নয়াদিল্লি, 6 নভেম্বর: প্রত্যাশা মতো ফল হয়নি উপনির্বাচনে ৷ সামনের বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি ৷ তার জন্য এখন থেকেই কৌশল রচনার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তারা ৷ রবিবার দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকারিণী সমিতির বৈঠক রয়েছে ৷ তাতে সশরীরে তো বটেই, ভার্চুয়াল মাধ্যমেও সব রাজ্যের শীর্ষস্তরের নেতাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে ৷
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বৈঠকে নেতৃত্বে দিলেও, সশরীরে রবিবারের বৈঠকে হাজির থাকবেন রাজনাথ সিংহ, অমিত শাহ, নিতিন গডকরী এবং নির্মলা সীতারামনরা ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বৈঠকে সশরীরেই যোগ দেবেন ৷ বৈঠকের সমাপ্তি ভাষণের জিম্মাও তাঁর ৷
কোভিডের মধ্যে এই প্রথম বিজেপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হচ্ছে ৷ তার আগে শনিবার দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কার্যকারিণী সমিতির 124 জন সদস্য বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন ৷ কোভিড পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সভাপতিরাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নেবেন ৷
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: মোদিকে বিঁধে এলপিজি-র দাম নিয়ে নিয়ে কবিতা রাহুলের
বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে, তা নিয়ে বিশদে কিছু খোলসা করা না হলেও, বিজেপি সূত্রে খবর, বছর ঘুরতেই উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মণিপুর, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তার আগে কোন রাজ্যে দলের ভাবমূর্তি কেমন, কোন কোন বিষয়ে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে, কী ভাবে সেগুলির সমাধান করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা হবে ৷
তবে রবিবারের বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে খবর ৷ কারণ লোকসভা নির্বাচনে বরাবরই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে উত্তরপ্রদেশ ৷ আগামী বছর সেখানে নির্বাচন ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাজে রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ অসন্তুষ্ট ৷ দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা রামমন্দির জট কেটে গেলেও, মহিলাদের প্রতি একের পর এক নৃশংসতার ঘটনা, কোভিড সঙ্কট, ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগে বিদ্ধ যোগী সরকার ৷ তাই উত্তরপ্রদেশের জন্য বিশেষ রণকৌশল তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে ৷
রবিবারের ওই বৈঠকে বাংলা থেকে হাজির থাকছেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা অধুনা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে পরাজয়ের কারণ, দলের অভ্যন্তরীণ কলহ প্রভৃতি নিয়ে দিলীপের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে পারেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৷ এছাড়াও, বাংলা থেকে ত্রিপুরা এবং গোয়ায় যে ভাবে শিকড় বিস্তার করছে তৃণমূল, তা বিজেপি-র জন্য কতটা উদ্বেগের, তা-ও জানতে চাওয়া হতে পারে দিলীপের কাছে ৷
আরও পড়ুন: Mukesh Ambani: দেশ ছাড়ছেন না আম্বানিরা, লন্ডনে কেনা সম্পত্তি ব্যবসারই অঙ্গ, জানাল রিলায়্যান্স
একই সঙ্গে, বিনামূল্যে রেশন, কোভিড টিকা-সহ সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে মানুষ কেমন সাড়া দিচ্ছেন এবং তা বিজেপি-র পক্ষে কতটা সহায়ক হয়ে উঠতে পারে, তা-ও বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখবে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৷