মুম্বই, 26 অগাস্ট : আর্থিক সংকটের মধ্যে সরকারের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ (EWS) প্রকল্পের আওতায় বাড়ির আবেদন করলেন 26/11 মুম্বই হামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী দেবিকা রোটাওয়ান । একটি বাড়ি এবং নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি সাহায্য চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি । চলতি সপ্তাহেই এ'বিষয়ে শুনানি শুরু হবে ।
2011-র 26 নভেম্বর, মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস স্টেশনে ছিলেন দেবিকা । হামলার সময়ে তাঁর ডান পায়ে গুলি লাগে । লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি আজমল আমির কাসভকে গুলি চালাতে দেখেন তিনি । এরপর তাঁর ছ'টি অপারেশন হয় এবং প্রায় 6 মাস ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন । আজমল কাসভ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসপাতালে দেবিকার চিকিৎসা চলাকালীন অনেক সরকারি আধিকারিক তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে EWS স্কিমের আবাসন প্রকল্প থেকে বাড়ি ও পড়াশোনার খরচ চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন । তবে সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ দেবিকার ।
দেবিকার কথায়, “বিশেষত লকডাউনের পরে আর্থিক সমস্যা আরও বেড়েছে । আমি মহারাষ্ট্র সরকারের সাহায্য চাই । আমাকে বলা হয়েছিল, একটি বাড়ি এবং সমস্ত সহায়তা দেওয়া হবে । তবে এখনও তা হয়নি । এর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছ থেকে দশ লাখ টাকার সাহায্য পেয়েছি । আমার যক্ষা রোগের (টিবি) চিকিৎসায় তা ব্যবহৃত হয়েছে । আমি এর জন্য কৃতজ্ঞ । তবে তার আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখনও পূরণ হয়নি ।”
প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলায় আজমল কাসভ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কাসভের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দেবিকা রোটাওয়ানের উপর নির্ভরশীল ছিলেন দায়রা বিচারপতি । সরকারি সাহায্য চেয়ে দেবিকা রোটাওয়ান বলেন, “আমার বাবা একজন প্রবীণ নাগরিক এবং শয্যাশায়ী । আমার ভাইয়ের মেরুদণ্ডের তিনটি অপারেশন হয়েছে এবং সম্প্রতি হার্নিয়া ধরা পড়েছে । এখন আমার বাড়িওয়ালা আমাকে এবং আমার পরিবারকে জোর করে ভাড়াবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছেন । আমার আয়ের কোনও উৎস নেই । তাই অন্য কোনও উপায় না দেখে আমি বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছি ।”