মান মর্যাদা রক্ষা করা সবার আগে প্রয়োজন। সংবিধানের বৈশিষ্ট্য আদৌ মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।
অনেক কষ্ট, পরিশ্রম, সংগ্রামের ফলে দীর্ঘদিন আগে দেশের উৎকৃষ্ট কিছু মানুষ সংবিধান রচনা করেছিলেন। জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাসের গোড়ার দিকে সকলে মিলে সংবিধান রচনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন সেদিন। সমগ্র জাতির সংগ্রামের, আত্মত্যাগের, বলিদানের ফসল ৭০ বছরের সংবিধান। সংবিধান রক্ষা করার মূল দায়িত্ব শাসক দলের ওপর বলে মনে করেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করার কথা সংবিধানের। সরকার পিছিয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের উচিত সংবিধানের রীতিনীতি রক্ষায় এগিয়ে আসা। সংবিধানের মূল তিনটি স্তম্ভ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র। এই কাঠামোর ওপরেই রচিত হয়েছে ভারতীয় সংবিধান। বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্র এবং রাজ্যের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ভাবধারার সঠিক প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন না অশোক গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, 'মানুষের উচিত সরকারকে বাধ্য করা সাংবিধানিক রীতিনীতি মেনে চলার জন্য। প্রয়োজনে আগামীদিনে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকদলের পরিবর্তনও করতে পারেন এ দেশের মানুষ। এটাই এদেশের সংবিধানের অভিনবত্ব।'
সংবিধানে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের বিষয়ে মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখিত রয়েছে। যদিও সরকার সংবিধান না মানায় চারিদিকে বিক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংবিধান সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই। যথেষ্ট যথোপযুক্ত রয়েছে ভারতীয় সংবিধান। তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে জাতিগত সংরক্ষণ সংবিধানে কতটা প্রাসঙ্গিক তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "জাতীয় সংরক্ষণ কমিশন বা ন্যাশনাল রিজার্ভেশন কমিশন গঠন করে দেখা উচিত সংবিধানে সংরক্ষণের কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা। ভোট ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে সংরক্ষণকে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যে সময়ে সংবিধানে সংরক্ষণের কথা সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সে সময় সমাজের পরিস্থিতি ছিল অন্যরকম। বর্তমানে সামাজিক কাঠামো এখন যা আছে তাতে চিন্তা করা দরকার, সেদিনের সংরক্ষণ আজ প্রয়োজন কিনা।"


Conclusion:
Last Updated : Nov 26, 2019, 2:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.