কলকাতা, ১৯ নভেম্বর: চাকরি সুনিশিত করা থেকে শুরু করে কর্মীদের উপর হামলা বন্ধের মতো মূলত 11 দফা দাবিতে মাস খানেক আগে দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেন ব্যাংক কর্মী থেকে শুরু করে অফিসাররা। একাধিক দাবি আদায়ের জন্য আজ 19 নভেম্বর শনিবার দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক গুলিতে ধর্মঘট পালনের ডাক দেওয়া হয় অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশন সহ একাধিক সংগঠনের তরফে। এই ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচারও বৈঠক চলে। কিন্তু, কার্যত শেষ মুহূর্তে এসে স্থগিত হয়ে গেল ধর্মঘট (Bank Strike Called off)।
ঠিক কী কারণে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলে শুক্রবার রাতে অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লইজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন নাগর ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমরা যে দাবি-দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলাম তা পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। তাই, 11টি ব্যাংক কর্মী সংগঠনের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক, লেবার কমিশন সহ নির্দিষ্ট বিভাগগুলির শীর্ষ অধিকারীর আমাদের দাবিগুলির মর্যাদা দিয়েছেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাস পূরণ না হলে আবার আন্দোলনে যাওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: ভোরের কুয়াশায় আটকে ঠান্ডা, জমিয়ে শীত কবে ?
11টি ব্যাংক কর্মী সংগঠনের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলির মধ্যে, ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা না করা। ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার, কর্মীদের চাকরির সুনিশ্চিত করন। নানা অজুহাতে কর্মীদের বদলি ও সেটেলমেন্টের জন্য চাপ সৃষ্টি করা বন্ধ করতে হবে। এই ধর্মঘটে দেশের লক্ষাধিক ব্যাংক কর্মীরা অংশ নিতেন বলেই আগেই এআইবিইএ নেতারা দাবি করেছিলেন। যার ফলে আজ ব্যাংকিং পরিষেবা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্খা ছিল।
সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, " কর্মীরা যে কাজের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন তার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন কাজ করতে হচ্ছে। কর্মচারীদের স্থানান্তরের জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছে। কোনও ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদের নানান ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।" অথচ এরকম সমস্যা সমাধানের জন্য দ্বীপাক্ষিক আলোচনার পথ খোলা আছে। সরকার এবং কর্তৃপক্ষ যদি সেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান ঘটাতে না পারে তাহলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ব্যাংক কর্মী সংগঠনগুলির তরফে।