ETV Bharat / bharat

দিল্লিতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন কোরোনায় আক্রান্ত - কমিউটিনি ট্রান্সমিশন

দিল্লিতে বেড়েই চলেছে কোরোনার সংক্রমণ ৷ এক সমীক্ষায় প্রকাশ, দিল্লিতে 23.48 শতাংশ মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত ৷

COVID 19 Delhi
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jul 22, 2020, 4:43 PM IST

দিল্লি, 22 জুলাই : রাজধানীতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন কোরোনায় সংক্রমিত হচ্ছে । দিল্লিতে এক মাসিক সমীক্ষায় উঠে এল এই তথ্য । সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, দিল্লির প্রায় 23.48 শতাংশ মানুষ কোরোনায় সংক্রমিত হয়েছে শেষ ছয় মাসে ।

কোরোনার প্রাদুর্ভাবের জেরে এখন থেকে প্রতি মাসে সেখানে আক্রান্তদের সমীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন । 1 অগাস্ট থেকে 5 অগাস্টের মধ্যে এই ধরনের প্রথম সমীক্ষা শুরু হবে । কয়েক সপ্তাহ আগেও দিল্লিতে কোরোনার গড় সংক্রমণ ছিল প্রায় দু'হাজারের আশপাশে । সেই জায়গা থেকে এখন অনেকটাই কমেছে গড় সংক্রমণের হার । কিন্তু, দিল্লির এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, সেখানে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের শরীরে মিলছে ভাইরাসের হদিস । সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে, এর বাইরেও এমন অনেক ভাইরাসের বাহক রয়েছেন, যাঁদের শরীরে ভাইরাসের কোনও উপসর্গ নেই । ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, "রাজধানীতে কী হারে সংক্রমণ হচ্ছে, তা বুঝতে এবার থেকে প্রতি মাসে সেরো-সার্ভে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ।"

প্রথমেই যেটা জেনে নেওয়া দরকার তা হল, সেরো সার্ভে কীভাবে করা হয়?

সেরো সার্ভে হল এক বিশেষ ধরনের সমীক্ষা । চিকিৎসকরা বেছে নেওয়া একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন । সেই রক্তের নমুনাগুলির মধ্যে কোনও রোগের অ্যান্টিবডি উপস্থিত রয়েছে কি না তা দেখা হয় । প্রসঙ্গত, মানুষের শরীরে কোনও রোগের অ্যান্টিবডি তখনই তৈরি হয়, যদি তিনি আগে কোনওসময় ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন । এই ধরনের সমীক্ষার মাধ্যমে দু'টি বিষয় মূলত বোঝা যায় । প্রথমত, সমাজের কতটা গভীরে ওই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে । দ্বিতীয়ত, আমরা কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও অর্জিত অনাক্রম্যতার দিকে এগোচ্ছি কি না ।

রাজধানীতে শেষ যে সেরো সার্ভে করা হয়েছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে, শেষ ছয় মাসে শহরের 23.48 শতাংশ মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, সেখানে এখনও পর্যন্ত 1 লাখ 25 হাজারেরও বেশি মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সরকার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সকলেই বলছে বাকি 77 শতাংশ মানুষও কোরোনার থেকে মোটেই সুরক্ষিত নন । সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষামূলক অন্য সমস্ত বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে নাগরিকদের ।

দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালের পালমোনোলজি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কনসালট্যান্ট ডাঃ রিচা সারেন সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "এখনও পর্যন্ত 75 শতাংশেরও বেশি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি নেই । সুতরাং আমরা এখনই পিছিয়ে আসতে পারি না ।"

তিনি আরও বলেছেন, "সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব আগের মতোই মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে । সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে ও নিজেদের স্যানিটাইজ়ড করতে বলা হয়েছে । পশ্চিমের দেশগুলিতে দেখা গেছে, যখনই কোরোনার সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে, তখনই মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কিছুটা অবহেলা লক্ষ্য করা গেছে । এর ফলে আবারও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বেড়েছে ওই দেশগুলিতে । দিল্লিতে যাতে এমন কিছু না হয়, সেইদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।"

দিল্লি, 22 জুলাই : রাজধানীতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন কোরোনায় সংক্রমিত হচ্ছে । দিল্লিতে এক মাসিক সমীক্ষায় উঠে এল এই তথ্য । সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, দিল্লির প্রায় 23.48 শতাংশ মানুষ কোরোনায় সংক্রমিত হয়েছে শেষ ছয় মাসে ।

কোরোনার প্রাদুর্ভাবের জেরে এখন থেকে প্রতি মাসে সেখানে আক্রান্তদের সমীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন । 1 অগাস্ট থেকে 5 অগাস্টের মধ্যে এই ধরনের প্রথম সমীক্ষা শুরু হবে । কয়েক সপ্তাহ আগেও দিল্লিতে কোরোনার গড় সংক্রমণ ছিল প্রায় দু'হাজারের আশপাশে । সেই জায়গা থেকে এখন অনেকটাই কমেছে গড় সংক্রমণের হার । কিন্তু, দিল্লির এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, সেখানে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের শরীরে মিলছে ভাইরাসের হদিস । সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে, এর বাইরেও এমন অনেক ভাইরাসের বাহক রয়েছেন, যাঁদের শরীরে ভাইরাসের কোনও উপসর্গ নেই । ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, "রাজধানীতে কী হারে সংক্রমণ হচ্ছে, তা বুঝতে এবার থেকে প্রতি মাসে সেরো-সার্ভে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ।"

প্রথমেই যেটা জেনে নেওয়া দরকার তা হল, সেরো সার্ভে কীভাবে করা হয়?

সেরো সার্ভে হল এক বিশেষ ধরনের সমীক্ষা । চিকিৎসকরা বেছে নেওয়া একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন । সেই রক্তের নমুনাগুলির মধ্যে কোনও রোগের অ্যান্টিবডি উপস্থিত রয়েছে কি না তা দেখা হয় । প্রসঙ্গত, মানুষের শরীরে কোনও রোগের অ্যান্টিবডি তখনই তৈরি হয়, যদি তিনি আগে কোনওসময় ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন । এই ধরনের সমীক্ষার মাধ্যমে দু'টি বিষয় মূলত বোঝা যায় । প্রথমত, সমাজের কতটা গভীরে ওই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে । দ্বিতীয়ত, আমরা কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও অর্জিত অনাক্রম্যতার দিকে এগোচ্ছি কি না ।

রাজধানীতে শেষ যে সেরো সার্ভে করা হয়েছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে, শেষ ছয় মাসে শহরের 23.48 শতাংশ মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, সেখানে এখনও পর্যন্ত 1 লাখ 25 হাজারেরও বেশি মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সরকার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সকলেই বলছে বাকি 77 শতাংশ মানুষও কোরোনার থেকে মোটেই সুরক্ষিত নন । সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষামূলক অন্য সমস্ত বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে নাগরিকদের ।

দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালের পালমোনোলজি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কনসালট্যান্ট ডাঃ রিচা সারেন সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "এখনও পর্যন্ত 75 শতাংশেরও বেশি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি নেই । সুতরাং আমরা এখনই পিছিয়ে আসতে পারি না ।"

তিনি আরও বলেছেন, "সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব আগের মতোই মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে । সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে ও নিজেদের স্যানিটাইজ়ড করতে বলা হয়েছে । পশ্চিমের দেশগুলিতে দেখা গেছে, যখনই কোরোনার সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে, তখনই মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কিছুটা অবহেলা লক্ষ্য করা গেছে । এর ফলে আবারও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বেড়েছে ওই দেশগুলিতে । দিল্লিতে যাতে এমন কিছু না হয়, সেইদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.