দিল্লি, 28 অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহারের সাংবিধানিক বৈধতা পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট । অক্টোবর থেকে এনিয়ে শুনানি শুরু হবে । আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ এই কথা জানায় । এই বিষয়ে সরকারের মত জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠাবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত । আজ 370 ধারা প্রত্যাহার সহ কাশ্মীরে চলতে থাকা গতিবিধি সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলির যৌথ শুনানি চলাকালীন এ কথা জানায় শীর্ষ আদালত ।
370 ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা, ন্য্শনাল কনফারেন্স সাংসদ মহম্মদ আকবর লোন ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হসনেইন মাসুদি । তাঁদের যুক্তি ছিল সরকারের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক । একই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন IAS অফিসার শাহ ফৈজ়ল ও JNU-র ছাত্রনেতা সইলা রশিদ । সবগুলি আবেদনের যৌথ শুনানির সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত । সেই শুনানি চলাকালীন আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠানো হবে ।
যদিও সরকারকের পক্ষে এই নোটিশ পাঠানোর বিরোধিতা করা হয় । সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এই নোটিশ পাঠানোর জেরে সীমান্তপারে অস্থিরতা বাড়তে পারে । সরকার এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘকে যা বলেছে আদালতকেও তাই জানাচ্ছে । তবে এই যুক্তি খণ্ডন করে আদালত । এই প্রসঙ্গে বিচারপতি এস এ বোবদে এবং এস এ নাজ়ির বলেন, "আমরা জানি কী করতে হবে । আমরা ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশ দিয়েছি । আমরা তা বদল করব না ।"
এদিকে কাশ্মীরের এক দৈনিক পত্রিকার এগজ়িকিউটিভ এডিটর অনুরাধা বসিন কাশ্মীরে সরকার নিয়ন্ত্রিত গতিবিধির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন । তাঁর অভিযোগ, এই বিধিনিষেধের জেরে তিনি তাঁর পত্রিকা প্রকাশ করতে পারছেন না । পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, কাশ্মীরজুড়ে সাংবাদিকদের গতিবিধি অবাধ করুক সরকার । সেই সংক্রান্ত বিষয়েও সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত ।