দিল্লি, 16 জুন : "মেক ইন ইন্ডিয়া"-র অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে 3 হাজার দেশীয় ভেন্টিলেটর বিতরণ করা হল।
কোরোনা রোগীদের অন্যতম উপসর্গ হল শ্বাসকষ্ট । বহু কোরোনা রোগীই অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিজ়িজ় সিনড্রোমে(ARDS) ভুগছেন, তাঁদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ভেন্টিলেটরের । 1 মে স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি প্রেস বিবৃতিতে জানায়, জুন পর্যন্ত দেশে 75 হাজার ভেন্টিলেটরের চাহিদা রয়েছে । রাজ্য সরকারগুলির প্রয়োজন অনুসারে দেশেই বিভিন্ন কম্পানিকে ভেন্টিলেটর তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়েছে ।
এক আধিকারিক জানান, "এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 3 হাজার দেশীয় ভেন্টিলেটর একাধিক রাজ্যের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । কয়েকটি ভেন্টিলেটর এখনও পাঠানো বাকি রয়েছে। " তিনি বলেন, আগামীদিনে ভেন্টিলেটর তৈরির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। "মেক ইন ইন্ডিয়া"-র উদ্যোগে স্থানীয় ভেন্টিলেটর প্রস্তুতকারকদের চিহ্নিত করে তাদের প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য প্রোটোকল বুঝিয়ে নতুন সাপ্লাই চেন তৈরি করা হয়েছে । ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড(BEL), যা স্ক্যানরে-র সঙ্গে যৌথভাবে 30 হাজার ভেন্টিলেটর তৈরির অর্ডার পেয়েছে।
আর এক দেশীয় ভেন্টিলেটর প্রস্তুতকারক সংস্থা AgVa মারুতি সুজুকি কম্পানির সহযোগিতায় 10 হাজার ভেন্টিলেটর তৈরির অর্ডার পেয়েছে। AMTZ সংস্থা 13 হাজার 500টি ভেন্টিলেটর এবং জ্যোতি CNC 5 হাজার ভেন্টিলেটর তৈরির অর্ডার পেয়েছে।
13 মে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, "কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য 50 হাজার "মেড ইন ইন্ডিয়া" ভেন্টিলেটর পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে 2 হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে । এই ভেন্টিলেটরগুলি বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হবে।"
বিদেশমন্ত্রকের তরফেও চিনের বিভিন্ন প্রস্তুতকারকদের থেকে 10 হাজার ভেন্টিলেটর আমদানি করা হবে বলে জানানো হয়েছে । স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাস অবধি 2.01 কোটি টাকার PPE কিট অর্ডার দেওয়া হয়েছে । এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে এক কোটি PPE কিট বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিতরণ করা হয়েছে । এছাড়া এক কোটিরও বেশি N-95 মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।