বালাসোর, 4 সেপ্টেম্বর: বারবার ফোন করা হয়েছিল 108 নম্বরে ৷ তাতে সুরাহা হয়নি । মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স ৷ প্রসূতিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিশেষ পরিষেবা দেয় ওড়িশা সরকার ৷ পাওয়া যায়নি সেই 'জননী এক্সপ্রেস'ও ৷ শেষ পর্যন্ত ভ্যানেই সন্তান প্রসব করলেন মা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বালাসোরের নিলগিরি ব্লকের সাজনাগড় পঞ্চায়েতে ৷ এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখিয়ে দিল আরও একবার ৷
জানা গিয়েছে, সাজনাগড় পঞ্চায়েতের দহি সাহিরের বাসিন্দা হেমন্ত কুয়ানা ৷ তাঁর স্ত্রী রঞ্জিতা গোচায়াত সন্তানসম্ভবা ছিলেন ৷ রাখিবন্ধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রানিকোঠি গ্রামে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি । রবিবার রাত 8টা নাগাদ রঞ্জিতার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে । পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য 108 নম্বরে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সে সময় অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি । দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও অ্যাম্বুলেন্স আসেনি ।
উপায় না-দেখে পরিবারের সদস্যার তাঁকে ঘুম পাড়িয়ে ভ্যানে চাপিয়ে মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশে রওনা দেন ৷ হাসপাতালে যাওয়ার পথে রঞ্জিতা ভ্যানেই একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন । পরে মা ও শিশুকে নীলগিরি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে নবীণ পট্টনায়েকের সরকার ৷ পাশাপাশি 'ন্যাশনাল হেলথ মিশনে'র অধীনে শুরু হয়েছে দরিদ্রসীমার নিচে বাস করা মহিলাদের জন্য জননী এক্সপ্রেস যোজনা ৷ 108 নম্বরে ফোন করে সেই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া যায় । উৎকল-রাজ্যে তাও না-মেলায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা ৷
আরও পড়ুন: প্রসূতিদের লিফটে তুলতে ও বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবায় টাকা নেওয়ার অভিযোগ সরকারি হাসপাতালে